ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে অভিনন্দন

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ৬ অক্টোবর ২০১৯

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে অভিনন্দন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহু ক্যাসিনো অর্থাৎ ভয়ঙ্কর জুয়ার আড্ডা বন্ধ করে দিয়েছেন। এর সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে দলের কয়েক নেতাকেও গ্রেফতার করাতে এতটুকু দ্বিধা করেননি। মানুষের মুখে মুখে এখন যে কথা চলছে তা হলো, গ্রেফতারের রশি অনেক ওপরে যাবে। এমনকি তিনি বলেছেন তার দল, সরকার এবং আত্মীয়-স্বজন হলেও রেহাই পাবে না। আমরা জানি, জাতির পিতার দুই কন্যা ও তাদের পরিবারের বাইরে বঙ্গবন্ধুর আত্মীয়-স্বজন পরিচয়ে সমাজ এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকেই রয়েছেন। তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি প্রযোজ্য কিনা সেটি ব্যাপকভাবে আলোচনা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ, সম্পাদক শোভন-রাব্বানীকে পদ থেকে বহিষ্কার করেছেন। ঠিকাদারী ব্যবসার আড়ালে ক্যাসিনোর মতো হাজার কোটির জুয়া এবং দেশী-বিদেশী নারীদের এনে নানান কাজে ব্যবহার ইত্যাদির অভিযোগে জি কে শামীম, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধানসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এমনকি আওয়ামী লীগের অন্যতম শক্তিধর আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের ব্যাংক হিসাব পর্যন্ত তলব করা হয়েছে। এমন সাহস, এমন দেশপ্রেম, মানুষের কাছে দায়মুক্তির এমন দ্বিতীয় উদাহরণ আছে কি? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন। আমরা আছি আপনার সঙ্গে। মাননীয় নেত্রী, ধরিত্রীর আদরের কন্যা শেখ হাসিনা আপনার সুস্থ দীর্ঘজীবন কামনা করি। পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাষায় দুঃখী মানুষের মুক্তির জন্য (অবশ্য এরই মধ্যে আপনি বাংলাদেশকে অনেকখানি তুলে এনেছেন) বাঙালী আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। মাননীয় বঙ্গবন্ধুকন্যা নাগরিক হিসেবে আপনার এই মহাযুদ্ধে আমাদেরও শরিক হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি (BNP- Basically no party) ১৭ কোটি মানুষের কল্যাণের পক্ষে পরিচালিত এই রাষ্ট্রীয় অভিযানও সমর্থন করতে পারছে না। রাজনৈতিক দল বলতে যা বোঝায় দলটি তা নয় বলেই এই দৈন্যদশা। ভাল কাজেরও শেয়ার করতে পারে না অর্থাৎ মিথ্যাচার করতে করতে এবং সব ব্যাপারে না বলতে বলতে হাঁ বলাই ভুলে গেছে। কোথাও শেয়ার করতে পারছে না। বিএনপি যেসব কথা বলছে : ১. এই অভিযান (দুর্নীতিবিরোধী, মাদকবিরোধী) লোক দেখানো। ২. ভাঁওতাবাজি ৩. ওয়াশিং মেশিনে ধোলাই করে দলীয় দুর্নীতিবাজদের পুনর্প্রতিষ্ঠা। ৪. অভিযানের রশি ওপরের দিকে যাচ্ছে না কেন? ৫. ইত্যাদি কিন্তু তারা যখন এসব বলেন তখন নিজেদের দিকে তাকান বলে মনে হয় না। আর তাই বাস্তবতাও উপলব্ধি করতে পারছেন না। আমরা যদি পেছনের দিকে তাকাই তাহলে দেখব দলটির প্রতিষ্ঠাতা মিলিটারি জিয়াউর রহমান কিভাবে এক সাগর রক্তের এবং ৫ লক্ষাধিক সম্ভ্রম ও জীবনদানকারী মা-বোনের মূল্যে অর্জিত স্বাধীনতাকে আবার পাকিস্তানী পতিত ধারায় নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। জাতির পিতাকে হত্যা করে এই জিয়াউর রহমান নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াত-মুসলিম লীগ-আলবদর-আলশামসকে আবারও রাজনীতি করার লাইসেন্স দিয়েছিলেন। এই মিলিটারি রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে ছিলেন। নাগরিকত্ব হারানো জামায়াতী গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন, রাজনীতির মাঠে নামিয়েছিলেন। চরম বঙ্গবন্ধুবিরোধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনীদের সহযোগী অলি আহাদকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করেন। মিলিটারি এরশাদও এই ধারা অব্যাহত রাখেন। খালেদা জিয়া তো বঙ্গবন্ধুর খুনীদের সঙ্গে নিয়েই চলেছিলেন। দুই আলবদর নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রী বানিয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা দিয়েছিলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন বলেন সরকারের সকল পর্যায় দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত তখন তিনিও ভুলে যান হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবনের কথা। প্রথমটি অর্থ-সম্পদ লুটের কেন্দ্র, দ্বিতীয়টি আনন্দ-ফুর্তি করার। অর্থাৎ হাওয়া ভবনের লুটপাট আর খোয়াব ভবনের আনন্দ-ফুর্তি (নারী-মদ-মাদক) যোগফল হচ্ছে অধুনা আবিষ্কৃত ক্যাসিনো ব্যবসা। যদিও আলমগীর সাহেবরা এটি স্বীকার করবেন না; কিন্তু তাতে কি সত্য চাপা দেয়া যায়? ঘটনা ঘটনাই। বরং এটি যত ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হবে তত বেশি ডালপালা গজিয়ে চারদিকে ছড়াবে, যেমনটি ছড়িয়েছে তারেক জিয়ার আর্থিক লুটপাট। মির্জা ফখরুল ভুলে যান এই বেগম খালেদা জিয়া লাখ লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেছিলেন। সঙ্গে তার অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানও। তিনিও লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেছিলেন। মির্জা সাহেবকে একটু পেছনে তাকাতে বলবÑ এমন সব তথ্য সামনে আসবে যে, সব ঘোর কেটে যাবে। রিজভী-ফারহানাদেরও চেহারায় লজ্জার ছাপ লাগবে। তখন মিথ্যা বলতে গেলে নিজের মধ্য থেকেই বাধা আসবে। মির্জা সাহেব নিশ্চয়ই ভুলে যাননি মিলিটারি জিয়া বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর কেবল যে জয় বাংলা, সংবিধান, স্বাধীনতার মূল ধারা তথা মুক্তিযুদ্ধের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছিলেন তা নয়, সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদর-আলশামস তথা জামায়াত-মুসলিম লীগারদের দিয়ে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ি ছাড়া করেছিলেন, বাঙালী মা-বোনদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করতে করতে হত্যা করেছিলেন, এসব কি ভুলে গেছেন? নাকি ভুলে যাওয়ার ভান করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন? তাই এখনও যে ইতিহাস জ্বলজ্বল করছে- ১. Money is no problem ২. I will make politics difficult for the politicians ৩. খাল কেটে জল আনার পরিবর্তে লাখ লাখ টাকা লুটপাট। ৪. টিভিতে দেখানো হয়েছিল জিয়ার কিছু ছিল না। ভাঙ্গা সুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জি প্রদর্শন করা হয়েছিল। এমনকি জিয়ার পুরনো শার্ট-প্যান্ট কেটে নাকি ছেলেদের শার্ট-প্যান্ট বানানো হতো, নতুন কাপড় কিনে দেয়ার ক্ষমতা ছিল না। তাহলে প্রশ্ন- বঙ্গভবনের সোনালী ব্যাংক ব্রাঞ্চে জিয়ার নামে যে ১০ লাখ টাকার হিসাব পাওয়া গেল সেগুলো কিসের টাকা? কিভাবে সোনালী ব্যাংকের এ্যাকাউন্টে জমা হয়েছিল? এই তথ্যটি ডকুমেন্টসহ তুলে ধরেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রয়াত সংসদ সদস্য শ্রী সুধাংশু শেখর হালদার। ৫. প্রয়াত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহের বীর উত্তম, যিনি সেনারোষ থেকে জিয়াকে রক্ষা করেছিলেন, সেই জিয়া তাকে গোপন ট্রায়াল করে ফাঁসি দিয়েছিলেন। ৬. ১৯৭৭ সালের অক্টোবরে জাপান এয়ারলাইন্স ঔঅখ-এর একটি বিমান সে দেশের টেররিস্ট অর্গানাইজেশন হাইজ্যাক করে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে বাধ্য করে। তখন তেজগাঁও ছিল বিমানবন্দর। ওই সময় একটি ভয়ঙ্কর ক্যু হয়েছিল এবং এক রাতেই বিএএফএর অর্ধশতাধিক অফিসারকে হত্যা করা হয়। পরবর্তীকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারাগারের অভ্যন্তরে ট্রায়াল করে আরও শতাধিক সেনা সদস্যকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল। এই ছিল জিয়ার আমলে আইনের শাসন। গণতন্ত্রের নমুনা:- ১. ক্ষমতা দখল করে মার্শাল গণতন্ত্র চালু করেছিলেন জিয়া। প্রথমে ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতা দখল, তারপর রাজনীতিকদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ওয়াদা খেলাফ করে মার্শাল ল’ ও কারফিউর মাধ্যমে money is no problem বলে দল গঠন এবং প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আগেই নির্ধারিত সংখ্যক আসন দখল এবং ওই সদস্যদের সংসদে পাঠিয়ে মিলিটারি শাসনের অপকর্ম জায়েজ করার ধারার প্রবর্তন। ২. ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচন হয়েছিল কারফিউর মধ্যে এবং তখন কোন কোন কেন্দ্রে শতকরা ১০০ ভাগের ওপর ভোট রেকর্ড করা হয়েছিল এবং থুক্কু দিয়ে পরে লজ্জা ঢাকার চেষ্টা করা হয়েছিল। ৩. এর আগে হ্যাঁ-না ভোট বা রাষ্ট্রপতি ভোট হয় কারফিউর মধ্যে এবং তাতেও শতকরা এক শ’ ভাগের বেশি ভোট দেখানো হয় কিছু কিছু কেন্দ্রে। এক্ষেত্রেও একইভাবে লজ্জা ঢাকার চেষ্টা করা হয়। ৪. সংবাদপত্র, টিভি বা সোশ্যাল মিডিয়ার কারও কারও মুখে শোনা যায় মিলিটারি জিয়া নাকি কৃষি উৎপাদন বাড়িয়েছিলেন! ৫. প্রকৃত তথ্য হলো, ১৯৭৪ সালে বন্যা এবং দুর্ভিক্ষ হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সরকার বিনা মূল্যে সার, কীটনাশক, সেচ পাম্প দেশব্যাপী সরবরাহ করে। ফলে বাম্পার ফলন হয় এবং ফসল কৃষকের ঘরে ওঠার আগেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় আর ফসল উঠে জিয়ার ক্ষমতা দখলের পর। ৬. ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষের সময় সরকারের খাদ্য সচিব ছিলেন আব্দুল মোমিন খান (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খানের পিতা)। দুর্ভিক্ষের পেছনে চক্রান্তের কারণে তার সাজা হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু তা না হয়ে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। জিয়া তাকে খাদ্যমন্ত্রীও বানিয়েছিলেন। যেমন একাত্তরের ৯ মাস খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টে কাটানোর বিনিময়ে প্রটোকল ব্রেক করে পাকিস্তানী জেনারেল জাঞ্জুয়ার মৃত্যুতে শোক পাঠানো কিংবা নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে শহীদদের রক্তে রঞ্জিত লাল-সবুজ পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। ৭. কথা বলার সময় মনে রাখা দরকার ঢাকায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র, বগুড়ায় দেড় লক্ষাধিক বুলেট উদ্ধার এসব ঘটেছিল খালেদার আমলে। ৮. আরেক দিক হলো, জিয়া ৬ বছর, বিচারপতি সাত্তারের ১০ মাস এবং খালেদার ১০ বছর কয়েক মাস এই দীর্ঘ সময়ে দেশের কোন্ কাজটা করতে পেরেছে? জিডিপি, গড় আয়ু, শিক্ষার হার, বিদ্যুত, অবকাঠামো কোন একটি খাতেও সাফল্য দেখাতে পারবে না। ৯. বরং খালেদার ২০০১-২০০৬ এই সময়টাতে আওয়ামী লীগ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যে নির্যাতন, হত্যা, হাত-পায়ের রগ কাটা, গোয়ালের গরু, পুকুরের মাছ, বনের গাছ লুট, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি হয়েছিল তার তুলনা কেবল ঐ সময়টাই। তথ্যগুলো তুলে ধরলাম এই জন্য যে, শুধু বাংলাদেশে নয়, বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সরকারের সমালোচনা করার সময় তারা তাদের অতীত ভুলে যান। তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশ, খাদ্য উৎপাদন, জিডিপি, মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু, শিক্ষার হার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রফতানি আয়, মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্যসীমার নিচে মানুষের হার ৪০% থেকে নামিয়ে ২১%-এ আনা, বিদ্যুত উৎপাদন ও প্রায় গোটা দেশকে বিদ্যুত ও সোলার বিদ্যুতের আওতায় আনা, অবকাঠামো উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ঈর্ষণীয় উচ্চতায় তুলে আনার বিষয়গুলো দেখেন না। তারা অন্ধ, বধির, কেবল মুখটা চলে। আরও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, উল্লিখিত কর্মযজ্ঞের মাঝেও শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা হত্যার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। সর্বশেষ শুরু করেছেন শুদ্ধি অভিযান এবং নিজ দল থেকে শুরু করেছেন। মিডিয়ার তথ্য বলছে, ঢাকার ডাকসাইটে যুবলীগ নেতা সম্র্রাট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে। শোনা যায়, এই স¤্রাট কেবল নামে নয়, বিত্ত- বৈভবেও স¤্রাট এবং দৈনন্দিন আয়ের ক্ষেত্রেও সম্রাট, চমকে উঠতে হয়। এমনও শোনা যায়, এই সম্রাটের ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক নেতাও রয়েছেন। অভিযান চলছে, অভিযান অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ অভিযান কেবল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, আরও কোথায় কোথায় ক্যাসিনো কান্ড আছে, লুটপাটের অর্থ আছে, সেখানেও চলবে। ঢাকা ॥ ৫ অক্টোবর, ২০১৯ লেখক : এমপি, সিনিয়র সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, উপদেষ্টা, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, সিনেট সদস্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় [email protected]
×