ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার পুরো দেশকে ক্যাসিনো জুয়ার আসর বানিয়েছে ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ১১:২৩, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সরকার পুরো দেশকে ক্যাসিনো জুয়ার আসর বানিয়েছে ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার পুরো দেশকে ক্যাসিনো আর জুয়ার আসরে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, এখন ক্যাসিনোয় অভিযান চালিয়ে চুনোপুটিদের ধরে বড় বড় দুর্নীতিবাজদের আড়াল করতে চাইছে। তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়মনসিংহ রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্ব¡রে বিএনপি’র বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথাগুলো বলেন। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আপনারা যদি খালেদা জিয়ার মুক্তি চান তাহলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন। আন্দোলনের মাধ্যমে এ জালেম সরকারকে সরানো হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্যাসিনো এবং মেগা প্রজেক্টগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। মীর্জা ফখরুল বলেন, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। এরপর নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার, জনগণের পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠিত হবে। ইনশাল্লাহ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভোট ডাকাতি করেছেন। সংবিধান থেকে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন। ১০ টাকা কেজির চাল এখন ৪০ টাকা। অথচ কৃষক এখন ধানের দাম পায় না। আপনারা একটা কথাও রাখেননি। তিনি বলেন, কার ভোট কে দিচ্ছে, রাষ্ট্রীয় বাহিনী তাদের ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। সমাবেশে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন এই সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসন আর লুটপাট এর কারণে ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে গেছে। দেশের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়েছে। সরকার কর বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু সরকারের হাতে কোন টাকা নাই। বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, যেখানে বাধা দেয়া হবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। নজরুল ইসলাম খান বলেন, এ সমাবেশ আন্দোলনের প্রস্তুতি মাত্র। এখান থেকেই সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, ময়মনসিংহ জেলা (দক্ষিণ) বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন, ময়মনসিংহ জেলা (দক্ষিণ) বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ এবং জেলা (উত্তর) এর যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার। আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ওয়ারেছ আলী মামুন, কামরুজ্জামান রতন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, শ্যামা ওবায়েদ, শামীমুর রহমান শামীম, আব্দুর বারেক গনি, আব্দুল্লাহ ফারুক। সমাবেশে কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর এবং ময়মনসিংহ জেলার শত শত নেতাকর্মী যোগ দেয়। সমাবেশ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও শেষ পর্যন্ত পুলিশের অনুমতি মেলায় দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতির কারণে সমাবেশস্থল পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। বিভাগীয় এ সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জেলা থেকে জেলা সদরে মিছিল করে আসতে থাকে। শহরের বিভিন্নœ পাড়া মহল্লা থেকেও দলে দলে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেয়। দীর্ঘদিন পর এত বড় একটি সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ। সমাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
×