ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্নীতি কমাতে সামাজিক আন্দোলন তৈরি করতে হবে॥ টিআইবি

প্রকাশিত: ০২:৩০, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

দুর্নীতি কমাতে সামাজিক আন্দোলন তৈরি করতে হবে॥ টিআইবি

অনলাইন ডেস্ক ॥ সরকারি সনদ (জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন) নিতে সবচেয়ে বেশি ঘুষ দিতে হয় । ঘুষ না দিলে সেবা পাবেন না, এমনটি মেনেই নিয়েছেন দেশের ৮৯ শতাংশ মানুষ। এদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ মানুষ কোনো অভিযোগ ছাড়াই ঘুষ দেন। কারণ তারা মনেই করেন, ঘুষ দেওয়াটা জীবনের অংশ। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নিজ কার্যালয়ে ‘তথ্য অধিকার আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ: আইনের প্রথম দশকের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নানা সেবা পেতে ঘুষ দিয়েছেন এমন ১৬ হাজার মানুষকে নিয়ে গবেষণাটি চালানো হয়। পরে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষই ঘুষ দেওয়াকে তাদের জীবনের একটা অংশ হিসেবে মনে করেন। বাকি ২৫ শতাংশ মানুষ অভিযোগ করলেও ইতিবাচক কোনো কিছু দেখেননি। তারা মনে করেন, অভিযোগ করলে লাভের চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। টিআইবির আলোচনাসভায় ঘুষের ওপর গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। গবেষণা মতে, লোকজনের কাছ থেকে ৫০ শতাংশ কর্মকর্তা সরাসরি ঘুষ চেয়েছেন। ৪০ শতাংশ কর্মকর্তা একটু গোপনে অর্থ দাবি করেছেন। আর বাকি ১০ শতাংশ কর্মকর্তা সেবা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অফিসের বাইরে গিয়ে অর্থ দাবি করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের শাস্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে যারা সেবা পেতে ঘুষ দেন তাদের ৬০ শতাংশ জানান, শাস্তি দিয়ে দুর্নীতি কমানো যাবে না। আইন করলে হবে না, এর প্রয়োগ যথাযথ থাকা দরকার। আর ২০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, যারা শাস্তি দেবে তারাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। ১৫ শতাংশ মনে করেন, শাস্তির দেখা মিলবে না দুর্নীতির কারণে। আর ৫ শতাংশ মনে করেন, দুর্নীতি বিষয়ে শাস্তি দিতে গেলে ঝামেলা তৈরি হবে আরও বেশি। দুর্নীতির প্রতিকারের বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব দুর্নীতি কমাতে সামাজিক আন্দোলন তৈরি করতে হবে। সামাজিক আন্দোলন রাজনৈতিক পদক্ষেপের চেয়ে শক্তিশালী। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী তথ্য অধিকার আইন জানা ও এ আইনের প্রয়োগ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সাংবাদিক ও গবেষক অধ্যাপক আফসান চৌধুরী, ড. অনন্য রায়হান প্রমুখ।
×