ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ ২-১ নেপাল

টানা তৃতীয়বার ফাইনালে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ১২ অক্টোবর ২০১৯

 টানা তৃতীয়বার ফাইনালে বাংলাদেশ

জাহিদুল আলম জয় ॥ শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে এবার ভুটান গেছে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৫ নারী ফুটবল দল। এ লক্ষ্যে প্রথমধাপ সফলতার সঙ্গে অতিক্রম করেছে বাংলার মেয়েরা। হ্যাটট্রিক অর্থাৎ টানা তৃতীয়বার সাফ অনুর্ধ-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নোঙর ফেলেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শুক্রবার ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে এ কৃতিত্ব দেখিয়েছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে গোল দু’টি করেন সাহেদা আক্তার রিপা ও অধিনায়ক সামছুন্নাহার জুনিয়র। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের দল ২-০ গোলে হারায় ভুটানকে। ফলে টানা দুই ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলার মেয়েরা। ট্রফি ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। ১৫ অক্টোবর একই ভেন্যুতে শিরোপা লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবে দু’দল। ফাইনালের আগে অবশ্য আরেকবার দেখা হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের। সেটা আগামীকাল শেষ গ্রুপ ম্যাচে। এই ম্যাচটির ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে কোন্ দল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে। গতকাল আরেক ম্যাচে ভারত স্বাগতিক ভুটানকে হারালে ফাইনালের লাইনআপ চূড়ান্ত হয়ে যায়। এখন নেপাল ও ভুটান শুধুই সান্ত¡নার স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে। গত বুধবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে হারিয়ে নেপালের বিরুদ্ধে আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করে খেলতে নামে বাংলাদেশ দল। আগের দেখায় বাংলাদেশকে হারানোর কোন ইতিহাস ছিল না হিমালয় কন্যাদের। সেই ইতিহাসটি অক্ষত রাখতে পেরেছে প্রায় নতুন করে গড়ে তোলা ছোটনের দল। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে লাল-সবুজের দল। একের পর এক সুযোগ সৃষ্টি করতে থাকে মেয়েরা। কিন্তু সহজ সুযোগ নষ্ট করায় জয়ের ব্যবধান বড় হয়নি। ম্যাচের ১২ মিনিটে বাংলাদেশ প্রথম গোল পায়। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে সতীর্থর পাসে বল পেয়ে নেপালের অর্ধে ঢুকে পড়েন রিপা। তাকে বাধা দিতে ছুটে আসেন প্রতিপক্ষের তিন ডিফেন্ডার। কিন্তু দারুণ দক্ষতায় তাদের কাটিয়ে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের দর্শনীয় শটে বল জালে জড়িয়ে দেন প্রতিশ্রুতিশীল এই ফুটবলার (১-০)। ম্যাচের ২৫ মিনিটে বাংলাদেশের একজন ফুটবলার বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে নিজেদের বক্সে ফাউল করেন নেপালের এক ডিফেন্ডার। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দিলে পরের মিনিটে অধিনায়ক সামছুন্নাহার স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। বিরতির পর আরও কয়েকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মেয়েরা। দুই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতির পর ম্যাচ ফিরতে নেপাল মরিয়া প্রচেষ্টা চালাতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ৬৪ মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করে হিমালয় কন্যার। গোলটি করেন অশিশা কারকি (২-১)। এর ফলে তিন আসরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জালে বল পাঠাতে পেরেছে নেপাল। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় তো দূরের কথা একটি গোলও করতে পারেনি হিমালয় কন্যারা। ম্যাচের বাকি সময়ে নেপাল গোল করার সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশেরও। কিন্তু তারাও সেটা করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে গোলাম রাব্বানী ছোটনের দল। গত আসরেও গ্রুপপর্বে নেপালের সঙ্গে দেখা হয়েছিল বাংলাদেশের। সেবার নেপালকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল লাল-সবুজের মেয়েরা। প্রথম আসরটিও হয়েছিল রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে। নিজেদের ঘরে সেবার আরও বড় ব্যবধানে জিতেছিল বঙ্গকন্যারা। ওইবার নেপালকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল। প্রথম আসরের মতো এবারও একই পদ্ধতিতে হচ্ছে টুর্নামেন্ট। তাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন আর রানার্সআপ দল সরাসরি খেলবে ফাইনালে।
×