ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে দম্পতিকে কুপিয়ে খুন

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

গাজীপুরে দম্পতিকে কুপিয়ে খুন

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরে এক দম্পতিকে কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হলো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পূবাইল থানার বসুগাঁও এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে মোঃ কালাম মিয়া (৪৫) ও তার স্ত্রী পুতুলি বেগম ওরফে পুতুল (৩০)। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পূবাইল থানার বসুগাঁও এলাকার নিজ বাড়িতে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বসবাস করত কালাম মিয়া। স্থানীয় গার্মেন্টস কর্মী পুতুলি বেগম ওরফে পুতুলকে ৪/৫ বছর আগে বিয়ে করে কালাম। তাদের সংসারে ছাপুয়ান নামের দু’বছর বয়সের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এটি কালামের তৃতীয় বিয়ে। এর আগের দু’স্ত্রীর সঙ্গে কালামের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে খাবার খেয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে কালাম। পরদিন বৃহস্পতিবার ভোরে শিশু ছাপুয়ানের লাগাতার কান্না শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। তারা ঘরের দরজা খোলা দেখে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে খাটের ওপর স্বামী-স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। এ সময় শিশু ছাপুয়ান রক্তাক্ত পিতা মাতার লাশের উপর লুটিয়ে পড়ে কান্নাকাটি করছিল। তার শরীর রক্তে ভেজা। পরে স্বজনরা শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। কালাম বেকার অবস্থায় দিনযাপন করছিল। সম্প্রতি সে একখ- জমি বিক্রি বাবদ এক ক্রেতার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা বায়না নিয়েছিল। জিএমপির পূবাইল থানার ওসি নাজমুল হক জানান, দুর্বৃত্তরা বুধবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় ঘরে ঢুকে কালাম ও তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায়। খুন করার আগে কালাম ও তার স্ত্রীকে কাবু করতে মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করে দুর্বৃত্তরা। বিভিন্ন দিক থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। খুলনায় কর্মচারী স্টাফ রিপোর্টার খুলনা অফিস থেকে জানান, রূপসায় চিংড়ি প্রক্রিয়াজাত কারখানার কর্মচারী সারজিল ইসলাম সংগ্রাম (২৬) নামে এক যুবক দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে পূর্ব রূপসার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। কিশোর গ্যাংয়ের গুপ্তির আঘাতে তিনি খুন হন বলে জানা গেছে। নিহত সংগ্রাম রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে এবং তিনি ব্রাইট সি ফুডসের কর্মচারী ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সড়কের ছাদভাঙ্গা বরফ কলের সামনে দিয়ে অফিস শেষে বাড়ি যাচ্ছিল সংগ্রাম। এ সময় কয়েক কিশোর এসে তাকে গুপ্তি দিয়ে আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। কিছুদিন আগে সংগ্রামের একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের লিডার রাহাতের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব হয়। তারই জেরে এ হত্যাকা- ঘটতে পারে বলে তারা মনে করছেন। খুলনা জেলা পুলিশের (বিশেষ শাখার) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ আনিচুর রহমান জানান, দুপুর দেড়টার দিকে ব্রাইট সি ফুডসের সামনে সংগ্রামকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সোয়া ২টায় তার মৃত্যু হয়। সৈয়দপুরে শিশুসহ ২ স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী থেকে জানান, সৈয়দপুরে পৃথক ঘটনায় শিশুসহ দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে একটি ডোবা থেকে আট বছরের শিশু ফেরদৌসের লাশ পাওয়া যায়। শিশুটি উপজেলা শহরের মুন্সিপাড়া জোড়াপুকুর বিহারি ক্যাম্পের শাহাজাদা সাজ্জাদের ছেলে। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় ফেরদৌস। এরপর বিভিন্ন স্থানে খুঁজে তাকে পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে একটি ডোবায় তার লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী। অপর দিকে বুধবার রাত ৯টার দিকে সৈয়দপুর বাইপাস সড়কের বসুনিয়াপাড়া এলাকা ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় জয়দেব রায় (৩০) নামের এক যুবক। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর হাসপাতালে ভর্তি করায়। সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক কামাল হোসেন জানান, রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবকের মৃত্যু হয়। তার শরীরের জখমের কারণে তার মৃত্যু হয়। এই যুবক জেলা সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের আরাজি চড়াইখোলা গ্রামের জগদীশ রায়ের ছেলে। শেরপুরে মাদ্রাসাছাত্র নিজস্ব সংবাদদাতা শেরপুর থেকে জানান, শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আমির হোসেন (৮) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গান্দিগাঁও গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। আমির হোসেন স্থানীয় মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। আমির হোসেন স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্র। জানা যায়, বুধবার সকালে আমির হোসেনের মা অহেজা বেগম ছেলে আমির হোসেনকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে পাহাড়ে কাজ করতে যান। কাজ শেষে বিকেলে বাড়ি ফিরে নিজ বসতঘরে ছেলেকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা আমিরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আশুলিয়ায় যুবক সংবাদদাতা সাভার থেকে জানান, আশুলিয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গেট সংলগ্ন এলাকা থেকে মোঃ রবিউল ইসলাম রবিন (২২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত রবিন আশুলিয়ার সিন্ধুরা মোল্লা পাড়ার মৃত রহমানের ছেলে। তিনি বাইপালে একটি বাস কাউন্টারে চাকরি করতেন। জানা যায়, সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট সংলগ্ন এলাকায় এক যুবকের মরদেহ দেখতে পায় পথচারীরা। পরে খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। সিরাজদিখানে চালক স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, সিরাজদিখানে ইজিবাইক চালক নজরুল ইসলামের (১৮) লাশ ও ইজিবাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইজিবাইক ছিনতাইকারী ও খুনের প্রধান আসামি নুর আলী (১৮) ও জাহিদ হোসেনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার নুর আলীর তথ্য মতে উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের বড় পাউলদিয়া মোল্লাবাড়ির পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয় এবং সিরাজদিখান বাজার সংলগ্ন সরদারপাড়া সিরাজের গ্যারেজ থেকে ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। মৃত নজরুল ইসলাম উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের উত্তর ঘোড়ামারা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। আসামী নুর আলী খান একই উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণদী গ্রামের ইফাজ উদ্দিনের ছেলে ও জাহিদ হোসেন লতব্দী ইউনিয়নের কয়রাখোলা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। নজরুলের স্বজনরা জানায়, বুধবার বিকেলে নজরুল তার মাকে বলে আমি গোসল করতে যাচ্ছি, আমার মোবাইলে একটা ফোন আসবে যার শেষ সংখ্যা দুটি ১৯। এরপর বিকেলে নজরুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। রাতে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে স্বজনরা। পরে মোবাইলের শেষ সংখ্যা ১৯ নং খোঁজ নিয়ে জানতে পারে এটা নুর আলীর মোবাইল নাম্বার। এলাকায় সে চোর হিসেবে পরিচিত। রাত ১২টার পর নুর আলীর বাড়িতে গিয়ে না পেয়ে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার নয়াগাঁও বাজার এলাকায় এসে নজরুলের স্বজনরা নুর আলীকে সন্দেহজনক আটক করে।
×