ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে ভুটান গেল বাংলাদেশ কিশোরী ফুটবল দল

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ৭ অক্টোবর ২০১৯

 শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে ভুটান গেল বাংলাদেশ কিশোরী ফুটবল দল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই আসরে দু’বারই ফাইনালে নাম লেখানো। একবার যে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে শিরোপা জেতা, পরের আসরেই সেই প্রতিপক্ষের কাছেই ফাইনালে হেরে শিরোপা খোয়ানোর স্বপ্নভঙ্গ। এবার তৃতীয় আসরে কি হবে? বলা হচ্ছে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৫ জাতীয় নারী ফুটবল দলের কথা। সাফ অনুর্ধ-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরে টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে খেলতে চায় তারা। সেই সঙ্গে পুনরুদ্ধার করতে চায় শিরোপাও। সেই লক্ষ্যেই সোমবার বিকেলে বিমানযোগে ভুটানের উদ্দেশ্যে রওনা হয় কিশোরী ফুটবলাররা। এবার অপেক্ষাকৃত নতুনদের নিয়ে বাংলাদেশ দল গঠন করা হয়েছে। দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ও অধিনায়ক শামছুন্নাহার (জুনিয়র) দু’জনেই যাবার আগে শিরোপা জয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় এবারের আসরে প্রতিদদ্বন্দ্বিতা করছে ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপাল। পাকিস্তান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা অংশ নিচ্ছে না। রাউন্ড রবিন লিগ শেষে সেরা দুই দল ১৫ অক্টোবর ফাইনালে মুখোমুখি হবে। টুর্নামেন্ট শুরু হবে ৯ অক্টোবর থেকে। ওইদিন উদ্বোধনী ম্যাচে বেলা ৩টায় নেপাল মোকাবেলা করবে ভারতকে। একই ভেন্যুতে সন্ধ্যা ৬টায় স্বাগতিক ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। লাল-সবুজ বাহিনীর পরের ম্যাচগুলো হচ্ছে যথাক্রমে ১১ অক্টোবর বেলা ৩টায় নেপাল এবং ১৩ অক্টোবর একই সময়ে ভারতের বিরুদ্ধে। প্রতিটি খেলাই সরাসরি সম্প্রচারিত হবে অনলাইনভিত্তিক মাইকুজো টিভিতে। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকায় আয়োজিত এই আসরে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ছোটনের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে ভুটানে আয়োজিত দ্বিতীয় আসরে ভারতের কাছে একই ব্যবধানে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল মারিয়ারা। এবার সেই ভুটানেই শুরু হতে যাচ্ছে তৃতীয় আসর। ২০১৭ সালে প্রথম শিরোপা জেতার পর এবং! ২০১৮ আসরে রানার্সআপ হবার পরই কোচ ছোটন বুঝতে পেরেছিলেন তাদের আগের স্কোয়াড থেকে মনিকা, মারিয়া, তহুরা বা আঁখির মতো অভিজ্ঞ প্রায় ১৫ ফুটবলারই বয়সের কারণে ২০১৯ আসরে খেলতে পারবে না। এটা মাথায় রেখেই বাফুফে বিভিন্ন ইভেন্ট থেকে (সুব্রত কাপ, জেএফএ অ-১৪ কাপ, ইউনিসেফ অ-১৬ ফুটবল এবং বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবল) নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড় সংগ্রহ শুরু করে। তারপর তাদেরকে বাফুফের আবাসিক ক্যাম্পে রেখে দীর্ঘমেয়াদে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তবে ছোটনের জন্য সমস্যা হতে পারে-এই ব্যাচটা সম্পূর্ণ নতুন। এই দলের ৯ জনের আন্তর্জাতিক খেলার অভিজ্ঞতা আছে। বাকি ১৪ জনই সবাই নতুন। ফলে দলকে ফাইনাল পর্যন্ত নেয়াটা ছোটনের জন্য চাপ ও চ্যালেঞ্জেরই বটে। তবে দল নিয়ে ছোটন যথেষ্টই আশাবাদী। বাংলাদেশ অ-১৫ জাতীয় নারী ফুটবল দল \ রূপনা চাকমা, ইয়াসমিন আক্তার, উন্নতি খান, শামসুন্নাহার জুনিয়র (অধিনায়ক), নাসরিন আক্তার, সোহাগী কিসকু, রোজিনা আক্তার, কোহাতি কিসকু, শাহেদা আক্তার রিপা, রেহেনা আক্তার, নওসন জাহান, আবেদা আক্তার, আফেদিয়া খন্দকার, মাহফুজা খাতুন, মেহেনুর আক্তার, নুসরাত জাহান বৃষ্টি, ইতি খাতুন, জয়নব বিবি রিতা, সুমি খাতুন, সুরমা জান্নাত, পূর্ণিমা রাণী মণ্ডল, রুমি আক্তার ও স্বপ্না রাণী; প্রধান কোচ : গোলাম রব্বানী ছোটন, সহকারী কোচ : মাহবুবুর রহমান লিটু, মাহমুদা আক্তার অনন্যা, ম্যানেজার : আমিরুল ইসলাম বাবু।
×