ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

লাইসেন্সের চেয়ে ৫৪ গুণ বেশি উৎপাদন দেখিয়ে অটো চালকলে বরাদ্দ

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ১০ অক্টোবর ২০১৯

লাইসেন্সের চেয়ে ৫৪ গুণ বেশি উৎপাদন দেখিয়ে অটো চালকলে বরাদ্দ

হারেজুজ্জামান হারেজ, সান্তাহার ॥ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ১২ অটোমেটিক চালকলের কাগজ-কলমে ৫ গুণ থেকে ৫৪ গুণ বেশি উৎপাদন ক্ষমতা দেখিয়ে প্রাপ্যতার অধিক বরাদ্দ দেয়ার তথ্য মিলেছে। ২০১১ সাল থেকে উপজেলার অটোচালকলের লাইসেন্স দেয়া শুরু হয়। খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক লাইসেন্স প্রদান করেন। সান্তাহার খাড়ির ব্রিজ এলাকায় বৈশাখী অটোমেটিক রাইস মিল (১) এর লাইসেন্সে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা ২৪০ মেট্রিক টন। সদ্য গত বোরো মৌসুমে খাদ্য বিভাগের বিভাজন তালিকায় ছাঁটাই ক্ষমতা ৪ হাজার ৯৭৯ মেট্রিক টন দেখিয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৪৯৮ মেট্রিক টন। যা’ লাইসেন্সের চেয়ে ২১ গুণ বেশি। একই মালিকের বৈশাখী অটোমেটিক রাইস মিল লিঃ, লাইসেন্সে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা ১৫৬ মেট্রিক টন। বোরো মৌসুমে এটির ছাঁটাই ক্ষমতা ৮ হাজার ৫৭৯ মেট্রিক দেখিয়ে বরাদ্দ দেন ২ হাজার ৫৮১ মেট্রিক টন। যা’ লাইসেন্সের চেয়ে ৫৪ গুণ বেশি। গত আমন মৌসুমে ছিল ৮০ গুণ বেশি। এই ২মিলে গত ৩ মৌসুমে সবার চেয়ে বেশি বরাদ্দ দেয়ার রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। সান্তাহার-ধামকুড়ি রোডের সাহারা অটোমেটিক রাইস মিল। লাইসেন্স-২৪০ মেট্রিক টনের। বোরো মৌসুমে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা ১ হাজার ২৪৮ মেট্রিক টন দেখিয়ে বরাদ্দ দেয়া হয় ৩৭৫ মেট্রিক টন। যা’ লাইসেন্সের চেয়ে ৫ গুণ বেশি। আদমদীঘি সদরের মোত্তাকিন অটোমেটিক রাইস ও বয়লার মিল, এটির লাইসেন্সে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা ১৫৬ মেট্রিক টন। বোরো মৌসুমে ছাঁটাই ক্ষমতা ২ হাজার ১৮৪ মেট্রিক টন দেখিয়ে বরাদ্দ দেয়া হয় ৬৫৭ মেট্রিক টন। যা’ ১৪ গুণ বেশি। সান্তাহারের পশ্চিম সিংড়া এলাকায় আরিফ অটোমেটিক রাইস মিল, লাইসেন্সে ছাঁটাই ক্ষমতা ১৫৬ মেট্রিক টন। বোরো মৌসুমে এই মিলের পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা ২ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন দেখিয়ে বরাদ্দ দেয়া হয় ৭৮৮ মেট্রিক টন। যা ১৭ গুণ বেশি। সান্তাহার খাড়িরপুল এলাকার কালাইকুড়ি অটো রাইস মিল, লাইসেন্সে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা ২৪০ মেট্রিক টন। বোরো মৌসুমে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা ১ হাজার ৩৬০ মেট্রিক টন দেখিয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪০৯ মেট্রিক টন। যা ৬ গুণ বেশি। সান্তাহারের পশ্চিম সিংড়া এলাকার সালমান অটো রাইস মিল, এটির লাইসেন্সে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা ২৪০ মেট্রিক। বোরো মৌসুমে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা ২ হাজার ৪৯৬ মেট্রিক টন দেখিয়ে বরাদ্দ দেয়া হয় ৭৫১ মেট্রিক টন। যা ১০ গুণ বেশি। সান্তাহার কলাবাগান এলাকার বুশরা এ্যাগ্রো ফুড লিঃ, লাইসেন্সে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা ২৪০ মেট্রিক টন। বোরো মৌসুমে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা ১ হাজার ৭২২ মেট্রিক টন দেখিয়ে বরাদ্দ দেয়া হয় ৫১৮ মেট্রিক টন। যা ৭ গুণ বেশি। একই মালিকের নিউ বুশরা এ্যাগ্রো অটো রাইস মিল, লাইসেন্সে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা ২৪০ মেট্রিক টন। বোরো মৌসুমে ১০ গুণ বেশি দেখিয়ে বরাদ্দ দেয়া হয় ৭৫১ মেট্রিক টন। ধামকুড়ি রোডের নাহিদ এ্যান্ড ব্রাদার্স এ্যারোমেটিক অটো রাইস মিল, হেমতখালী এলাকার ইছামতি অটো রাইস মিল এবং একই এলাকার মৌ এ্যাগ্রো অটোমেটিক রাইস মিলে লাইসেন্সের চেয়ে ১০ গুণ বেশি ছাঁটাই ক্ষমতা দেখিয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭৫১ মেট্রিক টন করে। উপজেলায় সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ৪৪৭ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ১২ অটোতে দেয়া হয়েছে ১০ হাজার ৬৪২ মেট্রিক টন। এদিকে মৌ এ্যাগ্রো অটোমেটিক রাইস মিলের লাইসেন্সে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা কলামটি কাটাকাটি করা হয়েছে। ২৪০ মেট্রিক টন ধান লেখাটি কেটে দিয়ে লেখা হয়েছে ৭৫৫ মেট্রিক টন চাল। এর কারণ জানাতে পারেনি বর্তমান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।
×