ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ায় জেনারেল আজিজ আহমেদ

রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা তত্ত্বাবধানে শীঘ্রই কাঁটাতারের বেড়া

প্রকাশিত: ১২:১২, ১১ অক্টোবর ২০১৯

রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা তত্ত্বাবধানে শীঘ্রই কাঁটাতারের বেড়া

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, নিরাপত্তা রক্ষায় রোহিঙ্গাদের শৃঙ্খলিত ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কাঁটাতারের বেড়া (ফেন্সি) নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। রোহিঙ্গারা যাতে কোন ধরনের অপরাধ করতে না পারে সে জন্য সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য সংস্থা সজাগ রয়েছে। সেনা প্রধান বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া সেনানিবাসে আর্মার্ড কোর সেন্টার এ্যান্ড স্কুলের ষষ্ঠ সাঁজোয়া কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। তিনি পুনর্মিলনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন শেষে বক্তব্য রাখেন। তারপর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে রোহিঙ্গা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। সেনা প্রধান জানান, রোহিঙ্গাদের ওপর সরকারের নজরদারি জোরদার হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগের এক বিজ্ঞপ্তির (আইএসপিআর) বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, সেনা বাহিনী কখনও কোন কিছু লুকোয় না। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। দোষী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আশান্ত হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নে সাফ জানান, শান্তি চুক্তির মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান হবে। কোনভাবেই যেন শান্তি বিনষ্ট না হয় তার সকল পদক্ষেপ নেয়া হবে। ‘ওয়ার জার্নালিজম’ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিত করার কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা এমন বিষয় জানতে চাইলে তিনি হেসে বলেন ‘সাংবাদিকদের যেন ওয়ার রিপোর্টিং করতে না হয় এটাই আমরা চাই। আমরা সবসময় শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকতে চাই। তারপরও কঠিন পরিস্থিততে যাতে সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারে এ জন্য একটি ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া শেখানো হচ্ছে।’ এর আগে ষষ্ঠ সাঁজোয়া কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, চতুর্থ প্রজন্মকে সামনে রেখে সাঁজোয়া কোর আধুনিকায়ন হচ্ছে। ‘প্রাণ দেব মান দেব না’ এমন মূলমন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে এই কোরের সদস্যদের উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুনাম বয়ে এনেছে। বর্তমান পৃথিবীতে প্রচলিত যুদ্ধের পাশাপাশি অপ্রচলিত যুদ্ধ বেশি। এ ক্ষেত্রে শহর এলাকা ও জনঘনত্ব এলাকায় খুব সাবধানে যুদ্ধ পরিচালনা করতে হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সেই দক্ষতা অর্জন করেছে। বক্তব্যের শুরুতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী হিসাবে স্মরণ করে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ষষ্ঠ সাঁজোয়া কোরের সদস্যদের অংশগ্রহণের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে।
×