ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিসেম্বরের মধ্যেই চালুু হবে ই-পাসপোর্র্র্ট

প্রকাশিত: ১১:১৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ডিসেম্বরের মধ্যেই চালুু হবে ই-পাসপোর্র্র্ট

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ই-পাসপোর্ট চালু হতে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে। আশা করা যাচ্ছে, এটা বাস্তবায়নে যে কোম্পানি কাজ করছে, তারা ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবে। তারপর সেটা প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। বুধবার সচিবালয়ে সরকারী ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান প্রমুখ। অর্থমন্ত্রী বলেন, গত জুলাই মাসেই ই-পাসপোর্ট উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু এখনও এটি উদ্বোধন হয়নি এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, জুলাইতে উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি। কারণ এ কাজটা বাস্তবায়নে একটি জার্মান কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা এখন অনেক দূর কাজ এগিয়ে নিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সভাকে জানিয়েছেন যে, এটি ডিসেম্বরের পরে যাবে না। ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করবেন। ডিসেম্বরের মধ্যেই জনগণ ই-পাসপোর্ট পাবেন। এদিকে ই-পাসপোর্ট চালু করতে না পারাই ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত পাসপোর্ট সেবা অব্যাহত রাখতে ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) বুকলেট এবং ২০ লাখ লেমিনেশন ফয়েল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সংগ্রহের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ জন্য ব্যয় হবে ৪১ কোটি টাকা। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এমআরপি পাসপোর্টে আমরা এখন শেষের দিকে চলে এসেছি। আগামী ডিসেম্বর থেকে সারা বিশ্বের মতো আমরাও এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্টে চলে যাব। ই-পাসপোর্টের যুগে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পাসপোর্টের চাহিদা মেটাতে ২০ লাখ এমআরপি পাসপোর্ট আনা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস এরপর আর মনে হয় এমআরপি পাসপোর্ট লাগবে না। এদিকে গত ১ জুলাই ও এরপর আরও একবার ই-পাসপোর্ট চালু করতে দুই দফা তারিখ নির্ধারণ করেও তা চালু করা সম্ভব হয়নি। যানজট নিরসনে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আউটার রিং রোড প্রস্তাব অনুমোদন ॥ ঢাকার যানজট নিরসন এবং ঢাকার ওপর দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যানবাহন যাতায়াত সহজ করার জন্য আউটার রিং রোড নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে দশ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আউটার রিং রোড নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটা একটা কাক্সিক্ষত প্রকল্প। প্রকল্পটি ২০২০ সালে শুরু হয়ে ২০২৩ সালে শেষ হবে। প্রকল্পটি জাপানী জি টু জিভিত্তিক পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, এটি হয়ে গেলে ঢাকা শহরে চারপাশ আমরা বৃত্তাকারে ঘুরতে পারব। প্রকল্পটির মোট পরিমাণ হচ্ছে ১৩৪ কিলোমিটার। তার মধ্যে ৪৮ কিলোমিটারে অনুমোদন আজকে দেয়া হয়েছে। ৪৮ কিলোমিটারের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা। গ্রামীণফোনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হচ্ছে ॥ গ্রামীণফোনের সঙ্গে সরকারের ভুল বোঝাবুঝি নিরসন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আমরা আদালতের বাইরে গ্রামীণফোনের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল সেটা নিরসনের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে শীঘ্রই ভাল একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারব। বুধবার সচিবালয়ে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেখুন এটা যখন আমরা শেষ করে ফেলব তখন আপনাদের আমরা অবহিত করব। এ মুহূর্তে গ্রামীণফোনের সঙ্গে কি আলোচনা হয়েছে সেটা এখন আমাদের নিজস্ব সম্পত্তি। এটা এখন আপনাদের দেব না। এই তথ্য আপনাদের দিলে আপনারাও কাজে লাগাতে পারবেন না। তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে এবং সেটা ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তারাও এগিয়ে এসেছে আমরাও এগিয়ে এসেছি। আমরা মোটামুটিভাবে কোন এক জায়গায় সিদ্ধান্তে পৌঁছাবো। দেশের মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনের কাছে সরকারের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বিটিআরসির প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা পাওনা ছিল। বিষয় কোনভাবেই নিজেদের মধ্যে সমাধান না হলে গেল মাসে এ সংক্রান্ত দেশের উচ্চ আদালতে একটি মামলা করে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ। এরপরই বিষয়টি মীমাংসার জন্য উদ্যোগ নেয় সরকার। এই উদ্যোগ নেয়ার পর এ পর্যন্ত একাধিকবার যৌথসভায় আলোচনা করেছে সরকার ও গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ।
×