ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লোকমানের দুই ছেলের নামে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাংকে ৪১ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ১১:০৯, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

লোকমানের দুই ছেলের নামে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাংকে ৪১ কোটি টাকা

শংকর কুমার দে ॥ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া প্রতিদিন জুয়ার আসর ক্যাসিনো থেকে নিতেন ৭০ হাজার টাকা এবং ক্যাসিনো থেকে উপার্জন করা কোটি কোটি টাকার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাংকে দুই ছেলের নামে ৪১ কোটি টাকা জমা রাখার তথ্য পাওয়া গেছে। ক্যাসিনোর টাকায় অর্জিত পুরান ঢাকার তিন ভাই রশিদ, এনু, রুপনের কোটি কোটি টাকার বাড়ি, গাড়ি, ধন-সম্পদের মধ্যে টাকা-স্বর্ণালঙ্কার ভর্তি পাঁচ সিন্দুকের কাহিনী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ক্যাসিনোর টাকার সঙ্গে জড়িত ১২ রাজনীতিক-ব্যবসায়ীকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। টেন্ডার কিং জি কে শামীম জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, গণপূর্তের ২০ প্রকৌশলীসহ প্রভাবশালীদের ঘুষ দিতেন প্রতি মাসে ২৫ কোটি টাকা। তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট র‌্যাব, ডিবি সূত্রে এ খবর জানা গেছে। র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবটির ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া ক্লাবে বসানো ক্যাসিনো থেকে প্রতিদিন ৭০ হাজার টাকা নিতেন। ক্লাবের ক্যাসিনোটি পরিচালনা করতেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) কাউন্সিলর এ কে এম মোমিনুল হক ওরফে সাঈদ কমিশনার। মোহামেডান ক্লাবের পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে একটি রেজ্যুলেশন করে ক্যাসিনোর জন্য কক্ষ ভাড়া হিসেবে এই টাকা নেয়া হতো। তবে ক্যাসিনো থেকে পাওয়া টাকার প্রায় পুরোটাই ভোগ করতেন লোকমান। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর মণিপুরী পাড়ার বাসা থেকে লোকমানকে আটক করে র‌্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে ৬ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব-২-এর কার্যালয়ে নেয়া হয়। লোকমানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার র‌্যাব-২-এর সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ। তিনি জানান, লোকমানের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার এএনজেড ও কমনওয়েলথ ব্যাংকে লোকমানের ৪১ কোটি টাকা গচ্ছিত রয়েছে বলে তারা তথ্য পেয়েছেন। মোহামেডান ক্লাবের অবৈধ ক্যাসিনো থেকে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন লোকমান। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ ও এএনজেড ব্যাংকে ৪১ কোটি টাকা রয়েছে তার। ছেলেরা অস্ট্রেলিয়া পড়ার সুবাদে, মাঝে-মধ্যেই লোকমানের অস্ট্রেলিয়া যাতায়াত রয়েছে বলেও জানান তিনি। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ক্যাসিনোবিরোধী চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে ক্লাব ও বারগুলোতে অভিযান চালাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে লোকমানের বাসায় অভিযান চালানো হয়। লোকমান হোসনে ভূইয়া একসময় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রধান ছিলেন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সদস্য হওয়ায় তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডিরক্টের ইনচার্জ পদটিও দখল করে রেখেছেন। সরকারের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় তিনি নানা অপকর্ম করে বেড়াতেন বলে অভিযোগ আছে। র‌্যাবের প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া খবরে জানা গেছে, ক্যাসিনো থেকে আয় করা অর্থ লোকমান নিয়মিত বিদেশে পাচার করতেন। লোকমানের পাশাপাশি মোহামেডান ক্লাব পরিচালনা কমিটির আর কেউ জড়িত কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে তেজগাঁওয়ের মণিপুরি পাড়ার বাসা থেকে লোকমানকে আটক করে র‌্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে অবৈধ ও অননুমোদিত বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারের ঘটনায় আটক করার কথা জানানো হয়। সন্ধ্যার পর থেকেই লোকমানের বাড়িটি নজরদারিতে রেখেছিল র‌্যাব। রাত ১০টার দিকে বাড়িতে প্রবেশ করা হয়। অভিযান শেষ হয় রাত ১২টার দিকে। তিনি জানান, অবৈধ জুয়া-ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবেই লোকমানের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। র‌্যাব-২-এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে লোকমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য ছিল তার বাসায় ক্যাসিনোর মোটা অঙ্কের টাকা আছে। অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের জন্যই তিনি মোহামেডান ক্লাবের কয়েকটি রুম ক্যাসিনোর জন্য ভাড়া দিয়েছিলেন। অভিযান শুরু করতে একটু দেরি হয়ে যায়। এ কারণে সে টাকা ও অন্য অবৈধ সরঞ্জামাদি সরানোর সুযোগ পেয়েছে। এসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। র‌্যাব সূত্র জানান, বুধবার রাতেই লোকমানকে র‌্যাব-২-এর কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে তাকে অবৈধ ক্যাসিনো এবং জুয়ার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিকভাবে তিনি র‌্যাবকে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক চাপের মুখে তিনি জুয়ার জন্য ক্লাবের ঘর ভাড়া দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। জুয়ার আখড়া বন্ধে কয়েকটি ক্লাবে র‌্যাবের অভিযানের পর রবিবার মতিঝিলে মোহামেডান ক্লাবে অভিযান চালায় পুলিশ। ঐতিহ্যবাহী এ ক্লাবে দুটি রুলেট টেবিল, নয়টি বোর্ড, বিপুল পরিমাণ কার্ড, ১১টি ওয়্যারলেস সেট ও ১০টি বিভিন্ন ধরনের চাকু পাওয়া যায়। রূপকথাকেও হার মানায় ॥ ক্যাসিনোর জুয়ার টাকায় পুরান ঢাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রশিদ, এনু ও রুপন তিন ভাইয়ের ধন -সম্পদ, ক্যাডার বাহিনীর দাপট, ৫ সিন্দুক ঘটনা রূপকথার কাহিনীকেও হার মানায়। তিন বছরে শতাধিক কোটি টাকার মালিক হয়েছে তিন ভাই। তিন ভাইয়ের নামে থানায় দায়ের করা হয়েছে ৫ মামলা। গে-ারিয়ার দক্ষিণ মৈসুন্দি এলাকার টিনশেডের একটি বাড়ি থেকে ১৫টি বহুতল বাড়ির মালিক হয়েছেন তারা। রাজধানীর গে-ারিয়া এবং ওয়ারীসহ বিভিন্ন এলাকায় কিনেছেন এসব বাড়ি ও ফ্ল্যাট । আটটি বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের জুয়া-ক্যাসিনো থেকে আয়ের কোটি কোটি টাকা দিয়েই এসব হয়েছে। এলাকাতেই গড়ে তুলেছেন ক্লাব। এখানেও জুয়া খেলা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের বাড়িতে র‌্যাবের অভিযান পরিচালনার পর আত্মগোপনে চলে গেছেন তিন ভাই। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে এনু, রুপন, তাদের এক কর্মচারী এবং বন্ধুর বাসায় র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ৫ কোটি টাকা, ৮ কেজি স্বর্ণ, ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় বুধবার পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছে। এনামুল হক এনুর কর্মচারী আবুল কালামের বিরুদ্ধে ওয়ারী থানায় মানি লন্ডারিং ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। র‌্যাবের অভিযানের পর দেখা গেছে, বাড়িতে ব্যাংকের মতো ভল্ট বানিয়ে তাতে রাখা হয়েছে কোটি কোটি টাকা। কেজি কেজি স্বর্ণ। নিজ বাড়ির ভল্ট উপচেপড়ায় টাকা রেখেছেন কর্মচারী এবং বন্ধুর বাড়িতে। তিন বাড়ি থেকে নানা ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। এসব কিছুর পেছনে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনোর টাকা। ক্যাসিনো-জুয়ার বোর্ডের অংশীদার হিসেবে পেয়েছেন কোটি কোটি টাকা। ক্যাসিনোর টাকার গরমে তারা হাতিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবিও। গে-ারিয়া থানা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতির পদে রয়েছেন এনামুল হক এনু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে তার ভাই রুপন ভূঁইয়া। এছাড়া ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন আরেক ভাই রশিদুল হক ভূঁইয়া রশিদ। শুধু তারাই নন, তাদের সহযোগীদেরও যুক্ত করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে। এনু, রশিদ ও রুপন তিন সহোদর দীর্ঘদিন ধরে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনা করে আসছেন। ক্যাসিনো পরিচালনার আগে তারা বিভিন্ন এলাকায় জুয়ার বোর্ড বসিয়ে অর্থ কামিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, জুয়ার ক্লাব হিসেবে ক্যাসিনোর জন্য কেনা পাঁচ সিন্দুক নগদ টাকায় ভর্তি। সিন্দুকগুলো এখনও খোলা হয়নি। উন্নত প্রযুক্তির সিন্দুকগুলো ডিজিটাল পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করা। এগুলো এতটাই সুরক্ষিত যে, হাতুড়ি দিয়ে ভাঙ্গা তো দূরের কথা, গ্যাসকাটার দিয়েও কাটা সম্ভব নয়। তাই সিন্দুকের দরজা খুলতে ক্যাসিনোর মালিকদের খোঁজা হচ্ছে। এছাড়া র‌্যাবের অভিযানে সিলগালা করা ইয়ংমেন্স ক্লাবের সিন্দুকও খোলা যায়নি। র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, ক্যাসিনোর জন্য যারা সিন্দুক কিনেন তারা কেউই নিজেদের পরিচয় দেয় না। ক্রেতা হিসেবে দরদাম জিজ্ঞেস করে। কেউ কেউ ছবিও তোলে তারপর চলে যায়। ক্যাসিনোতে অর্থ নিরাপদ রাখতে যেমন সিন্দুক রাখা হয়। জিকে শামীম প্রতি মাসে ২৫ কোটি টাকা দিতেন ॥ জি কে শামীম টেন্ডার বাগিয়ে নিতে ব্যবহার করতেন তদবির, অর্থ ও অস্ত্র। টেন্ডার মুঘল শামীম মাত্র ১০-১২ বছরে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। আলাদীনের চেরাগ হাতে না থাকলেও তার হাতে ছিল প্রভাশালী কয়েক নেতা, এমনকি মন্ত্রীও। মাসোহারা দিতেন সরকারের মন্ত্রীসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েক নেতাকে। টেন্ডারবাজি, ক্যাসিনো ব্যবসাসহ সকল কাজে সহযোগিতা করতেন এই নেতারা। তাই প্রতি মাসে প্রায় ২৫ কোটি টাকা যেত প্রভাবশালী এসব নেতাদের পকেটে। তবে সকল ক্ষেত্রেই তাদের নেতা ছিলেন যুবলীগের দক্ষিণের এক প্রভাবশালী। যিনি ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা হিসেবে পরিচিত। গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মাসোহারার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন জি কে শামীম। টেন্ডার বাগিয়ে নিতে তদবির, ঘুষ, জাল কাগজপত্র প্রদান এমনকি অস্ত্রেরও ব্যবহার করতেন শামীম। এজন্য প্রভাবশালী নেতার তদবির থেকে সন্ত্রাসী সবই ছিল তার। জিজ্ঞাসাবাদে শামীম আরও তথ্য দিয়েছেন যে, ঘুষ না দিলে বিল আটকে দিতেন গণপূর্ত অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী। যে কারণে তাকে ১২শ’ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন শামীম। বিপুল টাকা ঘুষ, মাসোহারা দিতে গিয়ে কাজের ক্ষেত্রে অনিয়মের আশ্রয় নিতেন। আলোচিত জি কে বিল্ডার্স কোম্পানির বালিশকা- ঘটানোর পেছনেও এটি অন্যতম কারণ বলে শামীম জানান। গত শুক্রবার রাজধানীর নিকেতনে অভিযান চালিয়ে জি কে শামীমকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সরকারের ভাবমূর্তি উজ্বল হচ্ছে ॥ তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তারা বলেন, বড় ধরনের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবিরোধী সমন্বিত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চায় সরকার। সে জন্য এনবিআরের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনকে এ কাজে সক্রিয় করা হবে। এরপরই র‌্যাব ‘এ্যাকশনে’ যায়। মতিঝিল ক্লাবপাড়ায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চালায়। গ্রেফতার করা হয় যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ ভূঁইয়াসহ তার সহযোগীদের। পরে দেহরক্ষীসহ গ্রেফতার হন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা জি কে শামীম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতাদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। গণভবনে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর আরেকটি বৈঠকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ এবং বিতর্কিত নেতাদের অপরাধমূলক কর্মকা- সম্পর্কে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, একজন তো ক্রসফায়ারের (ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট) হাত থেকে বেঁচেছে। আরেকজন (খালেদ) প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চলাফেরা করে। এমনকি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বর্তমান সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে আসা চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত করা হয়। আঞ্জুমান মুফিদুলের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছেন তিনি। চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ পৌঁছে যায় খোদ প্রধানমন্ত্রীর কানে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর যুবলীগ নেতা খালেদকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ক্যাসিনো মুঘল ইসমাইল হোসেন সম্রাটের নামটি সামনে চলে আসে। সরকারের সবুজ সঙ্কেত পেলেই সম্রাটের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দাবি।
×