ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্বজনদের মৃতদেহ দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়লেন প্রবাসী গৃৃহকর্র্র্তা

প্রকাশিত: ১০:২৭, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 স্বজনদের মৃতদেহ দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়লেন প্রবাসী গৃৃহকর্র্র্তা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ পড়ে আছে অবুঝ শিশু সনি বড়ুয়ার নিথর দেহ। চিরতরে ঘুমিয়ে গেছে ৬৫ বছর বয়সের বৃদ্ধা সখি বড়ুয়া। না ফেরার দেশে চলে যাবার সময় কুয়েত প্রবাসী রোকেন বড়ুয়ার গর্ভবতী স্ত্রী মিলা বড়ুয়া একটুখানি কথা বলতে পারলেন না স্বামীর সঙ্গে। প্রবাসে থাকায় পিতা রোকেন বড়ুয়াকে শেষ হাসিটা দিয়ে বিদায় নিতে পারল না ৫ বছর বয়সের একমাত্র ছেলে অনিশ বড়ুয়া। ঘটনার রাতে শিবু বড়ুয়ার ছোট কন্যা সনি বড়ুয়া দাদীর সঙ্গে ঘুমাতে এসে হত্যার শিকার হয়। শুক্রবার দুপুরে কুয়েত থেকে এসে মা, স্ত্রী সন্তানের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। শুধু বৌদ্ধ ধর্মের লোকজনই নয়, এ ঘটনায় সকল ধর্মের লোকজন শোকে কাতর। তারা খুনীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। প্রবাস থেকে ফিরে আমি কয়জনের মৃত মুখ দেখব। এমনটা হবার কথা নয়। কে আমার গোছালো বাগান ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রবাস জীবনে কষ্টার্জিত অর্থ কার জন্য, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে খরা রোদে দাঁড়িয়ে থাকব কাদের জন্য। গোটাদিন কষ্ট শেষে রাতে কার সঙ্গে ভিডিও কল দিয়ে আলাপ করব বলে চিৎকার করে কাঁদছেন রোকেন বড়ুয়া। গর্ভধারিনী মা, প্রিয়তমা স্ত্রী, প্রাণপ্রিয় সন্তান হারিয়ে রোকেন বড়ুয়া এখন স্বজনহারা নিঃস্ব। কুয়েত থেকে দেশে ফিরেছেন শুক্রবার সকালে। বিদেশে থেকে কষ্টে উপার্জিত অর্থ দিয়ে নির্মিত দালানে থাকার সদস্য এখন শুধু তিনি। আপনজনদের কেউ আর নেই। মানুষরুপী জানোয়ারদের হিংস্র্র থাবায় একরাতেই তার সব শেষ। সবাই শান্ত¡না দিচ্ছে রোকেন বড়ুয়াকে। একে একে চারটি কাছের মানুষের মৃত মুখ দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় খুনীকে খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানান স্থানীয়রা। স্থানীয়রা বলেন, হায়রে আফসোস! বড় লোহার গ্রিলে আবদ্ধ চার দেয়ালের মধ্যেও এদের জীবন কেড়ে নেয়া হয়েছে।
×