ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় ৭০ শতাংশ চিকিৎসকের পদ শূন্য ॥ সেবা বিঘ্ন

প্রকাশিত: ০৮:২৩, ১২ অক্টোবর ২০১৯

 বগুড়ায় ৭০ শতাংশ চিকিৎসকের পদ  শূন্য ॥ সেবা বিঘ্ন

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ায় মাঠ পর্যায়ের চিকিৎসা পরিষেবা পরিচালিত হচ্ছে প্রয়োজনের মাত্র ২৫ শতাংশ চিকিৎসক দিয়ে। ৭০ শতাংশ পদ শূন্য। ৫ শতাংশ প্রেষণে অন্যত্র কর্মরত। বেড়েছে রোগীদের ভোগান্তি। চাপ পড়েছে জেলার জেনারেল হাসপাতাল (মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল) ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র জানায়, বগুড়ার ১২ উপজেলায় ৫০ শয্যা করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও ২০ শয্যা করে ৩টি বিশেষায়িত হাসপাতাল, একটি টিবি হাসপাতাল,একটি বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, একটি স্কুল হেলথ ক্লিনিকে চিকিৎসকের পদ ৩৩০টি। কাগজকলমে চিকিৎসক আছেন ১০৫ জন। বাকি ২২৫টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। কাগজকলমের চিকিৎসকদের মধ্যেও ২০ জন প্রেষণে অন্যত্র কর্মরত। এই অবস্থায় কর্মরত চিকিৎসক ৮৫ জন, যা মোট পদের ২৫ শতাংশ। জেলার ১৮টি বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের (আরএমও) ১৪ পদ শূন্য। অর্থাৎ ১৪ চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রে আরএমও নেই। আবাসিক চিকিৎসকের অন্যতম দায়িত্ব চিকিৎসা সেবায় হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স ও কর্মচারীদের সমন্বয় করে রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা দেয়া। তিনি ওই হাসপাতালের অভিভাবক। চিকিৎসক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে প্রতিটি ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো। গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২১টি পদের মধ্যে ১৬টি শূন্য। সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪টি পদ শূন্য। আদমদীঘিতে ২১ পদের মধ্যে শূন্য ১৪টি। দুপচাঁচিয়ায় ২১ পদের মধ্যে শূন্য ১১টি। সান্তাহারে ২০ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতালে ৬টি পদই শূন্য। নন্দীগ্রাম ও আলিয়ারহাটে ২০ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রতিটিতে ৬টি করে চিকিৎসকের পদ রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিনেও চিকিৎসক নিয়োগ না দেয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগ একজন করে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি শুধু আউটডোর সেবা দিচ্ছেন। স্কুল হেলথ ক্লিনিকে চিকিৎসকের পদ ২টি। সেখানে কর্মরত একজন। বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ২ জন চিকিৎসকের মধ্যে কর্মরত আছেন একজন। দীর্ঘদিনেও শূন্যপদ পূরণ হয়নি। বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের চিকিৎসক কখনও পালাক্রমে টিবি হাসপাতালে গিয়ে সেবা দেন। বগুড়ায় বক্ষব্যাধি ক্লিনিক শহরের দক্ষিণ প্রান্তে এবং টিবি হাসপাতাল উত্তরে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে। ক্লিনিক ও হাসপাতাল একই স্থানে রাখার কথা অনেক আগের। বহু বছরেও তা হয়নি। এই বিষয়ে বগুড়ার সিভিল সার্জন গউসুল আজিম চৌধুরী বলেন, শূন্য পদ পূরণের বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হয়েছে। তারপরও সীমিত লোকবল নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, টিবি হাসপাতালে যতটা সম্ভব ভাল সেবা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসক সঙ্কট থাকায় রোগীদের ভিড় বেড়েছে বগুড়া শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল এবং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে।
×