ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খেলার সরঞ্জাম বিক্রেতারা আতঙ্কে ॥ অভিযান শীঘ্রই

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

খেলার সরঞ্জাম বিক্রেতারা আতঙ্কে ॥ অভিযান শীঘ্রই

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ঢাকা ও চট্টগ্রামে ক্যাসিনো (জুয়া খেলার ঘর) বন্ধে ও জুয়াড়িদের পাকড়াও করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযানের অপেক্ষায় রয়েছে জুয়ার সামগ্রী বিক্রেতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দুয়েক দিনের মধ্যে ক্যাসিনো সরঞ্জাম বিক্রেতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাবে এমন তথ্য পাওয়া গেছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে। এমন আতঙ্কে চতুর খেলার সরঞ্জাম বিক্রেতারা বিভিন্ন স্টেডিয়াম মার্কেট থেকে ক্যাসিনো সরঞ্জাম গোপনে সরিয়ে ফেলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ও রেসিডেন্সিয়াল হোটেলে ক্যাসিনো রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে স্পোর্টস মার্কেটগুলোতে ক্যাসিনো সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে, শিলি শেপস সেন্সোরি, ট্রেডমার্ক পোকার, পোকার স্টেলওয়ার্ট টেবিল, বাইসাইকেল প্লেয়িং কার্ড, বিনগো, উইনিং কার্ড, স্পিনিং হুইল, রোলেট হুইল, র‌্যাফেল ড্রাম। এছাড়াও ছক্কা, বাগাডুলি, র‌্যাফেল ড্র -এর খাঁচাসহ বিভিন্ন ধরনের খেলার সরঞ্জাম পাওয়া যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন খেলার সামগ্রীর দোকানে। অভিযোগ রয়েছে, লুডু থেকে শুরু করে বিলিয়ার্ড পর্যন্ত এমনকি চাক্কি বা জুয়ার সার্কেল পর্যন্ত সবধরনের খেলার সামগ্রী দিয়ে জুয়া খেলা সম্ভব। মূলত ফুটপাথ থেকে শুরু করে ফাইভস্টার হোটেল পর্যন্ত সব স্থানেই জুয়ার আসর বসে। শুধু একটাই পার্থক্য জুয়ার অঙ্ক। ভ্যান চালক থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে জুয়া চলছে যুগের পর যুগ। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আকাশপথ ও সমুদ্রপথে ক্যাসিনো সরঞ্জাম আমদানি হয়েছে কিনা সেসব তথ্য উদ্ধারে নেমেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন সরকারী গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর রয়েছে জুয়াড়িদের আটক করে আইনের আওতায় আনতে। চট্টগ্রামের যত্রতত্র জুয়ার আসর বসে। এর মধ্যে রয়েছে, চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের প্লাটফর্ম, আমবাগানের রেলওয়ে কেবিন সংলগ্ন ঝুপড়ি ঘরে, পাহাড়তলীর সুইপার কলোনি প্রভৃতি এলাকা। বায়জিদের বাংলা বাজার এলাকার বিভিন্ন পাহাড়ের টিলা। এ বিষয়ে সিএমপির এক উর্ধতন কর্মকর্তা জানান, ক্যাসিনো বন্ধে জুয়াড়িদের পাকড়াও করতে অভিযান চলছে। কিন্তু আমাদের দেশে ঘরে বাহিরে সব জায়গায় জুয়ার আসর বসে। এ বিষয়ে সচেতন না হলে জুয়ার আসর প্রতিনিয়ত চলতে থাকবে।
×