ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে গৃহবধূ হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যদণ্ড

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ২ অক্টোবর ২০১৯

টাঙ্গাইলে গৃহবধূ হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যদণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১ অক্টোবর ॥ যৌতুকের জন্য গৃহবধূ মন্টি ঘোষ হত্যা মামলায় স্বামী রনি ঘোষকে (৩২) মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় প্রদান করে। দ-িত রনি ঘোষ টাঙ্গাইল শহরের সাহাপাড়ার রবি ঘোষের ছেলে। এছাড়া এ মামলায় গৃহবধূ মন্টি ঘোষের শ্বশুর রবি ঘোষ ও দ-িত রনি ঘোষের ভাইয়ের স্ত্রী পূর্ণিমা ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩০ জুন গাজীপুর জেলার নীলনগর গ্রামের চিনি ঘোষের মেয়ে মন্টি ঘোষের সঙ্গে টাঙ্গাইল শহরের সাহাপাড়ার রবি ঘোষের ছেলে রনি ঘোষের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য কলহ চলছিল। বিয়ের মাত্র আড়াই মাসের মাথায় স্বামী রনি ঘোষ স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। পরে ওই টাকা তার পিতার কাছ থেকে এনে দেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ দিতে থাকে। একই সঙ্গে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। বিগত ২০১৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে টাঙ্গাইল শহরের সাহাপাড়ায় স্বামী রনি ঘোষসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা গৃহবধূ মনটি ঘোষকে গলাটিপে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর নিহতের পিতা চিনি ঘোষ বাদী হয়ে স্বামী রনি ঘোষ, শশুর রবি ঘোষ, ভাই অজিত ঘোষ, সঞ্জিত ঘোষ ও জা পূর্ণিমা ঘোষসহ পাঁচজনকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। চট্টগ্রাম স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানান, যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদ- প্রদান করেছে আদালত। দ-িত জাহাঙ্গীর আলম বোয়ালখালী উপজেলার আহলা সাদারপাড়ার বাসিন্দা। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুশিউর রহমান খান এ রায় প্রদান করেন। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর বোয়ালখালীর আহলা সাদারপাড়া এলাকায় খুন হন গৃহবধূ শামীমা আক্তার। বিদেশ যাওয়ার জন্য যৌতুক চেয়ে না পাওয়ায় জাহাঙ্গীর আলম পিটিয়ে হত্যা করে তার স্ত্রীকে। পরে মরদেহটি গোয়ালঘরে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় শামীমার ভাই সোলায়মান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কুষ্টিয়া নিজস্ব সংবাদদাতা কুষ্টিয়া থেকে জানান, কুষ্টিয়ায় মাদক ও স্কুলছাত্রী ধর্ষণ পৃথক দুটি মামলায় চার যুবকের যাবজ্জীবন কারাদ-সহ অর্থদ-ের আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এক আসামির উপস্থিতিতে মাদক মামলা এবং দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সি মোঃ মশিয়ার রহমান দুই আসামির উপস্থিতিতে ধর্ষণ মামলার এই রায় ঘোষণা করেন। মাদক মামলায় চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার শিবনগর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাদিকুল ইসলাম ওরফে সাদিক (৩০) ও চন্দবাস গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে পলাতক হাবিবুর রহমান ওরফে হবিকে (২৭) যাবজ্জীবন কারাদ-সহ প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদ-ের আদেশ দেয়া হয়। অপরদিকে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের শহীদ উদ্দিনের ছেলে রানা (২৬) ও খলিল উদ্দিনের ছেলে তলিকুল ইসলাম ওরফে গোসাইকে (২৮) যাবজ্জীবন কারাদ- এবং প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদ-ের সাজা দেয়া হয়। অপরদিকে ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্কুলছাত্রী মিরপুুর উপজেলার ভাড়ল গ্রাম থেকে নানিবাড়ি চিথলিয়া গ্রামে যাবার পথে আসামিরা তাকে জোরপুর্বক তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী কাটদহচর এলাকায় মাঠের মধ্যে উপর্যুপরি ধর্র্ষণ করে।
×