ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জয়ী হোক সদিচ্ছা

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ১০ অক্টোবর ২০১৯

জয়ী হোক সদিচ্ছা

দুর্নীতি সমাজের দুষ্টক্ষত। দুর্নীতি উন্নয়নের জীবনযাত্রাকে পিছিয়ে দেয়। দুর্নীতির কারণে সমাজের একটি অংশ অল্প ক’দিনেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে প্রবাসীদের দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় বলেছেন, ‘দুর্নীতিবাজ ও অসৎ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতি-অনিয়ম-উচ্ছৃঙ্খলায় জড়িত থাকলে দলের লোকদেরও ছাড় দেয়া হবে না। দুর্নীতি না হলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত। সরকার যেসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তার প্রতিটি টাকা যদি সঠিকভাবে ব্যয় হতো আজকে বাংলাদেশ আরও অনেক বেশি উন্নত হতে পারত’। তিনি যথার্থই বলেছেন, দুর্নীতি না হলে বাংলাদেশ উন্নয়নের স্বর্ণশিখরে পৌঁছে যেত। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের জুলাই পর্যন্ত জঙ্গীদের অপ্রতিরোধ্য মানুষ হত্যার তা-ব দেখে মনে শঙ্কা হয়েছিল, বাংলাদেশ কি এই অপশক্তির কাছে হার মানবে? এ দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই অপশক্তির কোমর ভেঙে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সর্বত্রই মানুষ বলছেন, শেখ হাসিনা অনেক কিছুই করেছেন, যা পূর্বের কেউ করেনি। এখন দুর্নীতির মহামারীর কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে পারলে শেখ হাসিনা ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। মিডিয়ার রিপোর্টে জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে যুবলীগের ছয় শীর্ষ নেতা ক্যাসিনো ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। তার পাঁচজনই অন্য দল থেকে যুবলীগে অনুপ্রবেশকারী। কেউ বিএনপির যুবদল থেকে, কেউ আবার জামায়াত শিবির থেকে, কেউ আবার জাতীয় পার্টি থেকে, কেউ ফ্রিডম পার্টি থেকে। অনুপ্রবেশকারী এসব লোকজন শাসক দলের আশ্রয় নিয়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে শেখ হাসিনা সরকারকে। তাহলে দল অপশক্তি হতে মুক্ত হতে পারবে। ত্যাগী নেতা কর্মীরা মূল্যায়িত হতে পারবেন। দুর্নীতিবাজ যেই হোক, তার ওপর আঘাত হানার নীতি সরকারের সদিচ্ছা সম্পর্কে জনমনে বিশ্বাস যোগ্যতা সৃষ্টি করেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছেন শেখ হাসিনা, সে লড়াইয়ে জেতার বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা জিতলে আইন ও সুশাসন জয়ী হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার জয়ী হবে। পাপাচারের বিরুদ্ধে সততার জয় হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
×