ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রয়োজন

প্রকাশিত: ০৯:২০, ৪ অক্টোবর ২০১৯

স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রয়োজন

দেশে দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার শিকার হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা খাত। এ খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কার বিভিন্ন সরকারের আমলে না করায় জগদ্দল পাথরের মতো মানুষের মৌলিক অধিকার বিশেষত রোগব্যাধি হলে চিকিৎসা পাওয়া যেন অপ্রতুল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি ঠিক যে বর্তমান সরকারের কারণে শিশুমৃত্যুর হার, মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে এবং মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যসেবার জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যেমন নেই; তেমনি দক্ষ নার্স, বায়োটেকনোলজিস্টও দেশে নেই। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বঙ্গবন্ধু দেশে কিডনি এবং নিউরোসার্জন যাতে তৈরি হয়, সে জন্য তৎকালীন পিজিতে দু’জন প্রখ্যাত ডাক্তারকে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে তাঁর শাসনামলে রেখে দিয়েছিলেন। আজ এত বছর পরও সমগ্র দেশে কিডনি বিশেষজ্ঞ আছেন পঞ্চাশ জনের মতো। নিউরোসার্জনের সংখ্যাও শতাধিক মাত্র। মানুষ উন্নততর চিকিৎসাপ্রাপ্তির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। কেননা প্রায় ১৭ কোটি মানুষের দেশে এত স্বল্পসংখ্যক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে চলে না। অন্যদিকে কার্ডিওলজিস্টের সংখ্যাও বড়জোর দু’শ’র মতো। আবার কার্ডিওভাসকুলার সার্জনের সংখ্যাও দেড় শ’র মতো। স্বল্পসংখ্যক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অত্যন্ত কম। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে টানাটানি চলতে থাকে। বর্তমানে যত বেশি বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা তৈরি হচ্ছে, খরচ বৃদ্ধির হার ততই বাড়তে থাকে। আগে একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অনেক রোগের চিকিৎসা করতেন। কিন্তু এখন ভিন্ন ভিন্ন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ায় সাধারণ চিকিৎসা প্রার্থী আমরা যারা আমজনতা, তারা খুবই সমস্যায় রয়েছি। এখন দেখা যাচ্ছে যে, জায়গা-জমি বিক্রি করে মানুষ হয় ঢাকায় চিকিৎসার জন্য, আসে নচেত দেশের বাইরে সামর্থ্য অনুযায়ী যায়। কেননা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় এমন অব্যবস্থাপনা যে, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যে কোন টেস্টের ওপর কমিশন যায় ডাক্তারের কাছে। আবার একই কোম্পানির ওষুধ, যা দেশ থেকে বিদেশে রফতানি হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেশে ওই ওষুধের মান রফতানিকৃত ওষুধের সমকক্ষ নয় বলে প্রতীয়মান হয়। এমনকি কতিপয় অর্থগৃধœু ওষুধ প্রস্তুতকারক ওষুধে আটা-ময়দা ব্যবহার করেন বলে পত্রিকান্তরে রিপোর্ট বেরিয়েছিল। তেমনি কিছু ওষুধ ব্যবসায়ী ক্যান্সার-হার্টসহ বিভিন্ন জটিল রোগের ওষুধের ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ বদল করে বিক্রির রিপোর্টও আমরা বিভিন্ন টিভি রিপোর্টে দেখেছি। আবার দেশের একটি নামকরা সরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে সুইপার-নার্স দ্বারা অপারেশনের সচিত্র প্রতিবেদনও টিভি সংবাদে দেখেছি। এ এক বিভীষিকা। কেবল যারা নামকরা ব্যক্তি অথবা ধনিক শ্রেণী তারা বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় জটিল রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা পেয়ে থাকেন। আর দরিদ্র, নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণী সাধ্য অনুযায়ী চিকিৎসা পাচ্ছেন না। চিকিৎসায় ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে এখন অনেক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে পেটোয়া বাহিনী রাখা হয়, রোগী মরে গেলেও ভেন্টিলেশন মেশিনে রেখে টাকা বলপূর্বক অন্যায্যভাবে আদায় করা হয়। ডাক্তার-নার্সের অবহেলায় রোগী মারা গেলে, আইনের আশ্রয় নিলে সংঘবদ্ধভাবে চিকিৎসক- নার্সরা চট্টগ্রামে কিভাবে নেমে এসেছিল মাঠে, জিম্মি করেছিল সাধারণ রোগীদের, তার সচিত্র প্রতিবেদন বেশ কিছুদিন আগে দেশবাসী একযোগে টিভি-পত্রিকাসহ নানা গণমাধ্যমের সুবাদে জ্ঞাত রয়েছেন। এর আগে সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নি ডাক্তার বনাম ক্রাইম রিপোর্টারদের দফায় দফায় সংঘর্ষ প্রায় দু’বছর আগে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসারত মায়ের চিকিৎসা করলে তিন কন্যাকে আটকে যে ধরনের অশালীন আচরণ করা হয়েছেÑ তা কহতব্য নয়। ক্রিকেটার মাশরাফি এমপি হিসেবে যখন তার স্থানীয় এলাকার চিকিৎসকদের হাসপাতালে না থাকার কথা বললেন, তখন যে ধরনের আচরণ তার বিরুদ্ধে কতিপয় চিকিৎসক সামাজিক মাধ্যমে করলেন এবং একটি টিভির সিইও যিনি নিজে চিকিৎসকÑ এত বড় বড় কথা লিখলেন, বললেন, ভাবতেও অবাক লাগে। চিকিৎসা তো দেবেনই না, বরং মিথ্যা দোষারোপের খেলায় মেতে ওঠেন। একেই বলে চোরের মায়ের বড় গলা। দেশে একটি সুসমন্বিত চিকিৎসা উন্নয়ন পরিকল্পনা থাকা দরকার- যেখানে তরুণ বয়সে চিকিৎসক কিভাবে রোগীর সেবার পাশাপাশি নিজেকে তার পছন্দমতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকে রূপান্তর করতে পারেন। তিনি যদি শহরে না থেকে গ্রামীণ এলাকায় থাকেন, অন্তত পাঁচ বছর, তাহলে যেন উচ্চতর শিক্ষা প্রশিক্ষণে অগ্রাধিকার পান, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশেষ পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারে। আবার চিকিৎসক হওয়ার জন্য যে পরিমাণ বিশাল অঙ্কের খরচ হচ্ছে, তা সীমিত করা উচিত। বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজে পনেরো থেকে পঞ্চাশ লাখ টাকা লাগে অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন ছাত্রছাত্রীকে চিকিৎসক হতে। এর ওপর তার থাকা-খাওয়া-বইপত্র, যানবাহনসহ নানাবিধ খরচ তো রয়েছেই। যখন এত বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করে কেউ চিকিৎসক হোন, স্বাভাবিক নিয়মেই তার লক্ষ্য থাকে কত দ্রুত ওই বিনিয়োগকৃত টাকা মুনাফায় রূপান্তর করা যায়। সাভারের একটি বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, যাদের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, গবেষণা করে দেখেছি তারা মরদেহ না কেটেই ডাক্তার তৈরি করছেন। সেখানে স্থায়ী নার্স হাতেগোনা। অধিকাংশ তিন মাসের ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করা হয়, এদের আবার বলা হয় কর্মী। ওই খানে ওয়ার্ড বয়/ব্রাদার সচরাচর রাখা হয় না। দুর্বল নারী কর্মীদের বাধ্য করা হয় সিঁড়ি দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার চার/পাঁচ তলায় তোলার জন্য। এ এক অমানবিক ব্যাপার। চিকিৎসা নিয়ে তেলেসমতি কারবার। আসলে এটিও ওই হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষের কর্মীদের শোষণ করার হাতিয়ারস্বরূপ। যতদিন না দেশে জনসংখ্যা অনুপাতে চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা তৈরি হবে, ততদিন এ ধরনের অব্যবস্থাপনাগত সমস্যা চলতেই থাকবে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেখা যায়, প্রতি দশ হাজার লোকের জন্য ৬ জন ডাক্তার, নার্স ও ধাত্রী রয়েছে। এদিকে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের হিসাবে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে নিচের সারি থেকে দ্বিতীয় স্থানে তাদের হিসাব অনুযায়ী সনাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে ডাক্তার রোগীর অনুপাত হচ্ছে ১০ হাজার জনে ৫.২৬, ভারতে ৭.৭৭, পাকিস্তানে ৯.৭৫, শ্রীলঙ্কায় ৯.৫, নেপালে ৬.৫, মিয়ানমারে ৮.৬, মালদ্বীপে ২২.৩, ভুটানে ৩.৭। অন্যদিকে নার্স-রোগীর অনুপাত হচ্ছে প্রতি দশ হাজার জনের জন্য বাংলাদেশে ৩.০৬, ভারতে ২১.০৭, শ্রীলঙ্কায় ২১.১৫, নেপালে ২৬.৮৫, ভুটানে ১৫-০৭, মিয়ানমারে ৯.৭৫, পাকিস্তানে ৫.০, আফগাস্তিানে ৩.০২। এখানে একটি কথা না বললেই নয়- বাংলাদেশে নার্সরা সামাজিকভাবে যথাযথ সম্মান পান না। ফলে নার্সিং পেশায় না পারতে পড়তে এসে থাকেন। যতক্ষণ না সামাজিকভাবে প্রাপ্য সম্মান নার্সরা পাবেন, ততক্ষণ পারতপক্ষে কেউ নার্স হতে চাইবেন না। অথচ বিদেশে দেখেছি, রোগীরা সবচেয়ে কঠিনতম মুহূর্তগুলো নার্সের সেবা-যতেœ ও আন্তরিকতায় বিপজ্জনক পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারে। অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. একে এনামুল হক স্যারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি বললেন, কানাডার মডেলের মতো নার্সরা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থাকলে ভাল হতো। এদেশে নার্সিং শিক্ষা সমাপ্ত করেও নার্সরা কেবল যন্ত্রচালিতের মতো কাজ করে। এমনিতেই আমাদের গড়পড়তা শারীরিক গড়েন সাধারণত খর্বাকৃতির। ফলে বেশি কায়িক পরিশ্রম করা সম্ভব হয় না। স্বল্পসংখ্যক নার্সের পক্ষে অধিক মানুষের সেবা দেয়া সম্ভব নয়। এ জন্যই বোধহয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে আজ থেকে চৌদ্দ বছর আগে দেখেছি, আমার মা অসুস্থ থাকলেও সে সময়ে আইসিইউতে রাত বারোটার পর নার্সরা টেবিলের মাঝে র‌্যাকে ঘুমাতে যেতেন। একই অবস্থা বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতেও। সে সময়ে বাবার চিকিৎসার সূত্র ধরে প্রত্যক্ষ করেছি। আশার কথা, বর্তমান সরকারের আমলে ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এদিকে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল দি লেনসেট অনুসারে বাংলাদেশের গুণগতমানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে ১৯৫টি দেশের মধ্যে অবস্থা ১৩৩তম এবং শ্রীলঙ্কা ও চীনের পেছনে রয়েছে। যদিও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। আসলে বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে আরও ভাল হতে পারে যদি আমাদের দেশে মেডিক্যাল ট্যুরিজম চালু করা যায়। আর এটি করতে গেলে রফতানিমুখী সেবা খাত হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা বিদেশী ও দেশীদের জন্য ঢেলে সাজাতে হবে। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদালয়ে চিকিৎসায় গবেষণা কার্যক্রম ও শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। তাদেরই খুঁজে বের করতে হবে কেন দেশ থেকে অগণিত রোগী বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন? গত বছর ঈদের পর কলকাতা বিমানবন্দরে দেখেছি চারটি ঢাকাগামী ফ্লাইটের ৩০০ যাত্রীর মধ্যে ২৭০ জন যাত্রী গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। যদি আমাদের দেশে ওসনড়ঁহফ সবফরপধষ ঞড়ঁৎরংস গড়ে তোলা যায়, তাহলে দেশ থেকে বিদেশে যেমন রোগী কমে যাবে, তেমনি দেশে বিদেশ থেকেও রোগী আসবে। প্রচুর সংখ্যক রোগী সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। সেজন্য চিকিৎসার আমূল সংস্কার করতে হবে। রোবটের মতো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের একই দিনে হাসপাতাল ও তিন/চারটি চেম্বারে বসা বন্ধ করতে হবে। চেম্বারে ৪ জন রোগীকে এক সঙ্গে দেখাও বন্ধ করতে হবে। জরুরী কারণেও আজকাল চিকিৎসকেরা ২০-৩০ বছর আগের মতো রোগী দেখতে বাড়ি যান না। একদিকে টাকা অন্যদিকে চাপ- প্রতি মুহূর্তে যেন টাকা উড়ে বেড়ায়। এমনিক বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীকে কেবিনে রেখে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়ের পর বেসরকারী হাসপাতালের বিকেলের চেম্বারে বসলেও দেখতে আসেন না। কি অমানবিক! কেননা তাতে তার প্রাইভেট প্র্যাকটিসের আয় কমে যাবে। অথচ আজ থেকে বিশ বছর আগে ওই চিকিৎসকই কিন্তু বাড়ি গিয়ে রোগী দেখে এসেছেন। চিকিৎসা যেমন মহৎ কাজ, তেমনি ভাল মানুষ না হলে চিকিৎসা কিংবা নার্সিং বা বায়োটেকনোলজিস্ট হওয়ার দরকার নেই। বিপুল পরিমাণের অর্থ বৈধ ও অবৈধ পথে বিদেশে পাচার হচ্ছে, যা উচিত নয়। ঢাকা থেকে বদলি করলে চিকিৎসকরা বাইরে যেতে চান না। আবার সরকারী মেডিক্যাল কলেজে যে সমস্ত পদ, বিশেষত সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক শূন্য রয়েছে সেগুলো অনতিবিলম্বে পূরণ করতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেবার জন্য চিকিৎসক-নার্সের পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা প্রদানের উপযোগী উপকরণ প্রয়োজন। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের স্ব -স্ব হাসপাতালে বিকেলে প্রাইভেট চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়েছেন। আশা করি, সরকারী হাসপাতাল/স্বায়ত্তশাসিত মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়- এগুলো বাস্তবায়ন করবে। নচেত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে টানাটানি চলতেই থাকবে। চিকিৎসার মান উন্নত করতে দেশের অধিকাংশ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান যাতে ঔঈঞ এ্যাক্রেডিয়েটেড (অপপৎবফরধঃবফ) হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দিতে হবে। দেশে যুগোপযোগী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থাপনাগত মান উন্নয়নের প্রয়োজন। প্রতিটি চিকিৎসা কেন্দ্র যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে, মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা সরকারী খাতে বাড়ানো হয়, তার ব্যবস্থা করা দরকার। লেখক : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ [email protected]
×