ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাদক নিয়ন্ত্রণে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে জোট গঠনের প্রস্তাব ঢাকার

প্রকাশিত: ১২:১২, ১১ অক্টোবর ২০১৯

মাদক নিয়ন্ত্রণে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে জোট গঠনের প্রস্তাব ঢাকার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাদক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের ত্রিপক্ষীয় জোট গঠনের প্রস্তাব করেছে ঢাকা। বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব করা হয়। এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন নারকেটক্স কন্ট্রোল ব্যুরো অব ইন্ডিয়ার ডিজি মি. রাকেশ এস্থানা। হোটেল সোনারগাঁয়ে দুদিনব্যাপী ষষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক সভায় উভয় দেশের পক্ষ থেকে মাদক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে নিজ নিজ কৌশল প্রণয়ন ও ইতোমধ্যে গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, মিয়ানমার দক্ষিণ এশিয়ায় মাদকের হাব হিসেবে পরিণত হয়েছে। মূলত ভারত ও মিয়ানমার থেকে আসা মাদকেই বাংলাদেশ ভুগছে। সেজন্য এ সমস্যা মোকাবেলায় ত্রিদেশীয় উদ্যোগ নেয়ার একটা প্রস্তাব আমরা রেখেছি। যেটা ভারতের ডিজিও বেশ আন্তরিক সমর্থন দিয়েছেন। এ ছাড়া ভারত থেকে আসা ফেনসিডিল ও গাজার প্রভাবে দুদেশের মধ্যকার করণীয় নিয়েও আলোচনা করা হয়। নতুন মাদক চিহ্নিত করার পাশাপাশি নতুন রুটগুলোও খুঁজে বের করার বিষয়ে দুদেশ সম্মত হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে- সামনের দিনগুলোয় আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভারত পৃথিবীর একমাত্র ফেনসিডিল উৎপাদনকারী দেশ এবং বাংলাদেশ ফেনসিডিলের একমাত্র ভোক্তা হিসেবে এটা এখন জাতীয় সমস্যায় পরিণত। গত তিন দশক ধরেই ঢাকার পক্ষ থেকে ভারতের ফেনসিডিল উৎপাদনের কারখানা বন্ধের দাবি জানালেও কেন তা আমলে নেয়া হচ্ছে নাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে রাকেশ এস্থানা বলেন, আমরা যৌথভাবে ইতোমধ্যে এ বিষয়ে অনেক কাজ করেছি। এসব কারখানা চিহ্নিত করার পাশাপাশি ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিং, মাদক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া অনেক ফেনসিডিল তৈরির কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আগামীতে তা আরও জোরদার করা হবে। এখন মিয়ানমারের সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগের প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা চলছে। এর আগে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেয়া ফেনসিডিল কারখানার তালিকা নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানানো হয় উভয় দেশের ডিজিরা বলেছেন, ইতোমধ্যে সীমান্ত রুটগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে এবং কারা এই মাদকের সঙ্গে জড়িত তা চিহ্নিত করার জন্য উভয় দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তে মাদক ব্যবসার অভিযোগে দুদেশে আটক মাদক কারবারিদের সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। তারা কোন চ্যানেলে অর্থ পাচার করছে তা নিয়েও কাজ চলছে। উল্লেখ্য, বৈঠকের আলোচনা শেষে উভয় দেশের মধ্যে যৌথ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
×