ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এজলাসে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙ্গানো শুরু

প্রকাশিত: ১১:১০, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

এজলাসে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙ্গানো শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হাইকোর্টের আদেশের পর সারাদেশের প্রতিটি আদালত কক্ষ/এজলাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শন বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অবকাশ শেষে সুপ্রীমকোর্টে এ প্রক্রিয়া শুরু হবে। অবকাশ শেষে ১৩ অক্টোবর সুপ্রীমকোর্ট খুলবে। আইন মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের অধস্তন আদালতের সকল এজলাস/ কোর্টরুমে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙ্গানো ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়ে নোটিস জারি করেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (প্রশাসন) তৈয়বুল হাসান স্বাক্ষরিত এক নোটিসে এ কথা জানানো হয়েছে। সুপ্রীমকোর্টের স্পেশাল অফিসার সাইফুর রহমান বলেন, আদালতের ওই আদেশ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সুপ্রীমকোর্টে ছবি বাছাই চলছে। অবকাশের পর আমরা ছবি টাঙ্গানোর ব্যবস্থা করব। গত ২৯ আগস্ট দুই মাসের মধ্যে সারাদেশের প্রতিটি আদালত কক্ষে/এজলাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশ প্রদান করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে একটি রুল জারি করেছে আদালত। আদালত কক্ষে জাতির জনকের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনী এবং আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে ওই রুলে। আইন সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, অর্থসচিব, সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালত কক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি টাঙ্গানোর নির্দেশনা বাস্তবায়নে কতটা অগ্রগতি হলো, তাও ওই দুই মাসের মধ্যে জানাতে বলেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এক রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ আদেশ প্রদান করেছে। আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস ২১ আগস্ট হাইকোর্টে এ রিটটি দায়ের করেন। এ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের এ আদেশ বাস্তবায়ন করে দুই মাস পর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে আদালত। সংবিধানের ৪ (ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সব সরকারী ও আধা-সরকারী অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনগুলোতে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করতে হবে। এ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে সারাদেশের প্রতিটি আদালত কক্ষ/এজলাসে জাতির পিতার প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়। ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আদালতে তাদের জাতির পিতার বা জাতীয় বীরদের ছবি টাঙ্গানোর নজির আছে। আমাদের সংবিধানে জাতির পিতার প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। তা চ্যালেঞ্জ করেই আমরা রিট করেছিলাম। এ আদেশের পর আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে একটি নোটিস জারি করা হয়েছে।
×