ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শতবর্ষী চান ভানুর ভাগ্যে জোটেনি ভাতা

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

শতবর্ষী চান ভানুর ভাগ্যে জোটেনি ভাতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৬ সেপ্টেম্বর ॥ শতবছর পার করেছেন বহু আগেই। এখন আর শ্বাস চলে না, বেঁচে আছেন উর্ধশ^াস নিয়ে। নাম চান ভানু, কেউ কেউ গুনাবানুও ডাকেন। পরিবারের দাবি চান ভানুর বয়স ১৩৬ বছর। পড়শীদের দাবি ১১০। শরীরের চামড়া শুধু কুঁচকে নয়, ঝুলে গেছে। হাড্ডিসার শরীর। চরম দারিদ্র্য চেপে আছে পরিবারে। এ বয়সেও বিধবা চান ভানুর ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক ভাতা। তাহলে গ্রামের কারা এ ভাতা পাচ্ছেন এমন প্রশ্ন এখন এ প্রতিবেদকসহ সকলের মাথায় ঘুরপাক পাচ্ছে। কোন মতে হাত ধরে ছেলে বউ, নাতি-নাতনি বিছানা থেকে তুলে এনে উঠোনে বসায় অশীতিপর বৃদ্ধা এ মানুষটিকে। জীবনের অনেক গল্প ছিল। গল্পের ছলেই জীবনের ঘটনা বলেছেন সংসারের সকলের কাছে। এখনও উচ্চ স্বরে বললে সম্বিৎ ফিরে পান এ বৃদ্ধা মানুষটি। তিন ছেলে, তিন মেয়েসহ নাতি-নাতনি ও তাদের সন্তান নিয়ে বর্তমানে এদের সংখ্যা ৮৮ জন। জানালেন চার পয়সা সের দরে চাল কিনে খেয়েছেন। এখনও কোন মতে এক বেলা এক মুঠো ভাত খান। এক যুগ ধরে বিছানায় পড়েছেন। চরম অভাবের সংসারে শ্রমজীবী ছেলে আইয়ুব আলী কাজী আর ছেলে বউ রওশন আরা বেগম পরিচর্যা করেন। ছেলের বয়সও ৮০ হয়েছে। তারপরও মাটিকাটা থেকে যে কাজ পায় তাই করছেন। এই ভরসা সংসারের। বৃদ্ধা এ মানুষটি স্বামী আশন আলীকে হারিয়েছেন আরও ৩০ বছর আগে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের সুখডুগী গ্রামের বাসিন্দা এ বৃদ্ধা চান ভানুর ভাগ্যে বয়স্কভাতা না জোটার খবরটিই এখন খবরে পরিণত হয়েছে। যেন অসম বণ্টনের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। প্রশ্ন জেগেছে তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাদের জন্য দিচ্ছেন বয়স্কভাতা।
×