ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিমিয়াম টি-ব্যাগ থেকে কোটি কোটি অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা চায়ে মেশে

প্রকাশিত: ০৮:৪৬, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

  প্রিমিয়াম টি-ব্যাগ থেকে কোটি কোটি  অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা চায়ে মেশে

গরম পানিতে চুবিয়ে পান করা প্রিমিয়াম টি-ব্যাগ থেকে কোটি কোটি অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিকের কণা চায়ের কাপে প্রবেশ করতে পারে। কানাডার বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় একথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, প্লাস্টিকে মোড়ানো কিছু চায়ের ব্যাগ থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা চায়ের পানিতে মিশে যায়। সম্প্রতি অপর এক গবেষণায় বাতাস, কল থেকে সংগ্রহ করা পানি ও বোতলজাত পানিসহ কিছু খাবারের মধ্যে এই অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ বিষয়ে আশার বাণী শুনিয়ে বলেছে, খাবার পানির মধ্যে এ ধরনের প্লাস্টিক কণার আপাতত কোন ক্ষতিকর দিক পাওয়া যায়নি। সংস্থাটি বলেছে, সামান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গবেষণাটি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশদ গবেষণা দরকার। মানব স্বাস্থ্যের জন্য এসব প্লাস্টিক কণার ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আরও বড় পরিসরে গবেষণার জন্য মন্ট্রিয়লের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বের বেশিরভাগ টি-ব্যাগই কাগজের তৈরি। তবে পণ্যের গুণগত মান ঠিক রাখতে প্রিমিয়াম ব্যান্ডের কিছু কিছু চা কোম্পানি টি-ব্যাগগুলোতে প্লাস্টিকের প্রলেপ দেয়। বিজ্ঞানীরা এসব ব্যাগ থেকে চা ফেলে দিয়ে শুধু ব্যাগটি পানির মধ্যে ৯৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ফুটিয়ে দেখতে পেয়েছেন যে, একটি মাত্র চায়ের ব্যাগ থেকে পানির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মাইক্রো ও ন্যানো প্লাস্টিক মিশেছে। তবে এসব পদার্থ খালি চোখে দেখা যায় না। গবেষক লঁরা হার্নান্দেজ বলেন, টি-ব্যাগের প্লাস্টিকের মোড়ক থেকে গরম পানিতে অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণার উপস্থিতির পরিমাণ লক্ষ্য করে আমরা অবাক হয়েছি। বোতলজাত পানির মধ্যে এসবের উপস্থিতির পরিমাণের সঙ্গে তুলনা করে লঁরা হার্নান্দেজ জানান, বোতলজাত পানি থেকে এই হার অনেক বেশি। এর আপাতত কোন ক্ষতিকর দিক বিজ্ঞানীরা জানতে না পারলেও লঁরা হার্নান্দেজ মনে করেন, এসব আসলে ক্রেতার মনোভাবের ওপর নির্ভর করে। তারা প্লাস্টিক দূষণ রোধে প্লাস্টিকে মোড়া খাবার কিনবে না অন্য উপায় গ্রহণ করবে। তবে চায়ের ব্যাগগুলো প্লাস্টিকে মোড়ানো আসলেই দরকার কিনা- তা নিয়ে লঁরা হার্নান্দেজ প্রশ্ন তুলেছেন। পৃথিবী থেকে একবার ব্যবহার প্লাস্টিক পণ্য তুলে দেয়ার পক্ষেও মত দেন তিনি। গবেষণাটি শুক্রবার এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। বিবিসি অবলম্বনে
×