ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ সিলভারউড

প্রকাশিত: ১২:০২, ৮ অক্টোবর ২০১৯

 ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ সিলভারউড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সিলভার উডকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ইংল্যান্ড। বিশ্ব ক্রিকেটে এটি তেমন কোন আলোচিত খবর নয়। ৪৪ বছর বয়সী সিলভারউড আগে থেকেই দলটির বোলিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন। তবু খবরের শিরোনামে আশার কারণ ইংল্যান্ড বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! বিশ্বকাপের মধ্যপথেই ট্রেভর বেইলিস জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি আর থাকছেন না। অনেকে অনুমান করেছিলেন ইংলিশদের ঐতিহাসিক প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেয়ায় হয়তো সিদ্ধান্ত বদলাতেও পারেনি। সেটি হয়নি। ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তাই একজন উঁচুমানের কোচ খুঁজছিল। আগ্রহী তালিকায় ছিলেন গ্যারি কারস্টেন, এ্যালেক স্টুয়ার্ট এবং গ্রাহাম ফোর্ডের মতো হাইপ্রোফাইল। ভারতকে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানো কারস্টেন কেবল ওয়ানডেতে কাজ করতে চেয়েছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে মূলত সাবেক অধিনায়ক স্টুয়ার্ট ও সিলভারউডের মধ্যে। সেখান থেকে সিলভারউডকে বেছে নেয়ার কারণ তারকাখচিত দলটির সঙ্গে তার কাজ করার অভিজ্ঞতা। ইসিবির পুরুষ দলের পরিচালক এ্যাশলে জাইলস বলেন, ‘আমরা সিলভারউডকে কোচ হিসেবে বেছে নিতে পেরে খুবই উচ্ছ্বসিত। সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমাদের সম্ভব্য সব প্রার্থীর ব্যাপারে বিচার-বিবেচনা করেছি। ক্রিসকে তাদের মধ্যে সেরা প্রার্থী বলেই মনে হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি তিনি আমাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এছাড়া টেস্ট অধিনায়ক জো রুট এবং ওয়ানডে ও টি২০ অধিনায়ক ইয়ন মরগানের সঙ্গে তার সম্পর্কও ভাল। দলের সহকারী কোচ হিসেবেও ক্রিস ভাল কাজ দেখিয়েছেন।’ ইংল্যান্ডের কোচ হওয়ার দৌড়ে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ গ্যারি কারস্টেন এগিয়ে ছিলেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হিসেবেও ভাল করেছেন। কিন্তু ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের নিজ দেশের কাউকেই প্রথম পছন্দ ছিল। সেজন্য সিলভারউড সুযোগটা পেয়েছেন। ইংল্যান্ডের কোচ হয়ে সম্মানিত মনে করছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে আগামী মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট এবং টি২০ সিরিজ হবে ক্রিস সিলভারউডের প্রথম পরীক্ষা। ক্যারিয়ারে ঘরোয়া ক্রিকেটে সিলভারউড ছিলেন খুবই পরিচিত মুখ। তিনি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ১৮৪টি। উইকেট নিয়েছেন ৫৭৭টি। এছাড়া লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে ২০২ ম্যাচ খেলে ডান হাতি এই মিডিয়াম পেসার ২৫৯ উইকেট নেন। কিন্তু ইংল্যান্ড জাতীয় দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি সিলভারউড। তিনি মাত্র ৬টি আন্তর্জাতিক টেস্ট এবং ৭টি ওয়ানডে খেলেছেন। ২০১০ সালে তিনি এক্সেসের বোলিং কোচের দায়িত্ব পান। পরে প্রধান কোচও হন। তিনি ২০ বছর পরে ইংল্যান্ডের স্বদেশী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেলেন। এর আগে ১৯৯৯ সালে পিটার মুরস ছিলেন ইংল্যান্ডের স্বদেশী কোচ।
×