ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

এটা আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা ॥ রোহিঙ্গা নিয়ে জাতিসংঘ

প্রকাশিত: ১১:১৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯

এটা আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা ॥ রোহিঙ্গা নিয়ে জাতিসংঘ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ দুই বছরে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমারকে রাজি করাতে না পারাকে সবার ‘সম্মিলিত ব্যর্থতা’ হিসেবে বর্ণনা করলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো। বুধবার ঢাকায় ‘ডিক্যাব টক’-এ তিনি বলেন, আমার মতে এটা স্বীকার করতে হবে যে, মিয়ানমারকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা রয়েছে। এই ব্যর্থতা শুধু জাতিসংঘের নয়, অনেকের। খবর বিডিনিউজের। ঢাকার কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের প্রতিনিধির সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি রাহীদ এজাজ ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব। বক্তব্যে বাংলাদেশে জাতিসংঘ পরিচালিত সব ধরনের কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন মিয়া সেপ্পো। তবে প্রশ্নোত্তরে গুরুত্ব পায় রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ। বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ। এদের সাড়ে সাত লাখই এসেছে ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের মুখে। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফেরাতে উদ্যোগ নেয়া হলেও মিয়ানমার সরকার এখনও রাখাইনে তাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি না করায় তা সফল হয়নি। নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরতে চায় তারা। রোহিঙ্গা সঙ্কটকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করে এর সমাধানে জটিলতার দিকগুলো তুলে ধরেন মিয়া সেপ্পো। সঙ্কটের মূল কারণ মিয়ানমারে রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর সমাধান আসবে বিভিন্ন দিক থেকে নানা উদ্যোগের মাধ্যমে। মিয়া সেপ্পো বলেন, এই সঙ্কটের দিকে অব্যাহত নজর ধরে রাখা এবং এটা নিয়ে আলোচনায় সদস্য দেশগুলোকে এক জায়গায় আনতে সক্ষম হয়েছে জাতিসংঘ। এখন সঙ্কট নিরসনের পথ হিসেবে দুটি দিকের ওপর গুরুত্ব দেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি। প্রথমত, আমাদের সামনে যেসব প্রশ্ন আছে সেগুলোর সমাধান কোন একটি বিষয় দিয়ে হবে না। আমরা একসঙ্গে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি, সেগুলো জটিল ও পরস্পর সম্পর্কিত। অবশ্যই, প্রধান লক্ষ্যগুলোর একটি নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি। তার আগ পর্যন্ত শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার কারণে বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ওপর যে প্রভাব পড়ছে সেদিকে নজর দেয়ার পাশাপাশি এই রোহিঙ্গাদের দিকে মনোযোগ দেয়ার কথা বলেন তিনি। তার মতে, দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে সমাধানের ‘স্থায়িত্ব’।
×