ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হ্যান্দকের নোবেল জয়ে ক্ষুব্ধ আলবেনিয়া, বসনিয়া ও কসোভো

প্রকাশিত: ০৮:২৯, ১২ অক্টোবর ২০১৯

 হ্যান্দকের নোবেল জয়ে  ক্ষুব্ধ আলবেনিয়া,  বসনিয়া ও কসোভো

২০১৯ সালে অস্ট্রিয়ার লেখক পিটার হ্যান্দকের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়া নিয়ে আলবেনিয়া, বসনিয়া এবং কসোভো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। পিটার হ্যান্দকে তারা ‘বলকানের কসাই’ নামে কুখ্যাত সার্ব নেতা স্লোবোদান মিলোসেভিচের কট্টর সমর্থক বলে মনে করে। এমনকি এই অস্ট্রিয়ান লেখক ২০১৪ সালে নোবেল পুরস্কার বিলোপের বিতর্কিত দাবি তুলেও সমালোচিত ছিলেন। খবর ওয়েবসাইটের। নব্বইয়ের দশকে যুগোস্লাভ যুদ্ধের সময় পিটার হ্যান্দকে সার্বদের সমর্থন দেন এবং তাদের পক্ষে জোর প্রচার চালান। ওই সময় তিনি সার্বদের অসহায় অবস্থার বর্ণনা করতে তাদের নাৎসি সরকারের অধীনে ইহুদীদের সঙ্গে তুলনা করেন। যদিও পরে তিনি তার ওই বক্তব্য অস্বীকার করেন। পিটার হ্যান্দকে ২০০৬ সালে মিলোসেভিচের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েও দারুণ বিতর্কিত হয়েছিলেন। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে বিচার চলার মাঝেই মিলোসেভিচের মৃত্যু হয়। তার আগে মিলোসেভিচ আদালতের কাছে তার পক্ষের সাক্ষী হিসেবে পিটার হ্যান্দককে চেয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে পিটার হ্যান্দকের ভ্রমণকাহিনী ‘এ জার্নি টু দ্য রিভার্স : জাস্টিস ফর সার্বিয়া’ প্রকাশ পেলে তুমুল বিতর্ক হয়। এছাড়া বেলগ্রেডে ন্যাটোর বিমান হামলার প্রতিবাদে ১৯৯৯ সালে তিনি জার্মানির অভিজাত বুকার পুরস্কার ফিরিয়ে দেন। এভাবে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দেয়া ব্যক্তিকে নোবেল পুরস্কারের জন্য বেছে নেয়া তাই অনেকেই ভালভাবে নেননি। আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডি রামা টুইটারে লেখেন, কখনও ভাবিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম শুনে আমার বমি আসবে। নোবেল একাডেমির মতো একটি নৈতিক কর্তৃপক্ষ এরকম অসম্মানজনক কাউকে বেছে নেবে, লজ্জাই এখন তাহলে নতুন মূল্যবোধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। না, আমাদের পক্ষে বর্ণবাদ এবং গণহত্যা নিয়ে এতটা অনুভূতিশূন্য হওয়া সম্ভব না। পিটার হ্যান্দকে নোবেল পুরস্কার পাওয়াকে ‘কলঙ্কিত এবং লজ্জাজনক’ বলে বর্ণনা করেন বসনিয়ার যৌথ প্রেসিডেন্সির মুসলিম সদস্য সেফিক জাফেরোভিচ। তিনি বলেন, হ্যান্দকে কুখ্যাত সার্ব নেতা মিলোসেভিচের সমর্থন এবং তাকে সুরক্ষা দিয়েছেন জানার পরও নোবেল প্রাইজ কমিটি কতটা সহজে ওই বিষয়গুলোর সঙ্গে আপোস করেছে, যা সত্যিই লজ্জাজনক।
×