ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবহন ব্যয়ের কারণে কমছে কৃষিপণ্য রফতানি

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ৮ অক্টোবর ২০১৯

  পরিবহন ব্যয়ের কারণে কমছে কৃষিপণ্য রফতানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের শাক-সবজি, ফলমূল ও চিংড়ি রফতানি কমার অন্যতম কারণ পণ্যের আন্তর্জাতিক পরিবহন ব্যয়। বলছেন সাপ্লাইচেইন বিশেষজ্ঞরা। সমাধানে দেশীয় বিমানগুলোতে পরিবহন ব্যয় নির্ধারণ ও কোটা রাখার পরামর্শ দিলেন তারা। কৃষিমন্ত্রী জানান, পচনশীল পণ্য রফতানির পরিবহন খরচ কমাতে কাজ করছে সরকার। শুধু সবজিতে নয়, মাছ চাষেও বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ। আর আম উৎপাদনের সপ্তম। তারপরও এসব পণ্য রফতানিতে উল্লেখযোগ্য কোন অবস্থানে নেই কৃষি নির্ভর এই দেশ। পুষ্টি নির্ভর খাদ্যে ভোক্তাদের আগ্রহ বাড়ায়, সারাবিশ্বে এখন চাহিদা বাড়ছে চিংড়িরও। গবেষণা বলছে, ২০২৭ সাল নাগাদ চিংড়ির চাহিদা দ্বিগুণ হবে, কিন্তু গেল ৫ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে কমেছে এ পণ্যটির রফতানিও। রফতানিকারকরা বলছেন, আম, সবজি এবং চিংড়ি রফতানি কমে যাওয়ার একটা বড় কারণ পরিবহন ব্যয়। তবে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক শোনাচ্ছেন আশার বাণী। তিনি জানান, আপাতত নিজস্ব যাত্রীবাহী বিমানে কম খরচে দ্রুত পচনশীল পণ্য রফতানির দিকে নজর দিচ্ছে সরকার। তবে, সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহিবুল হক বলছেন, পচনশীল পণ্যের জন্য শুধু শীতাতপ কার্গো বিমান কিনলে হবে না, খরচ কমাতে দেশের অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোকেও ব্যবহার করতে হবে সরাসরি রফতানির জন্য। এই বিশেষজ্ঞদের দাবি মংলার নতুন বিমানবন্দরে বড় কার্গো বিমান নামার সুযোগ না রাখায়, রফতানির পরিবহন ব্যয় বাড়বে। এছাড়া শাহজালাল বিমানবন্দরের যে কার্গো ভিলেজ করা হচ্ছে তাও অপরিকল্পিত। সনাতনী কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করতে রফতানিতে গুরুত্ব দিতে সরকারের দৃষ্টি চান সংশ্লিষ্টরা।
×