ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাত গোলের ম্যাচে লিভারপুলের জয়

প্রকাশিত: ১২:০৫, ৪ অক্টোবর ২০১৯

সাত গোলের ম্যাচে লিভারপুলের জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাত গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে স্বস্তির জয় পেয়েছে লিভারপুল। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে বুধবার রাতে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে তিন গোলে এগিয়ে যেয়েও অস্ট্রিয়ান ক্লাব রেড বুল সালসবার্গকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে ইংলিশ পরাশক্তিরা। আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে জোড়া গোল করেন মিসরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহ। একটি করে গোল করেন সাদিও মানে ও এ্যান্ডি রবার্টসন। দারুণ লড়াই করা রেড বুলের হয়ে গোলগুলো করেন হাওয়াং হি চেন, বদলি টাকুমি মিনামিনু ও বিস্ময় বালক আরলিং ব্রট হালান্ড। চলমান আসরে লিভারপুলের এটি প্রথম জয়। নেপোলির কাছে ২-০ গোলে হেরে মিশন শুরু করেছিল জার্গেন ক্লপের দল। তবে চমকটা ধরে রাখতে পারেনি ইতালিয়ান ক্লাবটি। বেলজিয়ামের ক্লাব জেঙ্কের মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছে নেপোলি। এরপরও ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে শীর্ষে আছে দিয়াগো ম্যারাডোনার সাবেক ক্লাব। ৩ পয়েন্ট করে নিয়ে গোলগড়ে দুই ও তিনে যথাক্রমে রেড বুল ও লিভারপুল। নিজেদের মাঠে ম্যাচের নবম মিনিটে মানের গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। রবার্টো ফিরমিনোর যোগান থেকে গোলটি করেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ২৫ মিনিটে আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের সহায়তায় গোল করে চ্যাম্পিয়নদের দুই গোলে এগিয়ে দেন স্কটিশ অধিনায়ক রবার্টসন। ৩৬ মিনিটে সালাহ গোল করে ৩-০ গোলের লিড দেন চ্যাম্পিয়নদের। তিন গোল হজমের পরই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় অতিথি রেড বুল। তিনটি গোলই ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলে তারা। ৩৯ মিনিটে অতিথিদের হয়ে প্রথম গোলটি করেন হাওয়াং হি চেন। বিরতির পর ৫৬ মিনিটে মিনামিনু ও ৬০ মিনিটে হালান্ড গোল করে ম্যাচে ৩-৩ গোলে সমতা ফেরান। তবে আরেকবার এগিয়ে যেতে বেশিক্ষণ সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। ৬৯ মিনিটে সালাহ গোল করে স্বস্তি ফিরিয়ে আনেন এ্যানফিল্ডে। বাকি সময়ে আর গোল পায়নি কোন দলই। ম্যাচ শেষে লিভারপুল কোচ জার্গেন ক্লপ বলেন, আমরা দরজা খুলে দিয়েছি এবং সেই পথে দৌঁড়ে ঢুকে পড়েছে তারা। এটি একটি শিক্ষণীয় বিষয়। তারা যে প্রথম গোলটা করেছে, সেটা খুব সহজেই আমরা বলের দখল হারিয়েছি। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় গোলটাতেও তাই। ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার সময় পাল্টা আক্রমণে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। সবমিলিয়ে আমাদের অনেক শেখার আছে এই ম্যাচ থেকে। ‘এইচ’ গ্রুপে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে ইংলিশ ক্লাব চেলসি। ফরাসী ক্লাব লিলেকে তাদেরই মাঠ স্টাডে পিয়েরে-মাওরয়তে ২-১ গোলে হারিয়েছে ব্লুজরা। আর টানা দুই জয় পেয়েছে গত মৌসুমে সেমিফাইনালে খেলা আয়াক্স। ডাচ ক্লাব ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্পেনের ভ্যালেন্সিয়াকে। ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞায় এবারের মৌসুমে চেলসিকে বাধ্য হয়েই তরুণদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। ইনজুরি কাটিয়ে এই ম্যাচে দলে ফেরেন ফরাসী মিডফিল্ডার এন’গোলো কান্টে। ম্যাচের ২২ মিনিটে ফিকায়ো টোমোরির পাস থেকে টামি আব্রাহাম চেলসিকে এগিয়ে দেন। এরপর অবশ্য বেশ কিছুটা সময় লিলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৩৩ মিনিটে জোনাথন বাম্বার কর্নার থেকে ২০ বছর বয়সী নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার ভিক্টর ওসিমেন হেডে গোল করে লিলেকে সমতায় ফেরান। এবারের মৌসুমে লিলের হয়ে এটি তার সপ্তম গোল। বিরতির পর ১৮ বছর বয়সী হাডসন-ওডোই মাঠে নামার পর ফর্মেশন পরিবর্তন করেন চেলসি কোচ ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। এতেই আসে কাক্সিক্ষত সাফল্য। ৭৮ মিনিটে বামদিক থেকে হাডসন-ওডোইয়ের ক্রসে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার উইলিয়ান ভলিতে দুর্দান্ত গোল করে চেলসিকে গুরুত্বপূর্ণ জয় পাইয়ে দেন। এটি ছিল ৩১ বছর বয়সী উইলিয়ানের চেলসির হয়ে ৩০০তম ম্যাচ। মাইলফলকের ম্যাচটি গোল করে স্মরণীয় করে রাখলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ম্যাচ শেষে চেলসির প্রথম গোলদাতা আব্রাহাম বলেন, সবমিলিয়ে এটি দারুণ একটি ম্যাচ ছিল। এখানে খেলাটা কখনই সহজ ছিল না। আর ব্লুজ কোচ ল্যাম্পার্ড বলেন, এটা সত্যিই কঠিন একটি মাঠ। ছাদের নীচে খেলাটা একটু কঠিন। কাউন্টার এ্যাটাকে লিলে অত্যন্ত দক্ষ। এ কারণেই এই বিষয়টিতে আমাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হয়েছে। সবমিলিয়ে সত্যিকার অর্থেই আমরা দারুণ খেলেছি।
×