ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ধানের জাত উদ্ভাবনে ব্র্র্র্রি’র সেঞ্চুরি

প্রকাশিত: ১১:১৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ধানের জাত উদ্ভাবনে ব্র্র্র্রি’র সেঞ্চুরি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গবেষণা করে ধানের নতুন জাত উদ্ভাবনে অনন্য রেকর্ড স্থাপন করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীরা। ১৯ সেপ্টেম্বর রেকর্ডটি করেন তারা। সর্বশেষ ব্রি ধান-৯৩, ৯৪ ও ৯৫ প্রজাতির নতুন ও হাইব্রিড ছয় প্রজাতির ধান চাষের জন্য অবমুক্ত ঘোষণার মধ্য দিয়ে ধানের নতুন জাত উদ্ভাবনে একশ পূর্ণ করল ‘ব্রি’। সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. মোঃ শাজাহান কবীর এ তথ্য জানান। বুধবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি তথ্য সার্ভিসের উদ্যোগে সাংবাদিকদের ‘আধুনিক কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানা যায়। এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কৃষি কর্মকর্তারা জানান, উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভাল মানের বীজ ব্যবহার যেমন জরুরী তেমনি কোন জমিতে কোন ফসল লাগাতে হবে সেটিও জানা জরুরী। এক সময়ের দুর্ভিক্ষের দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে বিজ্ঞানীদের গবেষণা আর পরিশ্রমের কারণে। আগামী দিনেও বিজ্ঞানীদের গবেষণা অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। দিনব্যাপী আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট মহাপরিচালক ড. মোঃ শাজাহান কবীর, পরিচালক (গবেষণা) ড. তমাল লতা আদিত্য, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের গবেষণা সেলের যুগ্ম পরিচালক ড. মোঃ নাজমুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক চন্দ্রীদাস কু-ু, কৃষি বিপণন অধিদফতরের উপপরিচালক শাহানাজ বেগম নিনা। এ সময় কৃষি তথ্য সার্ভিসের একাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। শাজাহান কবীর বলেন, ১৯৭২ সালে ব্রি-১ জাতের ধান উৎপাদনের মধ্য দিয়ে ব্রি যাত্রা শুরুর পর থেকে দীর্ঘ পথ পরিক্রম করে গত ১৯ তারিখে তিনটি নতুন জাতের ধান অবমুক্ত করার মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে সেঞ্চুরি করেছি। অর্থাৎ আমাদের ১০০টি বিভিন্ন জাতের ধান রয়েছে। এটি অনেক গৌরবের।
×