ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অনুর্ধ-১৮ ফুটবলের ফাইনাল আজ

সাইফ-নোফেল শিরোপা লড়াই

প্রকাশিত: ১২:১৫, ১ অক্টোবর ২০১৯

সাইফ-নোফেল শিরোপা লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অনুর্ধ-১৮ ফুটবল প্রতিযোগিতায় শিরোপার জন্য আজ লড়বে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ও নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। সোমবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাকক্ষে ম্যাচ পূর্ববর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন দুু’দলের কোচ ও খেলোয়াড়রা। এ সময় বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী এমপি ও পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটনের উর্ধতন কর্মকর্তা এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন। আজ দুপুর তিনটায় কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে। নোফেলের কোচ আকবর হোসেন রিদন নিজেও ছিলেন নোফেল সিনিয়র দলের ফুটবলার। ক’দিন আগেই অবসর নিয়েছেন তিনি। ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলারও। নোফেলের সিনিয়র দলটি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ থেকে এই মৌসুমে অবনমিত হয়ে গেলেও অ-১৮ ফুটবলের ফাইনালে ওঠায় অনেকেই অবাক হয়েছেন। কিভাবে সম্ভব হলো এটা? এ প্রসঙ্গে রিদন বলেন, ‘অনেক কষ্টে আমি দলটা তৈরি করেছি। নোয়াখালীর ১১ জনকে নেয়ার পর বাকি ফুটবলারদের খোঁজে মাঠে নেমে পড়ি। এরপর বিভিন্ন জেলা থেকে বাকিদের সংগ্রহ করেছি। প্রিমিয়ার লীগ থেকে রেলিগেশনে যাওয়ার পর এই টুর্নামেন্টে নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবকে গণনাতেও আনেনি কেউ। আন্ডারডগ হিসেবেই শুরু করেছিলাম আমরা। এটাই আমাকে এ পর্যন্ত আসতে সাহায্য করেছে। তবে আমার বিশ্বাস ছিল ফাইনালে খেলবই। নিয়মাবর্তিতা ও পরিশ্রমই আমার দলকে পৌঁছে দিয়েছে ফাইনালে।’ রিদন আরও যোগ করেন ‘কমলাপুর স্টেডিয়ামে শত কষ্টের মধ্যেও ছেলেদের দুই বেলা করে অনুশীলন করিয়েছি। ওরা খুব কষ্ট করে আজ ফাইনালে ওঠে এসেছে। তবে যেহেতু আমি গুরু কামাল বাবুর টেকনিক সবই জানি, ফাইনালে চেষ্টা করব ওনাকে হারাতে।’ অন্যদিকে সাইফ স্পোর্টিংয়ের যুব দলটি গরিব ও এতিমখানার খেলোয়াড়দের নিয়েই তৈরিÑ এমন কথা জানালেন কোচ কামাল বাবু, ‘সাইফ স্পোর্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার নাসির চৌধুরী আমাকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ছেলেদের নিয়ে দল গড়তে বলেছেন। আমি সুবিধাবঞ্চিত ও এতিমখানার ছেলেদের নিয়েই এই দল তৈরি করেছি। যার মধ্যে ৮৫ ভাগ রিক্সাওয়ালাদের ছেলে। অনেক কষ্ট করেছে ওরা। এদের মধ্য থেকে আমি নয়জনকে প্রিমিয়ার লীগে বিভিন্ন দলে খেলার সুযোগ করে দিয়েছি। ‘ওরাই আমার বাজির টেক্কা।’ তিনি যোগ করেন, ‘দিন শেষে সবার ইচ্ছাই এক। আমরাও শিরোপার জন্য খেলব।’ সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘মৌসুমের শেষ টুর্নামেন্ট এটি। হয়ত বর্ষপঞ্জিকাতে আরও টুর্নামেন্ট ছিল। কিন্তু আমরা তা মাঠে গড়াতে পারিনি। এই টুর্নামেন্টটিও লীগ আকারে হওয়ার কথা ছিল। এবার না পারলেও আগামীতে চেষ্টা করব। ওয়ালটনও আমাদের সেই সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘ফাইনাল ম্যাচটি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই আয়োজনের কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টি এবং ভুটানের বিপক্ষে জাতীয় দলের প্রীতি ম্যাচের কারণে কমলাপুরেই ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’
×