ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রদল নেতাকর্মীর ওপর হামলায় জড়িতদের শাস্তি চাই ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ১০:৫৩, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ছাত্রদল নেতাকর্মীর ওপর হামলায় জড়িতদের শাস্তি চাই ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপরে ছাত্রলীগের হামলায় জড়িতদের শাস্তি দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই হামলা দেশের রাজনীতির জন্য অশনিসঙ্কেত। তাদের ওপর এই হামলা কেবল ন্যাক্কারজনকই নয়, গণতন্ত্রের উপরে হামলা। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন তিনি। সোমবার দুপুরে ওই হামলায় আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন। ছাত্র রাজনীতির একটা নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে যাচ্ছিল ছাত্রদল, সেই অধ্যায়কে সমূলে বিনষ্ট করার জন্য এই হামলা। তিনি বলেন, এই ছাত্রদল যেভাবে উঠে এসেছে তারা নিঃসন্দেহে সুসংগঠিত হতে পারবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ক্ষেত্রে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। ছাত্রলীগের হামলায় আহত ছাত্রদল নেতাদের দেখতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিকেল ৪টায় কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে যান। তাদের কাছ থেকে হামলার ঘটনার বিবরণ শোনেন। চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। এ সময় সাবেক ছাত্রনেতা খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, শহিদুল ইসলাম বাবুল, রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মহাসচিবের আগে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস আহতদের দেখতে যান। পল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, সরকারী দলের সহযোগী সংগঠনের চুনোপুঁটি নেতারা আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়ে গেছে। যুবলীগের নেতারা ঢাকায় চালাচ্ছে ৬০ ক্যাসিনো, ঢাকার বাইরেও রয়েছে আরও অসংখ্য ক্যাসিনো। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাবগুলো দখল করে জুয়া আর ক্যাসিনো ক্লাবে পরিণত করেছে ক্ষমতাসীন রাঘববোয়াল এমপি-মন্ত্রীরা। রাজধানী ও চট্টগ্রামে ক্লাবগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান শুদ্ধি অভিযান ‘আইওয়াশ’ কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব। ক্ষমতাসীনদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও হরিলুটে গোটা দেশটা ‘ফাঁপা-ফোকলা’ হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় ইতিবাচক আলোচনায় থাকতেই হঠাৎ শুরু হওয়া অভিযানটি ‘আইওয়াশ’ কি না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। লোক দেখানো অভিযানে অধরাই থেকে যাচ্ছেন মাদক ও দুর্নীতিবাজদের গডফাদাররা। তিনি বলেন, ওজন কমে যাওয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়া শুকিয়ে গেছেন। সম্পূর্ণ নিরপরাধ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দীর ৫৯২তম কালোদিবস সোমবার। ২০ দিন পর গত শুক্রবার দেশনেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছিলেন তার স্বজনরা। তাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়েছে যে, তাকে এখন আর চেনা যাচ্ছে না। কারাগারে যাওয়ার আগে তিনি যেমন ছিলেন, এখন তেমন আর নেই। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন প্রমুখ। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখলে আমরা অবশ্যই প্রশংসা করব। ওবায়দুল কাদের এটাকে বলছেন, ‘ইমেজ রিকভারি’। তার মানে হলো পচন ধরছে। অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের কর্মকা- তুলে ধরে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অস্থিরতার জন্য উপাচার্যরা দায়ী।
×