ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পুষ্টি নিরাপত্তায় ডিম খাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ১২ অক্টোবর ২০১৯

 পুষ্টি নিরাপত্তায় ডিম খাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে

সমুদ্র হক, বগুড়া অফিস ॥ পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশে মুরগির ডিমের উৎপাদন ও খাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবসে বগুড়ার পোলট্রি ও হ্যাচারি মালিক সমিতি সকালে কেন্দ্রস্থল সাতমাথায় র‌্যালি শেষে সাধারণকে মুরগির ডিম খাওয়ার উৎসাহ দিতে অন্তত তিন হাজার পথচারীর হাতে বিনামূল্যে একটি করে সিদ্ধ ডিম দিয়েছে। লোকজন তো মহাখুশি। সমিতি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনকে এক কেস (৫০টি) করে সিদ্ধ ডিম দিয়েছে। ডিম খাওয়ার উৎসাহের এমন আয়োজনকে অভিনব উল্লেখ করেছেন বগুড়ার সুধীজন। তবে মন্তব্যও করেছেন, সমিতি আবার এই সুযোগে দাম বাড়িয়ে দেবে না তো! বর্তমানে প্রতি হালি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে এলাকাভেদে ২৫ টাকা থেকে ৩২ টাকা দরে। দেশে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত ও মাথাপিছু ডিম খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে পোলট্রি শিল্প খাতকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ও এফএও (খাদ্য ও কৃষি সংস্থা) বলেছে, সুস্থ থাকার জন্য একজন মানুষের বছরে অন্তত ৪৪ কেজি প্রোটিন গ্রহণ করা দরকার। বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করছে ১৬ কেজি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশে দৈনিক প্রতিজনের মুরগির মাংসের ঘাটতি ২৬ গ্রাম ও ডিমের ঘাটতি ২৩ গ্রাম। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে ২০২১ সালে প্রতিদিন অন্তত সাড়ে ৪ কোটি ডিম ও প্রতিদিন ৪ হাজার মে.টন মুরগির মাংস উৎপাদনের টার্গেট নিয়ে দেশের পোলট্রি শিল্প এগিয়ে চলেছে। এই শিল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। শিল্পের সঙ্গে জড়িত আছে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ। যার ৪০ শতাংশ নারী।
×