ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শাহরিয়ার সোহেল

বোধের ভেতর অন্য এক বোধ

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ৪ অক্টোবর ২০১৯

বোধের ভেতর অন্য এক বোধ

কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় আছে বোধের ভেতর অন্য এক বোধ, যা নিভৃতে কাজ করে চলে সংগোপনে। তিনি ছিলেন একজন কালসচেতন ও ইতিহাস সচেতন কবি। আধুনিক কাব্যকলার বিচিত্র ইজম প্রয়োগ ও শব্দ নিরীক্ষার ক্ষেত্রেও তার অনন্যতা বিস্ময়কর। বিশেষত কবিতার উপমা প্রয়োগে তিনি সিদ্ধহস্ত। কবিতাকে তিনি মুক্ত আঙ্গিকে উত্তীর্ণ করে গদ্যের স্পন্দন যুক্ত করেন, যা পরবর্তী কবিদের প্রবলভাবে আলোড়িত করে, জীবনবোধকে শাণিত করে। কবি জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন স্কুল শিক্ষক ও সমাজসেবক। তিনি ‘ব্রহ্মবাদী’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। মা কুসুম কুমারী ছিলেন একজন বিখ্যাত কবি। জীবনানন্দ দাশের বাল্যশিক্ষার সূত্রপাত হয় মায়ের কাছেই। তারপর তিনি বরিশালের ব্রজমোহন স্কুলে ভর্তি হন। ১৯১৫ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯১৭ সালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে আইএ প্রথম বিভাগে এবং ১৯১৯ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজীতে অনার্সসহ বিএ পাস করেন। ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন। ১৯২২ সালে কলকাতা সিটি কলেজে ইংরেজী ভাষা সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। জীবনানন্দ দাশ ১৯৩৫ সালে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজে যোগদান করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের কিছু আগে তিনি সপরিবারে কলকাতায় চলে যান। জীবনের এক নতুন অধ্যায় সূচিত হয়। অল্প বয়স থেকেই জীবনানন্দের কাব্যচর্চার শুরু হয়। স্কুলে ছাত্রাবস্থায় তার প্রথম কবিতা ‘বর্ষ আবাহন’ ব্রহ্মবাদী পত্রিকায় (বৈশাখ ১৩২৬/এপ্রিল ১৯১৯ খ্রি.) প্রকাশিত হয়। ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ঝরাপালক’। ১৯৩০ সালের ৯ মে বিয়ে করেন রোহিণী কুমার গুপ্তের মেয়ে লাবণ্য গুপ্তকে। বিবাহিত জীবন তার মোটেই সুখের ছিল না। বিয়ের পর অনেকদিন কর্মহীন জীবন কেটেছে জীবনানন্দ দাশের। দুটি সন্তান ছিল তার, মেয়ে মঞ্জুশ্রী ও ছেলে সমরানন্দ। জীবনানন্দ দাশ বৈষয়িক জীবনে কখনও সফলতা পাননি। বার বার ভাবতেন আত্মহত্যার কথা। সারাটা জীবন তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্থান মনে করতেন প্রিয় মাতৃভূমিকে। জীবনানন্দ দাশ কবি হলেও অসংখ্য ছোটগল্প, কয়েকটি উপন্যাস ও প্রবন্ধ গ্রন্থ রচনা করেছেন। জীবদ্দশায় তিনি এগুলো প্রকাশ করে যেতে পারেননি। ঔপন্যাসিক ও গল্পকার হিসেবে জীবনানন্দের স্বতন্ত্র প্রতিভা ও নিভৃত সাধনার উন্মোচন ঘটে মৃত্যুর পরে প্রাপ্ত তার অসংখ্য পাণ্ডুলিপিতে। তাকে বিকশিত হওয়ার বিষয়ে সহায়তা করেন কবি বুদ্ধদেব বসু। জীবনানন্দের প্রথম কাব্যে নজরুল, সতেন্দ্রনাথ ও মোহিতলালের কাব্য ধারার প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্যধারা থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্নপথের অনুসন্ধানী। তার কবিতার ভেতর জেগে ওঠে, বোধের ভেতর অন্য এক বোধ, যা স্বতন্ত্র ধারায় বিকশিত এবং আজও প্রবহমান। তার বিখ্যাত কাব্যগুন্থগুলো হচ্ছে ধূসর পাণ্ডুলিপি (১৯৩৬), বনলতা সেন (১৯৪২), মহাপৃথিবী (১৯৪৪), সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮), রূপসী বাংলা (১৯৫৭), বেলা অবেলা কাল বেলা (১৯৬১)। এ ছাড়া বহু অগ্রন্থিত কবিতা, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে মাল্যবনে (১৯৭৩), সুতীর্থ (১৯৭৭), জলপাই হাটি (১৯৮৫), জীবন প্রণালী (অপ্রকাশিত), রাসমতির উপাখ্যান (অপ্রকাশিত) ইত্যাদি। তার রচিত গল্পের সংখ্যা দুই শতাধিক। কবিতার কথা (১৯৫৫) নামে তার একটি কালজয়ী প্রবন্ধ গ্রন্থ আছে। সম্প্রতি কলকাতা থেকে তার গদ্য রচনা ও অপ্রকাশিত কবিতার গঙ্কলনরূপে ‘জীবনানন্দ সমগ্র’ (১৯৮৫) নামে বারো খণ্ড রচনাবলী প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কালজয়ী এক বিস্মের বিস্ময়। জীবনানন্দ দাশ আধুনিক বাংলা কবিদের মধ্যে অন্যতম। তার কবিতার চিত্রকল্প, যার সঙ্গে আমরা অনায়াসে ঘনিষ্ঠবোধ করি। এটি তার জনপ্রিয়তার অন্যতম একটি কারণ। যে প্রকৃতির বর্ণনা তিনি করেন, বাস্তবে তাকে অন্য রকম মনে হয়। অনেক সময় তার উচ্চারিত শব্দ চিত্র আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। আগাগোড়া তার কবিতার মূল সুর বিষণœ, সবচেয়ে উজ্জ্বল যে রং তাও ধূসর, অথচ তা সত্ত্বেও জীবনানন্দ দাশের কবিতায় আমরা ব্যক্তিগত প্রেরণার উৎস খুঁজে পাই। তবে প্রকৃতির পাশাপাশি জীবনানন্দের শিল্পজগতে মূর্ত হয়েছে বিপন্ন মানবতার ছবি এবং আধুনিক নগর জীবনের অবক্ষয়, হতাশা, নিঃসঙ্গতা। জীবনানন্দ দাশ ছিলেন একজন সমাজসচেতন কবি। তিনি ইতিহাস চেতনা দিয়ে অতীত ও বর্তমানকে অচ্ছেদ্য সম্পর্ক সূত্রে বেঁধেছেন। তার কবি স্বভাব ছিল অন্তর্মুখী, দৃষ্টিতে ছিল চেতনা থেকে নিশ্চেতনা ও পরচেতনার শব্দরূপ আবিষ্কারের লক্ষ্য। সুরিয়ালিজম তার কবিতায় স্পষ্ট। তিনি ব্যবহার করেছেন ইমপ্রেশনিস্টিক রীতি, পরাবাস্তবতা। জীবনানন্দ বাংলা কাব্য সাহিত্যের যে বোধের ভেতর অন্য এক বোধ আবিষ্কার করেছিলেন, তা তার সময়ে খুব কম কাব্যরসিকই বুঝতে পেরেছিলেন। জীবনানন্দ দাশের কবিতাগুলো অনন্যতায় ভাস্বর। বোধের ভেতর জেগে ওঠে অন্য এক ভিন্ন মাত্রার বোধ। ‘অবসরের গান’ কবিতায় ইন্দ্রিয়ঘন উপমা-আশ্রিত চিত্রকল্পে বিস্ময় জাগে। ‘শুয়েছে ভোরের রোদ ধানের উপরে মাথা পেতে/ অলস গেঁয়োর মতো এই খানে কার্তিকের ক্ষেতে;/মাঠের ঘাসের গন্ধ বুকে তার, ‘চোখে তার শিশিরের ঘ্রাণ’-কী যে এক বিস্ময় জাগে মনের ভেতর। তিন পঙ্ক্তি জুড়েই একটি বিশেষ বোধ উজ্জ্বল হয়ে আছে। জীবনানন্দ দাশ রূপের রাজ্যে ক্লান্তপ্রিয় মানুষের চোখে দেখেন ‘আকাশের মেঠোপথে থেমে ভেসে চলে চাঁদ।’ কারণ ‘সকল পড়ন্ত রোদ চারদিকে ছুটি পেয়ে জমিতেছে এইখানে এসে।’ শীতের শেষে বসন্ত, বসন্ত শেষ না হতেই গ্রীষ্মের আলস্য মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। অনেকটা ‘গ্রীষ্মের সমুদ্র থেকে চোখের ঘুমের গান আসিতেছে ভেসে’ ধরনের বার্তাও সুস্পষ্ট। ‘মৃত্যুর আগে’ কবিতায় বিশেষ বোধের বিস্ময় জাগে। ‘আমরা হেঁটেছি যারা নির্জন খড়ের মাঠে পউষ সন্ধ্যায়/সব রাঙা কামনার শিয়রে যে দেয়ালের মতো এসে জাগে/ধূসর মৃত্যুর মুখ’ মৃত্যুর আগে বেঁচে ওঠার এক তীব্র বাসনা সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়। ‘আটবছর আগের একদিন’ একটি রহস্যময কবিতা। রহস্যটা ‘বোধের দিক থেকে এক বিরাট বিস্ময়। ‘চাঁদ ডুবে চলে গেলে- অদ্ভুত আঁধারে/যেন তার জানালার ধারে/উটের গ্রীবার মতো কোন এক নিস্তব্ধতা এসে’ নগরের ক্লেদজ ও মমতাহীন যাপিত জীবনের নির্মম চিত্র এখানে প্রকটিত। আকাশলীনা কবিতায় যে কবিকে পাই, সে কবি ভালবাসার এক মূর্ত প্রতীক। চান না তার প্রেয়সী বিপদে পড়ুক। ‘সুরঞ্জনা/ঐখনে যেও নাকো তুমি/বলো নাকো কথা ওই যুবকের সাথে/কী কথা তাহার সাথে/ তার সাথে’, এ ভালবাসা একান্ত বোধের জাগরণে উজ্জ্বলতর হয়ে উঠেছে। ‘জীবনানন্দ স্বভাবের একটি জটিল সারল্যের কবিতা ‘বোধ’। সহজ-সরল বাক্যবন্ধের সম্মিলনে রচিত এ কবিতা। আপাত সরল বাক্যাবলীর মাধ্যমেই জটিল চিন্তা ঘনীভূত হয়ে উঠেছে; ধীরে ধীরে। ক্রমেই জটিলতম চিন্তার দুর্গম অঞ্চলে পরিণতি পেয়েছে। ব্যক্তি-বিশেষের স্ববিরোধ শিল্পের অঞ্চলে এক অনির্বচনীয় ঢেউয়ের নাম ‘বোধ’। ‘আলো-অন্ধকারে যাই-মাথার ভেতরে/স্বপ্ন নয়-কোন এক বোধ কাজ করে/ সে কেন জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়’ কিন্তু সে বোধ কী? সে প্রশ্নের উত্তর মেলে না। অথচ দুর্বোধ্য সে অনুভূতিপুঞ্জকেই যেন গভীর মমতায় প্রকাশ্য করে তুলতে চেয়েছিলেন। না পেরেই কি একা হয়ে গেলেন? ‘সকল লোকের মাঝে বসে/আমার নিজের মুদ্রাদোষে/আমি একা হতেছি আলাদা?/আমার চোখে শুধু ধাঁধা? আমার পথেই শুধু বাধা?’ উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, এ বৈশিষ্ট্যই জীবনানন্দ দাশকে রোমান্টিক এবং সমকালীন আধুনিক কবিদের থেকেও ভিন্ন ও বিশিষ্ট এবং বিশ্লিষ্ট করেছে। এটিই তার মহত্তম আধুনিক কবিসত্তার শ্রেষ্ঠতম প্রকাশ। মানুষের প্রতি ভালোবাসা, ঘৃণা, অবহেলা— সবই একজন মানুষের মনে কী করে একীভূত হয়ে এক অব্যক্ত বেদনারাশির জন্ম দেয়, তা-ই যেন এ কবিতার মূল বিষয়ে পরিণত। এটি আধুনিকতাবাদের নৈরাশ্য ও নিঃসঙ্গচেতনা কিংবা বিচ্ছিন্নতাবোধ এবং অলৌকিকতায় আস্থাহীনতার বৈশিষ্ট্যকে নিশ্চিতির রূপ দেয়। আপন চিত্তের চাঞ্চল্যের কার্যকারণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ কবি। বিস্ময় প্রকাশের ভাষা তার, ‘সে কেন জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা একা কথা কয়!’ তার পরই বিস্ময়াভিভূত আপন হৃদয়ের কাছেই প্রশ্ন জমা রাখেন, ‘অবসাদ নাই তার? নাই তার শান্তির সময়?’ অসুখী মানুষ, জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতকে সহ্য করেও শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকার আকুতিই প্রকাশ করে। সাঁর্ত্রে কথিত অস্তিত্ববাদী চেতনার এ আরেক বিরল দৃষ্টান্ত। ‘গোধূলি সন্ধির নৃত্য’র সঙ্গে ‘বোধ’ কবিতার অন্তর্গত মিলের চেয়ে অমিলই যেন বেশি। যে অর্থে ‘ গোধূলি সন্ধির নৃত্য’ রাজনীতি সচেতন কবিতা, সে অর্থে ‘বোধ’ নয়। প্রথমটিতে ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির যোগাযোগকে পূর্ণ করে তোলা হয়েছে, দ্বিতীয়টিতে ব্যক্তির একাকিত্ব, হাহাকারকে চাড়িয়ে দিয়েছেন মানব মনে।’ জীবনানন্দ দাশ বাংলা কবিতার একেবারে স্বতন্ত্র উজ্জ্বলতর অদ্ভুত আলো। ‘মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে’ দেখে কবি নিজেও প্রস্তুর যুগ থেকে আধুনিক যুগের দিকে যাত্রা করেছেন। এ রকম আরো বহু কবিতা রয়েছে, যা বিশ্লেষণ করলে কবির কবিতায় ফুটে ওঠে, বোধের ভেতর অন্য এক বোধ। যা আলো-অন্ধকারের সমন্বয় ঘটিয়েছে নান্দনিকভাবে। জীবনানন্দ দাশের কবিতা-গল্প-উপন্যাসে ব্যক্ত হয়েছে দাম্পত্য জীবনের সঙ্কট, নরনারীর মনস্তত্ত্ব ও যৌন সম্পর্কের জটিলতা এবং সমকালের আর্থ-সামাজিক কাঠামোর বিপর্যয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে জীবনানন্দের কবিতার ভূমিকা ঐতিহাসিক। ষাটের দশকে বাঙালীর জাতিসত্তা বিকাশের আন্দোলনে এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে সংগ্রামী চেতনায় বাঙালি জনতাকে তার ‘রূপসী বাংলা’ তীব্রভাবে অনুপ্রাণিত করে। জীবনানন্দ ছিলেন আধুনিক যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি। তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘বনলতা সেন’ নিখিল বঙ্গ রবীন্দ্র সাহিত্য সম্মেলনে ১৯৫৩ সালে পুরস্কৃত হয়। জীবনানন্দের ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ গ্রন্থটি ১৯৫৪ সালে ভারত সরকারের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করে। ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর কলকাতায় এক ট্রাম দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে জীবনানন্দ দাশ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। জীবনানন্দ দাশকে ঘিরে আমাদের আগ্রহ ও বিস্ময় অন্তহীন। তার ব্যবহৃত শব্দের ভেতর থেকে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য এবং ইন্দ্রিয়াতীত সব অনুভূতির সন্ধান পাওয়া সম্ভব। সে সব শব্দ থেকে বিচ্ছুরিত হয় আলো ও অন্ধকার। বিশ শতকের অন্য কোন কবি আমাদের কল্পনায় এমন প্রবলভাবে দাগ কাটতে সক্ষম হননি। তার কবিতার অলঙ্কার শব্দ ব্যবহার আমাদের ক্রমেই বিস্মিত করে চলেছে এবং জীবনমুখী এক বোধের ভেতর ভাসিয়ে নিয়ে চলেছে। তার মৃত্যুর এত বছর পরও আমরা তাকে স্মরণ করি এমনভাবে, যেন উজ্জ্বল নক্ষত্র রাতের আকাশে ভরিয়ে তুলেছে দিগন্তব্যাপী আলোর প্লাবন।
×