ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

১০ লাখ মানুষের দারিদ্র্য নিরসনে পিকেএসএফের নতুন প্রকল্প

প্রকাশিত: ১২:১০, ৩ অক্টোবর ২০১৯

১০ লাখ মানুষের দারিদ্র্য নিরসনে পিকেএসএফের নতুন প্রকল্প

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অতি দরিদ্রদের জন্য পাথওয়েস টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপুল (পিপিইপিপি) নামের নতুন এক চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। পিকেএসএফ ভবনে ১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পটির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর আর্থিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে ৬ বছর (২০১৯-২০২৫) মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে। পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডিএফআইডি বাংলাদেশের প্রধান জুডিথ হার্বার্টসন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব কো-অপারেশন মার্শিও চ্যান। প্রধান অতিথি বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে অতি দারিদ্র্য ৮.৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে সরকার বদ্ধ পরিকর। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এক বড় চাপ। পিপিইপিপি প্রকল্প টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট-১ অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে ডিএফআইডির প্রধান জুডিথ হার্বার্টসন বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সব সময় উন্নয়নের আসল চিত্র তুলে ধরে না। বাংলাদেশে এখনও অসমতা, অপুষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো প্রকট সমস্যা বিদ্যমান। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে এক্ষেত্রে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মার্শিও চ্যান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বৈষম্য একটি বড় বাধা বলে উল্লেখ করেন। পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ কমপক্ষে ছয় কোটি দরিদ্র মানুষকে পিকেএসএফ সহায়তা প্রদান করছে। পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক একিউএম গোলাম মাওলা প্রকল্প সম্পর্কে একটি উপস্থাপনা প্রদান করেন। এই প্রকল্প ১০ লাখ মানুষের টেকসই উন্নয়নে ২০টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ১৩টি জেলার প্রায় ১৫০টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হবে যার বাজেট প্রায় ছয় শ’ তিয়াত্তর কোটি টাকা।
×