ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংকিং খাতে ডিজিটালাইজেশনে বাধা ই-স্বাক্ষরের কম ব্যবহার

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ১১ অক্টোবর ২০১৯

ব্যাংকিং খাতে ডিজিটালাইজেশনে বাধা ই-স্বাক্ষরের কম ব্যবহার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যাংকিং খাতে ডিজিটাল স্বাক্ষর এবং ই-স্বাক্ষর এখনও ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি; যা এ খাতের ডিজিটালাইজেশনে বড় বাধা এমন মন্তব্য করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতের ডিজিটালাইজেশনে সহায়ক নীতি ও পরিবেশ প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার বিআইবিএমে ‘ডিজিটালাইজেশন অব ডকুমেন্টস ইন ব্যাংকিং অপারেশন’ শীর্ষক গবেষণা কর্মশালায় এ প্রতিবেদন উপস্থাপিত হয়। কর্মশালার উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের মহাপরিচালক মোঃ নাজিমুদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিআইবিএমের অধ্যাপক মোঃ নেহাল আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন, বিআইবিএমের ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিআইবিএম-এর সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী; বিআইবিএম-এর সাবেক সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি; এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহমুদ হোসেন; আইএফআইসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিতুর রহমান । কর্মশালায় মূল গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিআইবিএম-এর অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড.শাহ মোঃ আহসান হাবীব। গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন, বিআইবিএম-এর অধ্যাপক মোঃ নেহাল আহমেদ; বিআইবিএম-এর প্রভাষক ফয়সাল হাসান; বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান; ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের অপারেশনস বিভাগের প্রধান সৈয়দ সাজ্জাদ হায়দার চৌধুরী; মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ. টি. এম. নেসারুল হক। গবেষণাপত্রে ব্যাংক খাতে কাগজের বহুল ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতির বিসয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়। বিআইবিএমের মহাপরিচালক নাজিমুদ্দিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পরিকল্পনা নিয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে ব্যাংকিং খাতের ডকুমেন্টস ডিজিটালাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংক পরিচালনায় আইটি ক্ষেত্রে ভেন্ডরদের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিএসিএইচ, বিএফটিএন, আরটিজিএস, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এনপিএসবি, এমএফএসের মতো ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা চালু রয়েছে, যা ব্যাংকিং খাতকে ডিজিটালাইজেশনে এগিয়ে নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জন, ব্যয় কমানো, দক্ষ সেবা প্রদান, দ্রুত সেবা প্রদান, সুষ্ঠু সমন্বয়, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে ব্যাংকিং খাতের ডিজিটালাইজেশন প্রয়োজন। বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি বলেন, ডিজিটালাইজেশনে কিছু ব্যাংক ভাল করছে, আবার কিছু ব্যাংক পিছিয়ে পড়ছে। যারা পিছিয়ে পড়ছে তাদের ডিজিটাইজেশনে আরও মনোযোগী হতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যাংকিং খাতের ডিজিটালাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলেও মন্তব্য করেন তিািন। এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেন বলেন, ব্যাংকিং খাতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে সামান্য বিনিয়োগ এবং ইচ্ছ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিজস্ব সক্ষমতা গড়ে না উঠলে ভেন্ডরের সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে। আইএফআইসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিতুর রহমান বলেন, ব্যাংকের সঙ্গে এনবিআর এবং দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারী সংস্থাগুলো ডিজিটালাইজড হওয়া প্রয়োজন। সমাপনী বক্তব্যে বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, একদিনে ব্যাংকিং খাতকে পেপারলেস করা সম্ভব নয়। তবে উদ্যোগ নিলে অদূর ভবিষ্যতে তা বাস্তবায়ন হবে। সমাপনী বক্তব্যে বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, একদিনে ব্যাংকিং খাতকে পেপারলেস করা সম্ভব নয়। তবে উদ্যোগ নিলে অদূর ভবিষ্যতে তা বাস্তবায়ন হবে।
×