ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হলেও দাম কমছে না

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হলেও দাম কমছে না

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নতুন করে আমদানি শুরু হলেও, এখনও কমছে না পেঁয়াজের দাম। পাইকারি কিংবা খুচরা সব পর্যায়ে দাম উর্ধমুখী। বিক্রেতারা জানালেন, মিয়ানমার থেকে আমদানি শুরু হলেও তা অপ্রতুল। এতে বাজার পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাচ্ছে না। তাই, দুর্গাপূজার আগে দাম কমার কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। যদি চীন, তুরস্ক ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়, তাহলে আগামীমাসের মাঝামাঝি দাম কমতে পারে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের। বেড়েই চলেছে মসলা জাতীয় পণ্য পেয়াজের দাম। দেশে উৎপাদন ও মজুদের পরিমাণ কমতে থাকায় প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে এর দাম। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের হিসেব বলছে, দেশে বর্তমান প্রতিদিন ৬ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের প্রয়োজন। প্রায় ৩০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদার বিপরীতে স্থানীয় পর্যায়ে ২৩ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ সংগ্রহ ও সংরক্ষণে নষ্ট হয়। ফলে, আমদানির ওপর নির্ভরতায় দাম নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব হয়ে পড়ে। ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে দেশী পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৬২-৬৫ এবং ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫৮-৬০ টাকায়। আর মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৮ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানালেন, মজুদ ও জোগান অপ্রতুল। ফলে, লাগামছাড়া এ পচনশীল পণ্যের দাম। পরিস্থিতি সামাল নতুন বাজার থেকে আমদানির পাশাপাশি সরকারী ট্রাক সেলের দিকে নজর দিতে বললেন ব্যবসায়ীরা। তবে, সামনে দুর্গা পূজা উপলক্ষে স্থল বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তাই ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ না আসলে দাম কমার সম্ভাবনা কম। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগামী মাসের মাঝামাঝি কিছুটা দাম কমতে পারে। প্রতিবছরের এ ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে আমদানি নির্ভরতা বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে করার পাশাপাশি উন্নত জাতের পেয়াজ বীজ দেশীয় কৃষকদের সরবরাহের দাবি সংশ্লিষ্টদের।
×