ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাবি উপাচার্যের ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান ‘কূটনৈতিক শিষ্টাচার’!

প্রকাশিত: ০৩:০৬, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রাবি উপাচার্যের ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান ‘কূটনৈতিক শিষ্টাচার’!

স্টাফ রিপোর্টর, রাজশাহী/রাবি সংবাদদাতা ॥ সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ‘অখ- ভারতের জয়ধ্বনি’ দেয়ায় তীব্র সমালোচনায় পড়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। একে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’র শামিল উল্লেখ করেউপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি ও নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষকরা। আবারঅনেকে একে উপাচার্যের ‘কূটনৈতিক শিষ্টাচার’ বলেও ফেইসবুকে সমর্থন করেছেন। এদিকে সোমবার সকালে উপাচার্যের ওই স্লোগানের ব্যাখ্যা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জনসংযোগ দফতর। গত বৃহস্পতিবার বিশ^বিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্য শেষে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সামনে ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান দেন উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান। পরে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার মুখে পড়েন উপাচার্য। সমালোচনাকারীরা বলছেন, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের গণবিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে এমন স্লোগান কাম্য নয়। অনেকে একে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলেও উল্লেখ করেন। রবিবার বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সাদা দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ড. মোহা. এনামুল হক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে উপাচার্যের এই‘ধৃষ্টতা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল’ উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়,‘অবিলেম্ব তাকে জাতির সামনে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাই। সেই সঙ্গে আইনের আওতায় এনে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকা-ের জন্য তার যথাযথ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ ক্ষমা না চাইলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয় বিবৃতিতে। এদিকে উপাচার্যের বক্তব্যকেও সমর্থন করে পোস্ট দেন অনেকে। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সামনে উপাচার্যের এই স্লোগানকে ‘কূটনৈতিক শিষ্টাচার’ বলেও ফেইসবুকে লিখেন রাবির সাবেকশিক্ষার্থী আসলাম আহমদ। রাবি শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকআরাফাতরাহমান প্রশ্ন তুলেছেন, আমরা যারা উপাচার্যের ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন তুলছি, তারা মনেপ্রাণে ‘জয়বাংলা’ ধারণ করি কি না? এদিকে সোমবার সকালে জনসংযোগ প্রশাসক ড. প্রভাষকুমার কর্মকার এক বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্যের এই স্লোগানের ব্যাখা দিয়েছেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতারকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে উপাচার্য ‘জয় হিন্দ’ বলেন এবং তা তিনি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ উচ্চারণের পর বলেন।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রকৃতপক্ষে সংবাদটি অত্যন্ত চতুর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিকৃত করে উপস্থাপনের মাধ্যমে দেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করে।’
×