ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীতে সাপের কামড়ে দম্পতির মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৮:২৩, ১২ অক্টোবর ২০১৯

 রাজশাহীতে সাপের  কামড়ে দম্পতির  মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ সাপের দংশনে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এ দম্পতির মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের সাপে কাটে। মৃতরা হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার রামচরণপুর গ্রামের নূর ইসলাম (৩০) ও তার স্ত্রী মৌসুমি খাতুন (২৬)। ২৯ দিন আগে নূর ইসলামের বাবা সিরাজুল ইসলামেরও মৃত্যু হয়েছে সাপের দংশনে। এই দম্পতি হলেন নূর ও মৌসুমি। রামেক হাসপাতালে নূর ও মৌসুমিকে আনার পাশাপাশি তাদের বিছানা থেকে একটি সাপও ধরে আনেন স্বজনরা। রামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক বেলাল হোসেন জানান, সাপটির নাম ‘কমন ক্র্যাট’। এই সাপ ফনা তোলে না। কিন্তু গোখরার চেয়ে চারগুণ বেশি বিষধর। বালতিতে করে জালে জড়িয়ে আনা সাপটি দেখার পর তিনি এটিকে মেরে পুঁতে ফেলার নির্দেশ দেন। নূরের চাচা আবদুর রহিম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে নূর ও মৌসুমি ঘরে খাটের ওপর ঘুমিয়েছিলেন। মশারির ভেতরে ঢুকে সাপটি তাদের দুজনকেই কামড় দেয়। এরপর তাদের ঘুম ভেঙে গেলে তারা দেখেন, বিছানার ওপর একটি সাপ। পরে মাছ ধরা জাল দিয়ে সাপটিকে ধরা হয়। এরপর তাদের দুজনকেই মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে সাপে কাটার কোন ওষুধ না থাকার কারণে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। শুক্রবার ভোর ৬টায় তাদের এখানে ভর্তি করা হয়। নূর হাসপাতালের ৪২ ও মৌসুমিকে ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে রেখে এন্টিভেনম প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু সকাল ৯টার দিকে একে একে দুজনই মারা যান। আবদুর রহিম আরও জানান, ২৯ দিন আগে নূরের বাবা সিরাজুল ইসলামেরও মৃত্যু হয়েছে সাপে কেটে। বাড়িতে সাপে কাটার পর তাকে হাসপাতালে নেয়ারও সময় পাওয়া যায়নি। নূর ও মৌসুমিকে হাসপাতালে নেয়া হলেও বাঁচানো গেল না। রহিম বলেন, মহাদেবপুরের হাসপাতালে সাপে কাটার ওষুধ নেই। সেখানে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিলে হয়ত নূর ও মৌসুমিকে বাঁচানো যেত। নওগাঁয় স্বামী-স্ত্রীর নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, মহাদেবপুর উপজেলার রামচরনপুর গ্রামে সাপের ছোবলে বেলাল হোসেন (২৬) ও মৌসুমী আক্তার (২২) নামে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রামচরনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বেলাল হোসেন ও মৌসুমী আক্তারকে সাপে কামড় দেয়। এ সময় তারা চিৎকার করলে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাদের চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরপরই বেলালের পরিবারের সদস্যরা সাপটিকে আটক করেন। স্থানীয়রা জানান, মাসখানেক আগে একইভাবে বেলালের বাবা সিরাজউদ্দিনও সাপের কামড়ে মারা যায়।
×