ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তিন কারণে বাগেরহাটের মৎস্য ঘেরে মড়ক

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

তিন কারণে বাগেরহাটের মৎস্য ঘেরে মড়ক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তিন কারণে বাগেরহাটের তিন উপজেলার মৎস্য ঘেরগুলোতে হঠাৎ করে মড়ক লাগে বলে জানিয়েছেন মৎস্য বিভাগ। কারণগুলো হলো- অধিক ঘনত্বে মাছ ছাড়া (শতাংশ প্রতি যে পরিমাণ মাছ চাষ করা যায়, তার থেকে বেশি পরিমাণ মাছ ছাড়া), পানির গভীরতা ঠিক না রাখা ও অতিরিক্ত খাবার দেয়ার ফলে ঘেরের পানির অক্সিজেন কমে যাওয়া। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন। তখন তিনি বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ার কথাও যোগ করেন। খালেদ কনক বলেন, এক রাতে জেলার তিন উপজেলার এত পরিমাণ মাছ মারা যাওয়া চাষিদের জন্য বিপর্যয়ের। চাষিদের ক্ষতির পরিমাণের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। সনাতন পদ্ধতিতে মাছ চাষের ফলে অনেক চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চিংড়ি মাছ চাষের যে বৈজ্ঞানিক ও আধুনিক পদ্ধতি রয়েছে সে পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে চাষিদের এই ক্ষতি পুষিয়ে আনতে আমরা পরামর্শ দিচ্ছি। বাগেরহাট জেলায় ৫২ হাজার ৯০৫ হেক্টর আয়তনের জমিতে ৭৩ হাজার ২৭০টি চিংড়ি ঘের রয়েছে। এর মধ্যে ৪৯ হাজার ৩০৯টি গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে। গতবছর জেলায় চিংড়ির মোট উৎপাদন ছিল ৩২ হাজার ৮০১ মেট্রিক টন। গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে হঠাৎ বৃষ্টিতে চিংড়ি ঘেরের পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারী উপজেলার কয়েক হাজার ঘেরের চিংড়ি মাছ মরে যায়। এতে চাষিদের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ওপরে ক্ষয়ক্ষতি হয়।
×