ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে জনবল সঙ্কট ॥ সেবা ব্যাহত

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

গাইবান্ধার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে জনবল সঙ্কট ॥ সেবা ব্যাহত

আবু জাফর সাবু, গাইবান্ধা ॥ নানা সমস্যা সঙ্কটে জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ের সরকারী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর এখন বেহাল। ফলে গ্রামের দরিদ্র মানুষ চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে কোন অবকাঠামো, জনবল এবং চিকিৎসক না থাকায় মানুষ চিকিৎসাক্ষেত্রে উপকৃত হচ্ছে না। কোন কোন ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য কক্ষ বরাদ্দ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও এসব উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিজস্ব অবকাঠামোও রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক বা জনবল না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। এতে করে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এলাকার মানুষ সমস্যায় পড়েছে। কেননা এসব এলাকার দরিদ্র মানুষ মূলত সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধপত্রের ওপর নির্ভরশীল। কেননা যোগাযোগের অব্যবস্থার কারণে চরাঞ্চল থেকে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে এসে দরিদ্র মানুষের পক্ষে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। উল্লেখ্য, জেলার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও সদর উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের ১৬৫টি চরাঞ্চলের নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলভুক্ত ইউনিয়নের গ্রামগুলোর জন্য বর্তমানে কোন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র নেই। এর আগে শুধু সদর উপজেলার মোল্লারচরে একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলেও তা নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। এরপর ওই ইউনিয়নে আর নতুন করে কোন স্বাস্থ্য ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়নি। তবে ফুলছড়ির এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র না থাকলেও একটি পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয় বলে জানা গেছে। জানা গেছে, জেলার ৭টি উপজেলার ৮২টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে রয়েছে ৮৪টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এসব উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে অবকাঠামো, জনবল রয়েছে ৩৫টিতে। বাকি ৪৮টিতে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোন অবকাঠামো না থাকায় এসব উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা কার্যক্রম সঠিকভাবে চলছে না। সবচেয়ে বড় সঙ্কট হচ্ছে চিকিৎসক নেই। এসব উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে মেডিক্যাল অফিসারের পদ রয়েছে ৩৬টি। আর নবসৃষ্টি সহকারী সার্জনের পদ রয়েছে ৪৮টি। কিন্তু চিকিৎসক রয়েছে ১২টি কেন্দ্রে, বাকি ৭২টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসকের পদ রয়েছে। তবে এর মধ্যে ৮টি কেন্দ্রে মেডিক্যাল অফিসার রয়েছে, আর নবসৃষ্টি সহকারী সার্জন রয়েছে মাত্র ৪টি কেন্দ্রে। আর বাকি সব কেন্দ্রেই চিকিৎসক পদ শূন্য। অধিকাংশ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জায়গা বেদখল করে নিয়েছে এলাকার প্রভাবশালী লোকজন। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো চিকিৎসক বরাদ্দ, অবকাঠামো নির্মাণসহ সংশ্লিষ্ট সকল সমস্যা সঙ্কট নিরসনে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকসহ স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
×