ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলায় মসজিদকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে উত্তেজনা

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ১ অক্টোবর ২০১৯

ভোলায় মসজিদকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে উত্তেজনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ৩০ সেপ্টেম্বর ॥ একটি মসজিদকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন আহলে হাদিস ও ঈমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটির নেতৃবৃন্দ। আহলে হাদিসের কার্যক্রম নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে গত দু’দিন ধরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার বেলা ১২টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ঈমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি বশির উদ্দিন ও সম্পাদক মাওলানা তাজউদ্দিন ফারুকী লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন আহলে হাদিস সংগঠনটি ধর্মের নামে ভোলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। সদরের বাপ্তা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে আহলে হাদিস কমপ্লেক্স নামে আস্তানা নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতোপূর্ব ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ করায় বিক্ষুব্ধ জনতা তা ভেঙ্গে দিয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা করে ১৯ জনকে আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে। তারা কাউকে কাউকে খুন ও গুমের হুমকি দেয়। এছাড়াও ভোলায় আহলে হাদিসের বিতর্কিত আস্তানা স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবিসহ কামরুলের গ্রেফতারের দাবি জানান। অপর দিকে ভোলা প্রেসক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা নুর ই আলম জানান, মাসলা মাসায়েল বিষয় নিয়ে গত ২০১৮ সনের ১১ জুলাই এলাকার ছগির বাহিনীর নেতৃত্বে কতিপয় ব্যক্তি মসজিদে হামলা চালিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় মসজিদটি। এ ঘটনায় মামলা করলে বাদী মুক্তিযোদ্ধা নুর ই আলমকে মারধর করে। তারা মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধার ছেলে কামরুল ইসলামকে একের পর এক হুমকি দিচ্ছে। হুমকির মুখে সে এখন এলাকায় থাকতে পারছে না। আগামী ১ অক্টবর মামলার তারিখ বাদী পক্ষ যাতে আদালতে যেতে না পারে তার জন্য নানারকম ভয়ভীতিসহ গুম করার হুমকি দিচ্ছে। হাদিস সংগঠনের সম্পাদক কামরুল ইসলাম জানান, তারা ইসলাম ধর্মের সকল অনুশাসন মেনে চলছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয় বলে তিনি দাবি করেন। মূলত জাকির নামের এক ব্যক্তির কাছে তিনি ৫ লাখ টাকা পান। ওই টাকা চাওয়ায় জাকিরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আহলে হাদিসের মসজিদে হামলা করে। বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও মসজিদ কমিটির সদস্যরা নিরাপত্তা কামনা করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
×