ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যর্থ সাকিব, তবু ফাইনালে বার্বাডোজ

প্রকাশিত: ০৯:৩২, ১২ অক্টোবর ২০১৯

 ব্যর্থ সাকিব, তবু ফাইনালে বার্বাডোজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটে বলে বেশ ভাল করেছিলেন সাকিব আল হাসান। বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের অবস্থাও বদলেছিল। চলমান ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (সিপিএল) টি২০ আসরে কোয়ালিফায়ারে ওঠা নিয়ে সংশয়ে পড়েছিল দলটি। কিন্তু সাকিবের ব্যাট-বলে দ্যুতি থাকায় শেষ পর্যন্ত লীগপর্বের দ্বিতীয় সেরা হয় বার্বাডোজ। তবে কোয়ালিফায়ারে এসে সাকিব একেবারেই নিষ্প্রভ। প্রথম কোয়ালিফায়ারে তার ব্যর্থতার পাশাপাশি দলও হেরে যায়। তবে বাংলাদেশ সময় অনুসারে শুক্রবার ভোরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে (টিকেআর) ১২ রানে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ফাইনালে উঠেছে বার্বাডোজ। ত্রিনিদাদের তারুবায় হওয়া এ ম্যাচেও ব্যর্থ সাকিব ব্যাট হাতে ১৮ রান করার পর বল হাতে ২ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। বার্বাডোজ অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডার বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব দলে যোগ দেয়ার পর দারুণ উচ্ছ্বাস জানিয়েছিলেন। শক্তি বেড়েছে দলের এমনটাই দাবি করেছিলেন। তার প্রমাণও দিয়েছিলেন সাকিব। তাকে দিয়ে টানা বোলিং আক্রমণের সূত্রপাত করেছেন হোল্ডার। সাকিবও আস্থার প্রতিদান দিয়ে যাচ্ছিলেন শুরুতেই প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চাপের মুখে রেখে। লীগপর্বের ৩ ম্যাচে তার নৈপুণ্য ছিল- ৩৮, ১/১৪; ২২, ১/২০ ও ১৩, ২/২৫। কিন্তু কোয়ালিফায়ারে উঠে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের ব্যাটসম্যানরা তাকে তুলোধুনো করেছেন। ৪ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন সাকিব এবং ব্যাট হাতে ৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন। দলও হেরে গিয়ে ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়। তবে লীগপর্বের দ্বিতীয় সেরা দল হওয়াতে দ্বিতীয় সুযোগ পায় বার্বাডোজ ফাইনালে ওঠার জন্য। সেই ম্যাচে টিকেআরের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বার্বাডোজ। বৃষ্টির কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ম্যাচ শুরু হলেও কোন ওভার কমানো হয়নি। ব্যাটিং শুরু করে বার্বাডোজের ২৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙ্গে যায় এ্যালেক্স হেলস ১১ বলে ১০ রানে আউট হয়ে গেলে। এরপর সাকিব এসে জুটি বাঁধেন জনসন চার্লসের সঙ্গে। দু’জনের জুটিও বড় হয়নি। ২৪ রান যোগ করেছেন তারা। সাকিব অবশ্য বেশ স্বচ্ছন্দেই শুরু করেছিলেন এবং দ্রুতবেগে রান করছিলেন। ক্রিস জর্ডানকে চার এবং খারি পিয়েরেকে দুর্দান্ত একটি ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। পিয়েরের বোলিংয়েই সাজঘরে ফেরেন তিনি ১২ বলে ১৮ রান করে। তবে চার্লসের ৪১ বলে ৪ চারে ৩৫, রেমন রেইফারের ১৮ বলে ২ চারে অপরাজিত ২৪, এ্যাশলে নার্স ৯ বলে ৩ ছক্কায় ২৪ রান করলে বড় সংগ্রহ পেতে অসুবিধা হয়নি বার্বাডোজের। ৬ উইকেটে ১৬০ রান করে তারা। এরপর জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারেই বোলিংয়ে সাকিবকে পেয়েছেন টিকেআরের দুই ওপেনার সুনীল নারাইন ও লেন্ডল সিমন্স। নারাইন তাকে চারটি চার হাঁকিয়ে ১৬ রান তুলে নেন। ফলে তাকে আর বোলিংয়ে রাখেননি অধিনায়ক হোল্ডার। এর মধ্যে ১২ ওভার পর্যন্ত বাকিরা বোলিং করে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ত্রিনবাগোকে চাপে ফেলে দেয়। হোল্ডার, হ্যারি গারনি, হেইডেন ওয়ালশ ও নার্স দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। তাই আবার ১৩তম ওভারে সাকিবকে আক্রমণে ফেরানো হয়। কিন্তু নিজেকে খুঁজে পাননি তিনি। এবার কাইরন পোলার্ড ও সিকুগে প্রসন্ন তার ওভার থেকে ১১ রান তুলে নেন। ২ ওভারে ২৭ রান দিয়ে আর বোলিং করার সুযোগ পাননি সাকিব। তবে বাকি বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ে টিকেআর ১৯.৩ ওভারে ১৪৮ রানেই গুটিয়ে যায়। প্রসন্ন ২৭ বলে ২ চার, ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫১ রান করেছিলেন। গারনি, ওয়ালশ, নার্স ও রেইফার ২টি করে উইকেট নেন। ১২ রানের জয়ে ফাইনালে ওঠে নিষ্প্রভ সাকিবের বার্বাডোজ। আগামী শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় গায়ানার বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে দলটি।
×