ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডিএপি সারের দাম আরও কমানো হবে ॥ কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:২২, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 ডিএপি সারের দাম  আরও কমানো  হবে ॥ কৃষিমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ডাই-এমোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের দাম কমানো হবে। রবিবার রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে চতুর্দশ ‘সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার’ বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে বিগত এগারো বছরে সারের দাম এক টাকাও বাড়েনি। ডাই-এমোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের দাম আরও কমানোর চিন্তা করেছি। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ডিএপির দাম ২০ টাকা করার প্রস্তাব দেব। বিএনপি সরকারের সময় সারের যে দাম ছিল তার চেয়ে অনেক কম দামে আমরা দিচ্ছি। ৭২ টাকার সার আমরা ২২ টাকায়, ৯০ টাকার ডিএপি সার ২৫ টাকায়, পটাশিয়াম সার ৬০ টাকারটা ১৫ টাকায় দিয়েছি। সারের দাম আমরা আরও কমানোর চিন্তা করছি। মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক শ্রমিক সঙ্কট তৈরি হওয়ায় কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে যাওয়ার কথাও বলেন। বর্তমান সরকার কৃষকদের যন্ত্রপাতি কেনার সুযোগ করে দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কৃষকদের কৃষি যন্ত্রপাতি দেব। সেটা ধান কাটার মেশিন, ধান লাগানোর মেশিন। আগে এটা ৫০ ভাগ ছিল। এখন ৬০ ভাগ সরকার দেবে। হাওড় এলাকায় আমরা ৭০ ভাগ দেব। অর্থাৎ কোন কৃষি যন্ত্রপাতির দাম ১০ লাখ টাকা হলে সরকার দেবে সাত লাখ টাকা বাকি তিন লাখ কৃষক দেবেন। আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা হলো অর্থনীতির মেরুদ-। তারা দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সম্ভাবনাময় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা দেশের মূল অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে। তরুণ উদ্যোক্তাদের কাজের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এই তরুণরাই কৃষিকে লাভবান কৃষিতে রূপান্তর করবে। অনুষ্ঠানে মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে নয়জন ব্যাক্তি ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়। পুরস্কারের মধ্যে ছিল ক্রেস্ট, সনদ ও চেক। প্রথম রানার আপকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় রানার আপকে এক লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। বছরের শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা, তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, কৃষি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পেয়েছেন তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা করে এবং বছরের শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পেয়েছেন চার লাখ ৫০ হাজার টাকা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আরলিংকস লিমিটেডের চেয়ারপার্সন রোকেয়া আফজাল রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন, সিটি বাংলাদেশের এম ডি এন রাজশেকারান, শক্তি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা হুমায়রা ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিডিএফের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুল আউয়াল।
×