ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জানালেন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী

পর্যটন খাতের জন্য শীঘ্রই মহাপরিকল্পনা

প্রকাশিত: ১১:২৬, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পর্যটন খাতের জন্য শীঘ্রই মহাপরিকল্পনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ টেকসই পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি যুগোপযোগী মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার সমন্বয়ে তৈরি করা হবে এটি। যা বাস্তবায়ন করা হলে পাল্টে যাবে দেশের পর্যটন খাত। বিপুল সম্ভাবনার এই পর্যটন খাতকে নিয়ে দ্রুততম সময়েও কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যা চোখে পড়বে। আগামী শুক্রবার বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে এমন তথ্য প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও সচিব মহিবুল হক। রবিবার সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে জনাকীর্ণ এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন তারা। লিখিত বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, আমরা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আমার বিশ্বাস পর্যটনের ক্ষেত্রে কর্মসূচীগুলো স্বার্থক হবে। ইতোমধ্যে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে বুয়েটের প্রতিনিধি দল জরিপ করেছে। তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত পর্যায়ে। সেখানে পর্যটক বিশেষ করে বিদেশী পর্যটক যাতে আকৃষ্ট করে এবং বিদেশী বড় বড় ত্রুুজ শিপগুলো ইকোট্যুরিজম উপভোগ করতে পারে সেজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা খুব দ্রুত নেব। সে বিসয়ে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। কক্সবাজারে পর্যটনের জন্য কিছু কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের পথে। এর বাইরেও সারাদেশে একটা মাস্টারপ্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথে। সেই মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করব। মাস্টারপ্ল্যান এখনও চূড়ান্ত হয়নি, চূড়ান্ত হলেই কাজ শুরু হবে। বিমান ও পর্যটন সচিব মহিবুল হক বলেন, ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস এবার আমরা একটু ঢাকার বাইরে নিয়ে গেছি। আমরা ৬৪ জেলাতেই কর্মসূচী নিয়েছি। কিন্তু যেখানে পর্যটকেরা যাচ্ছে সেখানকার মানুষদেরও সহনশীল আচরণ করতে হবে, তাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে হবে। তারাও সাহায্য-সহযোগিতা চায়। আমরা পর্যটনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারিনি, কিন্তু এই মুহূর্তে রাখতে চাই। সত্যিকার অর্থে পর্যটন নিয়ে আমাদের কোন কর্মপরিকল্পনা ছিল না। আমরা এখন পর্যটনে একটা মাস্টারপ্ল্যান প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি। এ মাসের মধ্যে আমরা ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দেব। আমরা এ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম তৈরি করে ফেলেছি, আশা করছি ২-৩ মাসের ভেতর এটা বাস্তবায়ন করব। তাহলে আমাদের বিমানবন্দর এবং স্থলবন্দরের মাধ্যমে কতজন দেশী পর্যটক আসছে বা যাচ্ছে তার চূড়ান্ত পরিসংখ্যান দিতে পারব। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর পর্যটক দেড় থেকে দুই লাখ বেড়েছে। বাংলাদেশে পর্যটক কেন আসবে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমাদের কিন্তু পর্যটন স্পট আছে, আকর্ষণ আছে। সেগুলোকে কিন্তু আমরা পণ্য হিসেবে তুলে ধরতে পারিনি। যেমনÑ আমাদের সুন্দরবন আছে, সুন্দরবন কিন্তু পৃথিবীতে দ্বিতীয়টা নেই। কিন্তু আমরা কি পর্যটকদের জন্য সেখানে কোন ব্যবস্থা করতে পেরেছি, পারিনি। সেই কারণেই আমরা খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় স্পট বাছাই করে নিয়েছি; আমরা বিদেশী পর্যটকদের জন্য এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন করব।
×