স্টাফ রিপোর্টার ॥ পূর্বাচলে সিবিডি আইকনিক টাওয়ার প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে রাজউক এবং বস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিকদার গ্রুপ ও কাজিমা কর্পোরেশনের মধ্যে পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার রাজউক ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কাজের অগ্রগতি অবহিত করা হয়। জবাবে রাজউক চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ আশা প্রকাশ করেন, ২০২০ সালের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে এবং ২০২৪ সালের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে। বৈঠকে পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার উজ্জল মল্লিক, সদস্য উন্নয়ন মেজর (অব) ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দিন হায়দার চৌধুরী, সদস্য পরিকল্পনা সৈয়দ নূর আলম, সদস্য এস্টেট এ্যান্ড ল্যান্ড আজাহারুল ইসলাম খান, সদস্য উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কন্ট্রোল আবুল কালাম আজাদ, প্রধান প্রকৌশলী রিহানুল ফেরদৌসসহ অন্য কর্মকর্তাগণ এবং সিকদার গ্রুপ ও কাজিমা কর্পোরেশন জাপানের পক্ষে সিওও এবং পরিচালক অপারেশন সৈয়দ কামরুল ইসলাম মোহন, স্ট্র্যাটেজিক প্লানিং পরিচালক নাইমুজ্জামান মুক্তা, বিজনেস ডেভেলপমেন্টের পরিচালক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, উপদেষ্টা মিঃ জুলিয়ান পিটন এবং একটি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দল উপস্থিত ছিল।
উল্লেখ্য, পূর্বাচল সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট নামে রাজউকের আইকনিক টাওয়ার নির্মাণের কাজটি আন্তর্জাতিক নিলামের মাধ্যমে সিকদার গ্রুপ ও কাজিমা কর্পোরেশন জাপান যৌথভাবে নির্বাচিত হয়। ইতোমধ্যেই প্রকল্পটি সফলভাবে নির্মাণের লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য সমীক্ষা প্রতিবেদন রাজউকে জমা দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের খসড়া মাস্টার প্ল্যান ও ডিজাইনের জন্য রাজউক ‘২০১৯ এশিয়ান টাউনস্কেপ জুরিস’ পুরস্কার লাভ করেছে যা দেশের অবকাঠামো নির্মাণের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
ঐতিহাসিক টাওয়ারের আর্কিটেক্ট হিসেবে পৃথিবীবিখ্যাত হেরিম আর্কিটেক্ট কাজ করছে। হেরিম পৃথিবীর সেরা সাতটির একটি এবং কোরিয়ার শ্রেষ্ঠ আর্কিটেক্ট প্রতিষ্ঠান। হেরিম ছাড়াও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসি, আর্কেটাইপ-এর প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। কাজের অগ্রগতি অবহিত করার পর রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, সত্যিই গর্বের বিষয় যে আইকনিক টাওয়ারে প্রতিফলিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লিগ্যাসি। আমি আনন্দিত সিকদার গ্রুপ ও কাজিমা কর্পোরেশন অত্যন্ত গুরত্বের সঙ্গে এই কাজটি এগিয়ে নিচ্ছে। আমি তাদের ধন্যবাদ দিতে চাই তারা প্রস্তাবিত সময়সীমার আগেই কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যেই শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যারকে অনুরোধ করছি এই কাজে পরামর্শ প্রদানে। আমি আশা করব রাজউকের সঙ্গে যথাযথ সমন্বয় করে আমাদের এই স্বপ্নের প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
