ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পর্যটনের বিকাশে ট্যুরিজম বোর্ডে ‘দক্ষ লোক’নিয়োগের আহ্বান

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পর্যটনের বিকাশে ট্যুরিজম বোর্ডে ‘দক্ষ লোক’নিয়োগের আহ্বান

অনলাইন রিপোর্টার ॥ দেশের অর্থনীতির স্বার্থেই পর্যটন শিল্পের বাজার ধরতে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো.বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকায় ‘বিশ্ব পর্যটনে সম্ভাবনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারের মূল প্রবন্ধে তিনি বলেছেন, দেশে পর্যটনের প্রসারে ট্যুরিজম বোর্ডে আরও ‘দক্ষ লোক’ নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। জাতীয় প্রেসক্লাবে ট্যুরিস্ট হ্যাভেন বাংলাদেশের আয়োজনে এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর খান বাবু। সেমিনার শুরুর আগে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে বিশ্ব পর্যটন দিবসের শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের (ডব্লিউটিটিসি) প্রতিবেদন তুলে ধরে বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশে এ শিল্পে বার্ষিক কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি ২.৯ শতাংশ। জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের প্রত্যক্ষ অবদানের ভিত্তিতে ১৭৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অবস্থান ১৪২তম। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ৯০ কোটি। ধরা হচ্ছে ২০২০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬০ কোটি। পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিপুল সংখ্যক পর্যটকের প্রায় ৭৩ শতাংশ ভ্রমণ করবেন এশিয়ার দেশগুলোতে। এছাড়া বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মতে, ২০১৮ সালের মধ্যে এ শিল্প থেকে ২৯ কোটি ৭০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে অবদান রাখবে ১০.৫ শতাংশ। বাংলাদেশ যদি এ বাজার ধরতে পারে, তবে বদলে যেতে পারে, বাংলাদেশের অর্থনীতি। আর সেজন্য ট্যুরিজম বোর্ডে ‘দক্ষ লোক’ নিয়োগ দেওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “এখন যারা আছেন, তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। এখানে আরও দক্ষ লোকের প্রয়োজন।” সেমিনারের প্রধান আলোচক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, “আমাদের দায়িত্ব হল এখন যে সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, সেই সুযোগের সদ্ব্যহার করা। পর্যটন এলাকা হিসেবে, প্রকৃতির যে অপার সম্পদ আছে, তা আমরা তুলে ধরতে পারি... তাহলেই আমরা পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।” তিনি বলেন, পরযটন শিল্পের বিকাশের মধ্যে দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের পাশাপাশি ব্যাপক কর্মসংস্থান সম্ভব। সেজন্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী জাতীয় নীতির প্রয়োজন। আর নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রাখতে হবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের। “পর্যটন বোর্ডে একজন কর্মকর্তা আসেন, তিনি আবার চলে যান। তিনি পর্যটন শিল্পে আকৃষ্ট কি না তাও জানি না। তবে নীতি করতে গেলে সেখানে পর্যটন সংশ্লিষ্ট কাউকে আনতে হবে।” পাশাপাশি পর্যটন শিল্পকে দেশের বাইরে জনপ্রিয় করতে দেশের মানুষকেও উৎসাহ যোগাতে হবে বলে সরকারকে পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিজম বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. শন্তোষ কুমার দে, পর্যটক তানজিন আখতার মুন,লায়ন গনি মিয়া বাবুল, মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মানিক প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন,সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান পাঠান।
×