ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাবনায় ২৪ ঘণ্টায় হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ১২ অক্টোবর ২০১৯

 পাবনায় ২৪ ঘণ্টায় হত্যার রহস্য  উদ্ঘাটন

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১১ অক্টোবর ॥ অজ্ঞাত ব্যক্তির হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধারের মামলা গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তার পরিচয়সহ ৪ হত্যাকারীকে আটক করেছে জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। অজ্ঞাত ব্যক্তি হলেন, নাটোর সদর থানার জয়নগরের জান মোহাম্মদের ছেলে জাহাঙ্গীঁর। গত ৭ অক্টোবর সকালে ঈশ্বরদী থানার দাশুড়িয়া-পাবনা মহাসড়কের উত্তর পাশে এক অজ্ঞাতনামা পুরুষের হাত, পা, বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ ঈশ্বরদী থানায় মামলা নং-১৭(১০)১৯ দায়ের করে। এরপর উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তদন্তভার পিবিআই ওপর অর্পণ করে। পিবিআই জেলা প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলামের নির্দেশনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মামলাটির রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানা এলাকা হতে চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে রমজান, মিজানুর, আব্দুল শুকুর ও আকছেদ। এরা সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র। তারা বিভিন্ন জেলার গরু মহিষের হাট হতে ট্রাকে ভাড়া নেয়ার কথা বলে গরু মহিষ তোলে এবং সুবিধামতো স্থানে গরু মহিষের মালিকদের হাত, পা বেঁেেধ মারধর করে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৬ অক্টোবর রাজশাহী সিটির হাট হতে গরু মহিষ ছিনতাই করার লক্ষ্যে পাবনা জেলার আমিনপুর থানার মনির (ছদ্মনাম) দুইজন সহযোগীসহ একটি ট্রাক নিয়ে রাজশাহী সিটির হাটে যায়। মনির মোবাইল করে তাদের সহযোগী নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানাধীন রশিদ(ছদ্মনাম), রমজান, মিজানুর, আব্দুল শুকুর ও আকছেদকে ডেকে নেয়। তারা রাজশাহী সিটির হাট হতে দুইটি বড় মহিষ ভাড়ায় তোলে। মহিষের সঙ্গে তিনজন লোক ছিল। সন্ধ্যার পর মহিষ নিয়ে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানা পার হওয়ার পর তারা ৮ জন মিলে মহিষের মালিক তিনজনের হাত, পা, মুখ বেঁধে মারপিট করে। তারপর ট্রাক নিয়ে নাটোর বনপাড়ার পাশে দুইজনকে ফেলে দেয়। বাকি একজনকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার সুগার মিলের রাস্তার ধারে ফেলে যায়। হাত, পা, মুখ শক্ত করে বাঁধার কারণে ট্রাকের ভেতরেই সে মারা যায়। তারপর তারা ঢাকা জেলার বাথুলী নামক হাটে মহিষ বিক্রি করে টাকা ভাগ করে নেয়।
×