ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাকশী পদ্মা নদী থেকে কোটি টাকা মূল্যের পেপার মিলের পন্টুন উধাও

প্রকাশিত: ০৯:৫৭, ৮ অক্টোবর ২০১৯

পাকশী পদ্মা নদী থেকে কোটি টাকা মূল্যের পেপার মিলের পন্টুন উধাও

স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ পদ্মা নদীতে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত পেপার মিলে পানি সরবরাহের বিশালাকৃতির সচল পন্টুনটি রহস্যজনক ভাবে সোমবার রাতে উধাও হয়ে গেছে। বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে একইভাবে পানির উপর ভাসমান অবস্থায় সুরক্ষিত থাকার মত স্থাপন করা পন্টুনটি হঠাৎ করে হারিয়ে যাওয়ায় এলাকায় রহস্যের জাল ঘণীভুত হয়েছে। এ ঘটনা জানাজানির পর এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও সচেতন মহলের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টিও হয়েছে। কেউ বলছেন, পদ্মা নদীতে হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির সুযোগে মিল কর্তৃপক্ষের কোন অসাধু ব্যক্তির সাথে যোগসাজ করে বিশেষ কোন চোরাই সিন্ডিকেটের সদস্যরা রাতের অন্ধকারে চুরি করে নিতে পারে। আবার কেউ বলছেন, দীর্ঘদিন থেকে মিলটি বন্ধ থাকার পরও কি রহস্যজনক কারণে মূল্যবান পন্টুনটি স্থানান্তর করা হলোনা ? এ বিষয়ে পাবনা জেলা জাসদ নেতা ও নদী এলাকার অধিবাসী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, হঠাৎ করে পন্টুন উধাও হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক। বিশালাকৃতির পন্টুনটি হারানোর কথা না, কারণ সেখানে মিলের নির্ধারিত পাহারাদার থাকে। আর মিল কর্তৃপক্ষই বা কেন এত মূল্যবান সরকারী সম্পদটিকে মিলে নিয়ে সংরক্ষন করলেন না ? ভেসে গেলেও কেউনা কেউ দেখতে পেত । পাকশী পেপার মিলের সিবিএ এর সাবেক নেতা এম রশিদউল্লাহ বলেন, বিষয়টি রহস্য জনক। হঠাৎ করে উধাও হতে পারেনা। কোন সংঘবদ্ধ চক্র এটি উধাও করতে পারেনা। বিষয়টি তদন্ত করে রহস্য উৎঘাটন করা জরুরি। এ বিষয়ে মিলের এমডি সিরাজুল ইসলাম বলেন, পন্টুনের ভিতরের পাম্প মেশিন ও জেনারেটর খুলে নিয়ে মিলে সংরক্ষণ করা আছে। পন্টুনের তলা ফুটো হয়ে ডুবে যেতে পারে। ডুবে যাওয়ার বিষয়ে এলাকাবাসীদের একটি সূত্রমতে, পন্টুনের স্থানটিতে এত বেশী পানির গভীরতা নেই যে, পন্টুনের ছাদ ডুবে যাবে। যেভাবেই পন্টুন উধাও হোকনা কেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্তা ব্যক্তিদের সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উৎঘাটন করা হবে বলে সূত্রটি মনে করে।
×