ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এনসিএলে উইকেটকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিসিবি

প্রকাশিত: ১২:০৩, ৮ অক্টোবর ২০১৯

 এনসিএলে উইকেটকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিসিবি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) টুর্নামেন্ট কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেছিল এবারের ২১তম জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে। তারপর বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানিয়েছিলেন এবার ৪ ভেন্যু- রাজশাহী, খুলনা, ফতুল্লা ও মিরপুরে হবে প্রথম শ্রেণীর এ ক্রিকেট আসর। কিন্তু এ সোমবার এনসিএলের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে আবারও ওয়ালটনের নাম ঘোষণার পর বিসিবি সময়সূচী ঘোষণার মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে ১০ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে এবারের এনসিএল। অংশগ্রহণকারী ৮ দলের চূড়ান্ত স্কোয়াড প্রাইজমানি, ম্যাচ ফি, দৈনন্দিন ভাতাও জানিয়েছে বিসিবি। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে আরও ৩ বছরের জন্য এনসিএলের স্পন্সর হিসেবে ওয়ালটনের সঙ্গে চুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়। ফলে এবারও এনসিএল পরিচিত হবে ২১তম ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লীগ হিসেবে। ৮ বছর ধরেই বিসিবির সঙ্গে যুক্ত আছে ওয়ালটন গ্রুপ। ঘরোয়া আসরগুলো তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও টাইটেল স্পন্সর হয়েছে তারা। তবে বিশেষ করে প্রথম শ্রেণীর অন্যতম আসর এনসিএলে তারা বরাবরই ছিল। এবার সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু নতুন করে আবারও ৩ বছরের জন্য ওয়ালটন গ্রুপের সঙ্গে এনসিএলের স্পন্সর হিসেবে চুক্তি করেছে বিসিবি। সোমবার আগামী ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া ২১তম এনসিএলের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ওয়ালটনের নাম ঘোষণা ও লোগো উন্মোচন করা হয়। বিসিবির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিইও নিজামউদ্দিন, টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব রাকিব হায়দার, ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম, ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম ও এডিশনাল ডিরেক্টর মিলটন আহমেদ। ওই সময় এবার এনসিএলের উইকেট উন্নত করার বিষয়ে নিজামউদ্দিন বলেন, ‘কিছু নির্দেশনা মাঠ পরিচালনা কমিটি থেকে দেয়া হয়েছে। উইকেট তৈরি, মাঠ তৈরির বিষয়ে কিছু নির্দেশনা তো দেয়া হবেই।’ এবার এনসিএল শুরুর তারিখ ঘোষণার পরই উইকেট নিয়ে অনেক ক্রিকেটার কথা বলেছিলেন। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের উইকেট দাবি করেছিলেন অনেকে। সেজন্যই নিজামউদ্দিন এমনটা জানালেন। কারণ এবার বিসিবি টেস্ট দলকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে বাংলাদেশের আসন্ন ভারত সফরে। সেজন্য সেভাবেই উন্নত মানের ও ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের উইকেট গড়ায় মনোযোগ বিসিবির। সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি থেকে এবারের এনসিএলের সার্বিক বিষয়াদি জানানো হয়েছে। ৮ দলের চূড়ান্ত স্কোয়াডে শুধু ঢাকা বিভাগ ও সিলেট বিভাগের ১৫ জন করে খেলোয়াড় আছে। বাকি দলগুলো ১৪ জনের। এবার প্রাইজমানি হিসেবে প্রথম স্তরের চ্যাম্পিয়নরা ২০ লাখ ও রানার্সআপ ১০ লাখ টাকা এবং দ্বিতীয় স্তরের চ্যাম্পিয়ন ৫ লাখ টাকা পেলেও রানার্সআপরা কিছুই পাবে না। প্রস্তুতির জন্য ৮ দলই ৬ লাখ টাকা করে পাবে। প্রতিদিন খেলোয়াড়রা ভাতা হিসেবে ১৫০০ টাকা ও যাতায়াতের জন্য ২৫০০ টাকা করে পাবেন। তবে ম্যাচ ফি প্রথম স্তরের খেলোয়াড়রা ৩৫ হাজার এবং দ্বিতীয় স্তরের খেলোয়াড়রা ২৫ হাজার টাকা পাবেন। ম্যান অব দ্য ম্যাচের জন্য প্রথম স্তরে ২৫ হাজার, দ্বিতীয় স্তরে ২০ হাজার টাকা। আসরের সেরা খেলোয়াড় প্রথম স্তরের জন্য ১ লাখ, দ্বিতীয় স্তরের জন্য ৫০ হাজার, সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি প্রথম স্তরে ৭৫ হাজার, দ্বিতীয় স্তরে ৫০ হাজার। এছাড়া প্রতি ম্যাচ জয়ের জন্য বিজয়ী দল বোনাস হিসেবে প্রথম স্তরে ৮০ হাজার এবং দ্বিতীয় স্তরে ৭৫ হাজার টাকা পাবে। এবার ১০ ভেন্যু- বগুড়া, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, ফতুল্লা, বরিশাল, কক্সবাজারের ২টি, রংপুর ও মিরপুরে হোম এ্যান্ড এ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা হবে। ১০ অক্টোবর প্রথম স্তরের ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী-ঢাকা ফতুল্লায়, খুলনা-রংপুর খুলনায় এবং দ্বিতীয় স্তরের দুই ম্যাচে বরিশাল-সিলেট রাজশাহীতে ও মিরপুরে ঢাকা মেট্রো-চট্টগ্রাম মুখোমুখি হবে।
×