ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

জাতীয় নাট্যশালায় ‘গহর বাদশা ও বানেছা পরী’ মঞ্চস্থ

প্রকাশিত: ১১:২৮, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

জাতীয় নাট্যশালায় ‘গহর বাদশা ও বানেছা পরী’ মঞ্চস্থ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রকমারি রঙের সম্মিলনে সজ্জিত হাজার বছরের সমৃদ্ধ বাংলা সংস্কৃতি। সেই সংস্কৃতিরই অনন্য এক অধ্যায় লোকগাথা। সেসব লোকজকাহিনীতে মিশে আছে কল্পরাজ্যের পরী থেকে দৈত্য-দানব। নাচে-গানে ভরপুর তেমনই এক লোকগাথার মঞ্চায়ন হলো মঙ্গলবার। সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে প্রদর্শিত হলো গহর বাদশা ও বানেছা পরী নামের ফোক থিয়েটারটি। এটি দক্ষিণাঞ্চলের লোকগাথা অবলম্বনে নির্মিত নাগরিক নাট্যাঙ্গনের কুড়িতম প্রযোজনা। লোকজধারার পথরেখায় আধুনিকতার মিশেলে গড়া নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন হৃদি হক। প্রযোজনাটির গল্প গড়িয়েছে মূল পালার ¯্রােতধারাতেই। গিলামাইট বনে বিশ্বিং বাদশার শিকার করতে যাওয়া দিয়ে কাহিনী শুরু। শিকারের একপর্যায়ে হরিণশাবকের দিকে তীর ছোড়েন বাদশা। মানবসন্তানের কান্নায় তিনি বুঝতে পারেন, চরম ভুল হয়ে গেছে। অভিশাপ নিয়ে রাজ্যে ফেরেন তিনি। এর মধ্যে পুত্রসন্তান ঘরে আসে তার। রাজ্যজুড়ে যখন আনন্দের বন্যা তখন বাদশার মনে সন্তান হারানোর ভয়। মঞ্চে ভেসে বেড়ায় সঙ্গীতাশ্রিত সংলাপÑ ‘দিন যায় যায় যায় যায় দিন যায়/বছর ঘুরে গাছের পাতা রং যে বদলায়/রানী কাঁদে রাজা কাঁদে কাঁদে সারা বন/অন্ধকূপে বন্দী হলো গহর সনাতন।’ পুত্রকে প্রাসাদের বাইরে যেতে দেন না রাজা। কিন্তু শত আয়োজনেও বাদশাহ কি আটকে রাখতে পারে তার নিয়তি! বার বছর বয়সে বিশ্বিং যখন বড় ছেলে[জঞঋ নড়ড়শসধৎশ ংঃধৎঃ: }থএড়ইধপশ[জঞঋ নড়ড়শসধৎশ বহফ: }থএড়ইধপশ গহরকে রাজ্যের অধিপতি করে, তখন উজিরের চক্রান্তে গহর আবদার করে গিলামাইট বনে শিকার করতে যাবে। মায়ের আকুতি, স্ত্রী কলাবতীর মিনতি সব এড়িয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী সরাবনকে বাবা ও মায়ের দায়িত্ব দিয়ে গহর যায় শিকারে। গিলামাইট বনে গিয়ে গহর বন্দী হয় বিশ্বিং দানবের হাতে। অবশেষে বহু যুদ্ধ ও সংগ্রামের পর সে বনের বানেছা পরীকে নিয়ে নিজ রাজ্যে ফিরে দেখে রাজ্য উজিরের দখলে। সেই প্রেক্ষাপটে আপন বুদ্ধি ও মেধা দিয়ে জয় করে তার রাজ্য। সত্যের জয় অবধারিত, তাই সকল বাধা পেরিয়ে গহর পরিশেষে জয় করে বিশ্বিংরাজ্য। একইসঙ্গে জয় হয় প্রেম এবং সত্য ও সুন্দরের। নির্দেশনার পাশাপাশি প্রযোজনাটিতে বানেছা পরী চরিত্রে অভিনয় করছেন হৃদি হক। এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে রূপ দিয়েছেন হাবিব বাহার, জুয়েল জহুর, সুমন আহমেদ, আসিব চৌধুরী, সুতপা বড়ুয়া, বিশ্বজিৎ ধর, শামিম আহমেদসহ অনেকে। নাটকটির মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন সাজু খাদেম। সঙ্গীত ও আবহ সঙ্গীত পরিকল্পনা করেছেন কামরুজ্জামান রনি। আলোক পরিকল্পনায় ছিলেন ঠান্ডু রায়হান। মাহমুদুল হাসানের পোশাক পরিকল্পনায় কোরিওগ্রাফি করেছেন ওয়ার্দা রিহাব।
×