ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘বিউটি এ্যান্ড দ্য বুলেট’ আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ

প্রকাশিত: ১২:২৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

‘বিউটি এ্যান্ড দ্য বুলেট’ আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ

শুরুতে ওয়েব সিরিজে প্রসঙ্গ ‘বিউটি এ্যান্ড দ্য বুলেট’ আপনার প্রথম ওয়েব সিরিজ? অনিমেষ আইচ; হ্যাঁ, এটা আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ- যা দেখলাম, তাতে করে বোঝা গেল ক্রাইম থ্রিল ধাঁচের গল্পে নির্মিত হেয়েছে এই ওয়েব সিরিজ। অবশ্য সারা পৃথিবীর কথা না হয় বাদ দিলাম; আমাদের পাশের দেশে একাধিক ইন্ডাস্ট্রি থেকে বলতে গেলে প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন গল্পে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় ই-দুনিয়ায় যোগ হচ্ছে ওয়েব সিরিজ। ভাষা এবং অভিনয় শিল্পীর মধ্যে তফাত থাকলেও একটা বিষয়ে প্রায় মিল পাওয়া যাচ্ছে, আর তা হলো গল্প! অর্থাৎ ক্রাইম, এ্যকশন, থ্রিল এই তিনটি মেজাজের সমন্বয়ে বেশিরভাগ ওয়েব সিরিজ নির্মিত হচ্ছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং টিভি-পত্রপত্রিকার মাধ্যেমে জানা যায় স্যাক্রেট গেম, দিল্লি ক্রাইম, মির্জাপুর, ঘউল, এ ফ্যামিলি ম্যানের মতো আলোচিত ওয়েব সিরিজ বাংলাদেশের উঠতি তরুণ থেকে বুঝদার দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে। এখন কথা হলো এই যে নবধারার ওয়েব সিরিজ এটা আপনি কিভাবে দেখছেন? অনিমেশ আইচ, দেখেন সময় যে ভাবে গড়াচ্ছে তাতে করে মানুষ ইতোমধ্যে ওয়েব প্লাটফর্মে ইনভলব। এ ছাড়া মানুষের জীবনধারার গতিপ্রবাহ যে ভাবে বদলাচ্ছে তাতে করে টেলিভিশনের বেঁধে দেয়া সময় মেনে নাটক বা অন্য প্রোগ্রাম দেখা এখন আর হয়ে উঠছে না, অদূরে ওয়েব সিরিজের মতো অন্যান্য কনন্টেট দর্শকদের আরও বেশি কৌতূহলী করবে এবং ওয়েব প্লাটফর্ম আরও শক্ত জায়গায় যাবে। আর ধারা? দেখেন ধারা তৈরি করে একদল ভাঙে আর একদল। এখন ক্রাইম থ্রিল চলছে, আরও কিছু দিন চলবে আবার দেখবেন ইমোশনাল স্টরি আসবে এটা আসলে ডিপেন করে, সব থেকে বড় বিষয় হলো গল্প। ই-দুনিয়ার প্রভাবে বর্তমান টিভি নাটক, টেলিফিল্ম বা অন্যান্য অনুষ্ঠান দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে? তা তো অবশ্যই! মানুষ তো বেশিরভাগ নাটক এখন ইউটিউবে দেখছে। ঘুরে দাঁড়ানোর কোন সুযোগ দেখছেন? অনিমেশ আইচ; ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ কেবল আমি না লাখ লাখ মানুষ যারা টেলিভিশনে কাজ করে সবাই দেখেন। যে পযর্ন্ত আমাদের দেশে পে চ্যানেল না হবে এটা ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাবে। আমাদের যারা টেলিভিশন চালায় তাদের এত বিজ্ঞাপন দিতে হয় যে কারণে দর্শক ধরে রাখা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। যখন পে চ্যানেল হবে, বিজ্ঞাপনের রেট বারবে, প্রত্যকটা গ্রাহকের কাছ থেকে দশ পয়সা করে নিলেও আমাদের সাত আটটা পে চ্যানেল তৈরি করা সম্ভব। এ ছাড়া টেলিভিশনের ভবিষ্যত খুব অনুজ্জ্বল! গেল ঈদ উপলক্ষে প্রচুর নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে বেশিরভাগ নাটক নিয়ে নেতিবাচক আলোচনা হয়েছে। এই যে নেতিবাচক মন্তব্যের নাটক এগুলো কি এই চক্রের মধ্যে পড়ে নির্মিত হচ্ছে। এটা একটা ভুল কথা। আমাদের দেশে এত প্রোডাকশন হয়, এত রাইটার, সে অনুযায়ী অভিনেতা-অভিনেত্রী আমাদের নেই। এ ছাড়া ভাল গল্প, ভাল ফিকশন ক’জনে লিখতে পারে? আমাদের ক্ষুদা তো অনেক! একটা ঈদে প্রায় ৫০০ নাটক নির্মিত হয়। ৫০০ নাটক বানানোর মতো আমাদের লোকবল নেই, এই একটা ইস্যু। আর একটা হচ্ছে যখন থেকে আমাদের দেশে নাটকের ওপর কর্তৃত্ব এজেন্সি (বিজ্ঞাপন দাতা) ফলাতে শুরু করে, তখন থেকে নাটকে ধস নেমেছে। বিভিন্ন সময়ে আপনাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে অতিমাত্রায় ফেসবুক এক্টিভিটি নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করতে দেখে যায় এ নিয়ে আপনার মতামত কি? অনিমেষ আইচ, আজ থেকে দশ-বারো বছর আগের কথাই বলা যাক তখনও আমরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি, বেশি বেশি বই পড়ছি, সৃজনশীল চিন্ত এবং কাজ করছি কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে এসব কজে আমাদের মনোযোগ কমে গেছে। সুযোগ পেলেই আমরা ফেসবুকে স্ক্রল করি, ইনস্টাগ্রাম স্ক্রল করি কিংবা অন্যান্য যে সব সোশ্যাল মিডিয়া আছে সেগুলোতে ঘুরে আসি, নিজস্ব বিষয়গুলো অন্যের ভাল-মন্দ বিবেচনার ওপর ছেড়ে দেই। ফলে নিজেদের মধ্যে ঈর্ষা তৈরি হচ্ছে, রেষারেষি বাড়ছে। আপনি গল্প উপনাস লেখেন, সিনেমা-নাটক নির্মাণ করেন এর মধ্য থেকে কোন কাজটার প্রতি ভালবাসা বা আবেগ অনুভব করেন? অনিমেষ আইচ; সিনেমা নিয়ে কাজ করতে সব থেকে ভাল লাগে, আমি যখন পড়াশোনা করি বা গল্প-উপন্যাস লিখি এসবের ভেতর থেকে যখন সিনেমা নির্মাণে ব্যস্ত হয়ে পরি তখন খুব ভাল থাকি, আমি শেষ পর্যন্ত সিনেমা নির্মাণ করে যেতে চাই। আপনার আপকামিং নতুন কোন সিনেমার খবর? একটা সিনেমা নিয়ে কাজ করছি এখনই কোন খবর দিতে চাই না, আর একটু সময় নিয়ে জানাব। এ ছড়াও অন্য কোন কাজ? দুরন্ত টিভিতে বাচ্চাদের জন্য একটা কাজ করছি। ধন্যবাদ
×