ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মানব কল্যাণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগাতে হবে

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ৫ অক্টোবর ২০১৯

 মানব কল্যাণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগাতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অবিশ্বাস্য শক্তি সমাজকে সুনিপুনভাবে বদলে দিতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশ জাতি ও মানবতার জন্য অনেক ভাল কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এবং এর মাধ্যমে মানুষের চেয়ে অনেক বেশি স্মার্ট ও দক্ষতার সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে বিপুল পরিমাণ তথ্য-উপাত্ত (ডেটা) যাচাই-বাছাই করা সম্ভব। শুক্রবার ভারতের নয়াদিল্লীর তাজ প্যালেস হোটেলে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিট ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ফর অল’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা শহিদুল আলম মজুমদার জানিয়েছেন, প্যানেল আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন গ্লোবাল এশিয়া-প্যাসিফিক আমেরিকা (এপিএ) লিডারশিপ টিমের এ্যাডভাইজার দীপঙ্কর সানওয়ালকা, হাওলেট পেকার এন্টারগ্রাইজ ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শম সাটশানজি, মডারেটর হিসেবে ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইকোমিক ফোরামের আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ও মেশিন লার্নিংয়ের কর্মকর্তা কে এফ ভুটারফিল্ড। বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সরকারী ও বেসরকারী খাতের মেশিন লার্নিং ও এআই বিশেষজ্ঞগণ অংশ নেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন ঘোষণার পর বাংলাদেশ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্মার্ট সিটি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সবকিছুতেই টেকনোলজি ও ইমার্জিং টেকনোলজি ব্যবহার করছে। আর্টিফিশিয়াল টেকনোলজি আসার পর মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজতর করতে আমরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নে এ আই ব্যবহারের জন্য কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে কাজ করছি। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) কৌশলপত্রের প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত করেছে, যা বর্তমানে চূড়ান্ত করার পর্যায়ে রয়েছে। ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে একদিকে মেশিনের কার্যক্রম বাড়বে অন্যদিকে মানুষের কার্যক্রম কমে আসবে। ফলে মানুষকে রিস্কিলিং বা নতুন করে প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষিত জনবল গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমসহ ৪টি স্তম্ভের বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নতুন প্রযুক্তির উপযোগী করে গড়ে তুলতে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কারিকুলাম প্রস্তুত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই আইসিটি বিষয়কে স্কুল থেকে কলেজ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দ্রুতই আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। শিক্ষার্থীদের আইটি শিল্পের সক্ষমতা বিকাশে আইসিটি বিভাগ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮ হাজার ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স, রোবাটিকস্, ডাটা এনালিটিক বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর আগে মাল্টিলেটারাল লেভেল, বাংলাদেশ ফোরামের মিনিস্ট্রিয়াল সেশন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। এ সময় তিনি বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি ও বিভিন্ন কার্যক্রম বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে ধরেন।
×