ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৭ অক্টোবর ২০১৯

 চিকিৎসায় নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

অনলাইন ডেস্ক ॥ অক্সিজেনের উপস্থিতিতে শরীরের কোষের সাড়া দেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করে চলতি বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের দুইজন এবং যুক্তরাজ্যের একজন বিজ্ঞানী। লন্ডনের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক স্যার পিটার র্যাটক্লিফ এবং যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের উইলিয়াম ক্যালিন ও জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেগ সেমেন্জা এই পুরস্কার পেয়েছেন। তারা তিনজনই হাইপোক্সিয়া গবেষক। কোষ কিভাবে অক্সিজেনের উপস্থিতি অনুভব করে এবং সাড়া দেয় তা নিয়ে গবেষণা করছিলেন তারা। তাদেরকে সম্মানি হিসেবে ১১ লাখ মার্কিন ডলারও দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবছর মেডিসিনেই প্রথম নোবেল জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। উল্লেখ্য ১৯০৫ সালে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা ক্ষেত্রে ১০৮বার নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালে নেতিবাচক ইমিউন নিয়ন্ত্রণে বাধাদানের মাধ্যমে ক্যান্সার থেরাপি আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেলে পান জেমস পি. অ্যালিসন ও তাসুকু হনজো। আর ২০১৭ সালের বায়োলজিকাল ক্লকসের মলিকিউলার মেকানিজমের আবিষ্কারের কারণে নোবেল পুরস্কার জেতেন বিজ্ঞানী জেফরি হল, মাইকেল রোশবাশ ও মাইকেলণ ইয়াং। তিনজন বিজ্ঞানীই মূলত হাইপোক্সিয়া নিয়ে গবেষণা করছিলেন। হাইপোক্সিয়া এমন এক অবস্থা যেখান মানবদেহ কিংবা দেহের কোনও নির্দিষ্ট অঙ্গ বা অংশের কোষ পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। এতে করে পুরো শরীর কিংবা নির্দিষ্ট অঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়ে। গবেষকরা বের করেন যে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে ওই কোষ কিভাবে সাড়া দেয় এবং তা গ্রহণ করে। ১৮৯৫ সালের নবেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল তার মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরষ্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮তে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যু বরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করা এবং নোবেল পুরষ্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। আর বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ একাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়।
×